1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘টেক্সট মেসেজিং’-এর ২০ বছর

দেবারতি গুহ৩ ডিসেম্বর ২০১২

ট্রাংক-কল থেকে টেলিফোন, চিঠি-পত্র, ফ্যাক্স অথবা ই-মেল – প্রযুক্তির জোরে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিজের বার্তা পৌঁছে দেয়া আজ আর কঠিনসাধ্য নয়! তবে যে জিনিসটা এ কাজটি সবচেয়ে সহজ করে দিয়েছে, তা অবশ্যই এসএমএস৷

ছবি: Fotolia/Jake Hellbach

বিশ্বব্যাপী লিখিত যোগাযোগের আজ সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম টেক্সট মেসেজিং বা এসএমএস৷ ইন্টারনেটের সংযোগের প্রয়োজন নেই৷ যা লিখতে চান, সেটা টাইপ করে লিখে ‘সেন্ড' বাটন টিপে দিলেই হলো৷

যাত্রা শুরু সেই ৮০-র দশকে৷ আর সোমবার এই ‘টেক্সট মেসেজিং' বা এসএমএস-এর ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে৷ জানা গেছে, বিশ্বের তিনভাগের মধ্যে প্রায় দু'ভাগ মানুষের রয়েছে এই এসএমএস করার ক্ষমতা, আছে শর্ট মেসেজ সার্ভিস বা টেক্সট মেসেজিং-এর সুবিধা৷ অর্থাৎ, বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ বর্তমানে এই এসএমএস সেবা উপভোগ করে থাকেন৷ আর এই বিপুল সংখ্যক মানুষের এহেন একটি প্রযুক্তি ব্যবহারের অন্যতম কারণ: একেবারে কমদামের অথবা নড়বড়ে মোবাইল ফোনেও যে এই এসএমএস-এর সুবিধা রয়েছে৷

বিশ্বব্যাপী লিখিত যোগাযোগের আজ সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম টেক্সট মেসেজিং বা এসএমএসছবি: DW/Brunsmann


শোনা যায়, ১৯৮২ সালে ইউরোপিয়ান টেলিফোনি কনফারেন্সে জিএসএম প্রযুক্তি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ নিয়োগ করা হয় প্যারিসের কিছু ইঞ্জিনিয়ারকে৷ এর পাঁচ বছর পর ইউরোপের মোট ১৩টি দেশ মোবাইল ফোন যোগাযোগের জন্য জিএসএম প্রযুক্তিকে সাধারণ মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম হিসেবে চালু করার একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে৷ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় টেলিফোন সিগনালের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর একটি অভিনব প্রযুক্তি তৈরির৷

প্রথম জিএসএম প্রযুক্তির নেটওয়ার্কে ফোন কলটি করেন ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর ১৯৯২ সালে জিএসএম প্রযুক্তির প্রথম মোবাইল ফোনটি বিক্রির জন্য অনুমোদিত হয়৷ ধীরে ধীরে সেটাই গড়ে ওঠে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন যোগাযোগের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক হিসেবে৷ এই প্রযুক্তির একমাত্র সীমাবদ্ধতা এটাই যে, এটি ১৬০টি অক্ষর বা বর্ণের বেশি ডেটা ধারণ করতে পারে না৷ অবশ্য তাতে এর জনপ্রিয়তা কিছুমাত্র হ্রাস পায় না৷

জার্মানির অন্যতম কম্পিউটার বিষয়ক পত্রিকা ‘সিটি'-র সম্পাদক উর্স মান্সমান-এর কথায়, ‘‘জার্মানির বেশিরভাগ মোবাইল ফোন কোম্পানিই আজকাল এসএমএস-এর জন্য ‘ফ্ল্যাটরেট'-এর ব্যবস্থা করে থাকে৷ অর্থাৎ, টেলিফোনের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে দেশের ভিতরে বিনা পয়সায় এসএমএস করা যায়৷ প্রথমদিকটায় এমনটা ছিল না৷''

জার্মানিতেও বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই এসএমএস করার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো৷ গত বছর তো অন্তত ৪ হাজার ৬০০ কোটি এসএমএস করা হয়েছিল শুধু জার্মানিতেই৷ এ দেশে পথে-ঘাটে, বাসে-ট্রামে – সর্বত্রই দেখা যায় মোবাইল ফোন হাতে ছেলে-মেয়েদের৷ তাঁদের বেশিরভাগই বিদ্যুতের গতিতে টাইপ করতে পারেন৷ যে কোনো বার্তা নিমেষের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে পারেন অপরকে৷

তবে জার্মানির বিখ্যাত অনলাইন-কোম্পানি ‘টেলটারিফ'-এর কর্মকর্তা রাফায়েলা ম্যোল জানান, ‘‘এই মুহূর্তে অবশ্য এসএমএস-এর বিকল্প প্রযুক্তিও বাজারে এসে গেছে৷ এই যেমন ‘ওয়াটস অ্যাপ' অথবা ‘জয়েন'৷ এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে শুধু দেশের ভিতরে নয়, দেশের বাইরেও বিনা পয়সায় ‘টেক্সট মেসেজ' পাঠানো যায়৷ তাই আরো ২০ বছর পর এসএমএস আদৌ থাকবে কিনা – সেটা হলফ করে বলা যায় না৷''

বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি আজ এই এসএমএস-এর মাধ্যমেই তাদের ‘মার্কেটিং'-এর কাজটা সারেছবি: AP

বলা বাহুল্য, টেলিফোনে কথা বললে অন্যরা শুনতে পায়, ই-মেলের জন্য দরকার হয় কম্পিউটার৷ আর পোস্টে বা ডাকে চিঠি পাঠালে তো কথাই নেই৷ বার্তা পৌঁছাতে পৌঁছাতে লেগে যেতে পারে বেশ কয়েকটা দিন, অনেক সময় সপ্তাহও৷ কিন্তু এসএমএস? এককথায় সস্তা, কার্যকারী এবং তাৎক্ষণিক৷ তাই বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি আজ এই এসএমএস-এর মাধ্যমেই তাদের ‘মার্কেটিং'-এর কাজটা সারে৷ পাঠিয়ে দেয় নির্দিষ্ট কোনো খবর, অনায়াসেই৷ ডয়চে ভেলেও তার ব্যতিক্রম নয়৷ কারণ, অনুষ্ঠান নিয়ে আপনাদের পাঠানো এসএমএস-এর জন্য যে আমরাও অপেক্ষা করে থাকি৷ তাই আর দেরি নয়, জানিয়ে দিন আপনাদের মতামত৷

আমাদের এসএমএস-এর নম্বর:

বাংলাদেশে – ০০৮৮০১৭৩০৩০২২০৫
ভারতে – ০০৯১৯৮৩০৯৯৭২৩২

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ