এশীয় টেনিসে প্রেরণার জোয়ার এনেছেন লি না
২৮ এপ্রিল ২০১৩কথাটা বলেছেন বিশ্ব টেনিস অ্যাসোসিয়েশন ডাব্লিউটিএ-র প্রধান স্টেসি অ্যালাস্টার৷ তাঁর কাছে লি না হলেন এই দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার, জার্মানির স্টুটগার্টে পোর্শে গ্রঁ প্রি টেনিস প্রতিযোগিতার অবকাশে রিপোর্টারদের বলেছেন অ্যালাস্টার৷
লি না হলেন প্রথম এশীয় প্লেয়ার, যিনি একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন – ২০১১ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন৷ বিশ্ব বাছাই তালিকায় পঞ্চম লি না ২০১১ এবং ২০১৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রানার-আপ হয়েছিলেন৷ মহিলাদের টেনিস সার্কিটে তাঁর মতো জনপ্রিয় চরিত্র খুব কম আছে৷ সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের যে সংস্করণে বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তার প্রচ্ছদের সাতজন ব্যক্তিত্বের মধ্যে লি না-ও আছেন৷
সেই ম্যাগাজিনেই টেনিসের প্রাক্তন ‘গ্রেট' ক্রিস এভার্ট লি না সম্পর্কে বলেছেন, লি-র প্রভাব টেনিসকে ছাড়িয়ে গেছে; তিনি যেন টেনিসে এক ঝলক তাজা বাতাসের মতো৷ এভার্ট বলেন, ‘‘চীনে টেনিস যেন বিস্ফোরিত হয়েছে৷ ১১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ লি-কে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে দেখে৷ আমাদের এই স্পোর্টের জন্য এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দরকার, যা লি ছাড়া সম্ভব হত না৷ টুর্নামেন্টে দেখেছি, ও কিভাবে মানুষের মন জয় করে৷ ও হাসলে যেন সবাই গলে যায়৷''
ডাব্লিউটিএ প্রধান স্টেসি অ্যালাস্টার এতটা উচ্ছ্বাস না করে বিজনেসের কথাই ভেবেছেন৷ ‘‘এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেনিসের বাড়ার অনেক সম্ভাবনা আছে৷'' ঐ এলাকায় নাকি পরের বছরই ন'টা টুর্নামেন্ট হতে পারে৷ জার্মানিও যে স্টুটগার্টের পর নুরেমবার্গে আরো একটি মহিলাদের টেনিস প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে চলেছে, তা-তেও তিনি খুশি৷
বিশ্বের যে সব মহিলা অ্যাথলিটদের রোজগার সবচেয়ে বেশি, তাদের তালিকায় সাতজন মহিলা টেনিস প্লেয়ার আছেন, যাদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছেন মারিয়া শারাপোভা এবং লি না৷ তবে অ্যালাস্টার ঐ তালিকায় টেনিসের বিশ্ব বাছাই প্রথম দশজন মহিলার নাম দেখতে চান৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ)