শনিবার মাঝরাতে এক হাজার ৮০৪ জন অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এক দিকে যেমন এই তালিকায় শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের আত্মীয়-পরিজনের নাম দেখা গেছে, অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে, এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়।
এসএসসির 'অনিয়ম' নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে একাধিক মামলা। এর আগে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই মোট পাঁচ হাজার ৩০৩ জন দাগির তালিকা পেশ করেছিল। এসএসসির এক হাজার ৮০৪ জনের তালিকা প্রসঙ্গে সোমবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার এজলাসে একটি মামলায় বিচারপতিরা আবারও বলেন, কোনো অযোগ্য শিক্ষক বা শিক্ষিকা যেন নতুন পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে এসএসসিকেই।
'এসএসসির তালিকা অসম্পূর্ণ'
শনিবার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই আইনজীবী ফিরদৌস শামীম প্রশ্ন তোলেন, এই তালিকার বাইরে কি কোনো অযোগ্য প্রার্থী নেই? এদিন শুনানির পরে, তিনি ডিডাব্লিউকে জানান, "আমরা বলেছিলাম এই তালিকা অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ, অর্থের বিনিময়ে যারা চাকরি পেয়েছিলো, তাদের সকলের নাম নেই এই তালিকায়।এসএসসি সেই প্রসঙ্গে আদালতকে জানায়, সিবিআইয়ের তালিকায় অযোগ্য কিন্তু চাকরি পায়নি এমন শিক্ষক শিক্ষিকারও নাম আছে। এসএসসির তালিকায় কেমলমাত্র যারা চাকরি পেয়েছিল তাদের নাম আছে। এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, চাকরি পাননি কিন্তু অযোগ্য এমন চাকরিপ্রার্থীরা যেন নতুন করে পরীক্ষায় না বসেন তা নিশ্চিত করতে হবে।" এছাড়া এসএসসির তালিকায় কেবলমাত্র অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদেরই নাম আছে। শিক্ষাকর্মীদের নাম নেই।
আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, তাদের হিসেবে অযোগ্যদের তালিকা প্রায় ছয় হাজার। তিনি জানান, "এসএসসি ইচ্ছে করেই স্বচ্ছতা আনছে না। আমাদের হিসেবে অযোগ্যদের তালিকা ছয় হাজারের কম না।"
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ও ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের প্রতিক্রিয়া
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক, রাজনীতির ময়দানের বিরোধী থেকে শুরু করে অনেকেই। দেখুন ছবিঘরে ....
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট?
পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভয়ংকর দুর্নীতি ও জালিয়াতি হয়েছে। জালিয়াতি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া কলুষিত হয়েছে। বৃহত্তর পরিসরে দুর্নীতি হয়েছে। যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা যাচ্ছে না। তাই পুরো প্যানেল বাতিল হবে। অযোগ্য বলে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিতদের বেতন ফেরত দিতে হবে। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
এই চাকরি নিয়ে
শিক্ষকদের এই চাকরি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। চাকরির পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছে সরকারি সংস্থা স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। সরকারি স্কুলের জন্য এই নিয়োগ হয়। সেখানে দুর্নীতি হলে সেই দায় স্বভাবতই রাজ্য সরকারের উপরই এসে পড়ে বলে দাবি করছেন চাকরিহারা শিক্ষক থেকে বিরোধী সকলেই। বিরোধীরা দাবি তুলেছেন, এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
কান্নায় ভেঙে পড়লেন তারা
সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার আগে শহিদ মিনারের পাশে জড়ো হন শিক্ষকরা। উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের রায় জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে রাজ্য সরকারের উপর। তাদের প্রশ্ন, কিছু মানুষ দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে বলে তাদের সকলের চাকরি গেল। এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
'দুর্নীতি না করে শাস্তি পেলাম'
শাহনি নাজনিন ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''কোনো অন্য়ায় না করে, দুর্নীতি না করে শাস্তি পেলাম। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। দোষ প্রমাণ করুক। মাথা পেতে নেবো। এ কেমন বিচার না অন্য কিছু জানি না। কী করবো জানি না। মনে হচ্ছে, শেষ হয়ে গেছি। মানতে পারছি না। ছোট থেকে সততার সঙ্গে বড় হয়েছি। তার এই পরিণাম। চাকরি অর্জন করেছি, কাউকে ঘুষ দিইনি। তারপর এরকম হলো?''
ছবি: Satyajit Shaw/DW
'চাকরির পরীক্ষা দুর্নীতিমুক্ত করার দায় কার?'
ডিডাব্লিউকে রজত হালদার বলেছেন, ''আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যোগ্যদের জন্য চরমতম বিপর্যয়। আগামীতে যারা মেধার জোরে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেবেন, তারা ভাবুন। পরীক্ষা পদ্ধতির গলদ থাকলে ছয় বছর পর চাকরি যাবে। প্রশ্ন হলো, পরীক্ষা পদ্ধতি দুর্নীতিমুক্ত করার দায়িত্ব কার, পরীক্ষার্থীদের, সরকারের নাকি বিচারব্যবস্থার?''
ছবি: Satyajit Shaw/DW
'নিয়োগকারী সংস্থার শাস্তি হওয়া উচিত ছিল'
ডিডাব্লিউর কাছে রিজিয়া খাতুনের প্রতিক্রিয়া, ''আমি ভাবতে পারছি না, এরকম হওয়া সম্ভব! কী করে বিনা দোষে কেউ এরকম শাস্তি পেতে পারে। কী করবো, তা এখনই বলতে পারছি না। আমাদের আশা ছিল, আমাদের জয় হবে। কোনো দুর্নীতি হলে নিয়োগকারী সংস্থার শাস্তি হওয়া উচিত, আমাদের সেই শাস্তি পেতে হবে?''
ছবি: Satyajit Shaw/DW
স্কুল ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে?
কোনো স্কুলে চারজন, কোনো স্কুলে আটজন, কোনো স্কুলে ছয়জন শিক্ষকের চাকরি গেলো। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, তাদের স্কুল চালানো মুশকিল হবে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রশ্ন উঠছে, যোগ্য শিক্ষকরা যে অসম্ভব মানসিক চাপের মধ্যে পড়বেন, সকলে তাদের দিকে সন্দেহের চোখে দেখবেন, সেই ক্ষতি কে পূরণ করবে?
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ''বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে। তা সত্ত্বেও রায় মানতে পারছি না। একজনের অপরাধে কতজনের শাস্তি হবে? স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বশাসিত সংস্থা। আমরা কখনো হস্তক্ষেপ করি না। আর কতদিন বাংলাকে টার্গেট করবেন? কোর্টের রায় মেনে এসএসসি ততিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে। আরো এক লাখ শিক্ষকের নিয়োগ দেবো। এটা বিজেপি, সিপিএম করিয়েছে।''
ছবি: Prabhakar Tewari/DW
মমতার প্রস্তাব
মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায় বলেছেন, ''যারা চাকরি হারিয়েছেন, তারা একটা সংগঠন তৈরি করেছেন। তারা নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম বুক করেছেন। আমরা সাত তারিখ তাদের সম্মেলনে সেখানে যাবো। মুখ্যসচিব ও অন্য জ্ঞানী-গুণীরা যাবেন। আপনারা সকলে আবেদন করুন। আমরা চেষ্টা করবো। ধৈর্য ধরুন। এবার গরম বেশি বলে ৩০ এপ্রিল থেকে স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে যাবে।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি কংগ্রেসের
প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান শুভঙ্কর সরকার দাবি করেছেন, এই দুর্নীতির দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে তাই নয়, সেটা ধামাচাপা দিতে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে জনগণের টাকা করচ করা হয়েছে। কেন এইভাবে জনগণের টাকা নয়ছয় করবে সরকার?
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
বিজেপি বলছে, তৃণমূল দায়ী
রাজ্য বিজেপি সবাপতি সুকান্ত মজদুমদার বলেছেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিল না? রাজ্য সরকার পৃথকীকরণ করে দিলে এতজনের চাকরি চলে যেত না। শুধুমাত্র অযোগ্যদের চাকরি চলে যেত।”
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ''এই ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল। যোগ্যরা এদের পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য চাকরি হারালো। গোটা স্কুল শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়লো।''
ছবি: Srijit Roy
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী যা বললেন
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ''সরকার এতদিন পরেও বলতে পারলো না, কতজন অযোগ্য। সরকার দাঁড়ালো অযোগ্যদের পাশে। সরকারের অপদার্থতার জন্য এটা হয়েছে। সরকার অযোগ্যদের বাদ দিলো না বলে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের মুখ পুড়লো।'' সিপিএম নেতা ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ''দুর্নীতি করেছে সরকার। তাদের এই দায় নিতে হবে।'' মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, মামলা করার আগে ভাবলেন না, কে যোগ্য কে অযোগ্য।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
শুক্রবার আবার শুনানি হতে পারে
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীাতি নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। রাজ্য সরকার বাড়তি পদ তৈরি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় এর উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। সেই বিষয়ে শুক্রবার শুনানি হতে পারে।
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
13 ছবি1 | 13
বিধানসভায় অর্ডিন্যান্সের প্রস্তাব
এদিন, চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল বিধানসভায় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী, নওশাদ সিদ্দিকিসহ একাধিক জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের দাবিপত্র পৌঁছে দেন। দাবিতে তারা বলেন, সরকার চাইলে বিশেষ অধিবেশন ডেকে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের পুনর্বহালের অর্ডিন্যান্স আনতে পারে। এই প্রতিনিধি দলের চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, "নতুন করে ফ্রেশারসদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসা এক সাংঘাতিক কঠিন কাজ। আমরা সসম্মানে শিক্ষকতা করতাম। নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। সরকার বিশেষ আইন এনে আমাদের পুনর্বহাল করতে পারে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, "রাজ্য সরকার সর্বদলীয় বৈঠক করলে আমরা এই প্রস্তাব সমর্থন করবো।"
এরই মধ্যে, সোমবার এসএসসি ভবন বা আচার্য সদন অভিযানের ডাক দেয় চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। সেই কর্মসূচির আগে চাকরিহারা সুমন বিশ্বাসকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগে উত্তপ্ত হয় করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন। এদিন সকালে করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। চাকরিহারা শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের হেনস্থা করছে। পুলিশের দাবি, করুণাময়ী থেকে কোনো কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি তারা। পরে সুমনসহ ছয় জনের একটি প্রতিনিধি দল এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান।
বিজ্ঞাপন
দেড় ঘণ্টার বৈঠক
বিকেলে চাকরিহারা সত্যব্রত জানা, শুভশ্রী মিদ্যা, হরিপদ বল্লভ অধিকারী, তুহিন শুভ্র মণ্ডল, কৃষ্ণ গোপাল অধিকারী এবং সুমন এসএসসি ভবনে সিদ্ধার্থের সঙ্গে দেরঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন। সুমন ডিডাব্লিউকে জানান, "আমাদের মূল দাবী প্রত্যেক যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকার নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর নতুন যে তালিকা বের হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে লিখিত আকারে জানাতে হবে, এর বাইরে আর কোনও অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। আমরা চেয়ারম্যানকে আমাদের দাবি জানাই। তিনি বলেন, তাকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমরা ওনাকে মনে করিয়ে দিই, উনি একটি স্বশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান। ফলে তার সিনিয়ার আর কেউ নেই। তখন উনি জানান, উনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি পেলে আমাদের দাবি মানতে পারবেন।"
অন্যদিকে, এসএসসির বের করা অযোগ্যদের তালিকায় আছে একাধিক শাসক দলের নেতামন্ত্রীর পরিজনের নাম। আছে বেশ কিছু বিজেপি নেতার আত্মীয়ের নামও। রাজপুর-সোনারপুর মিউনিসিপ্যালিটির তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলী ঘোষ, পানিহাটির এমএলএ নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ, হিংগলগঞ্জ তৃণমূলের সভাপতি দেবেশ মণ্ডলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলসহ একাধিক নাম সামনে এসেছে। নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতার পরিজনদেরও। এক সিপিএম নেতার নামও সা্নে এসেছে। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী শামীম বলেন, "কেবলমাত্র তৃণমূল কর্মী নন, নেতা, এমএলএ, ব্লক সভাপতির নিকট আত্মীয়রাও এই তালিকায় আছেন। এর থেকেই বোঝা যায়, দুর্নীতি কতটা গভীর।"