কলকাতা মানেই প্রচুর দর্শনীয় স্থান৷ সঙ্গে প্রচুর কেনাকাটি করা আর ভুরিভোজ৷ কলকাতায় নতুন এলে কী খাবেন তার একটা ধারণা নিতেই যদি হয়, তাহলে আদনানের ভিডিওটি দেখবেন৷ ভিডিওটি ইতিমধ্যে প্রচুর দর্শক দেখেছেন৷ এটি ভাইরাল হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
তীর্থক্ষেত্রে গেলে যেমন দেবদর্শন না করা মহাপাপ, তেমনি কলকাতায় গিয়ে সেখানকার মিষ্টির দোকানে না খেলে পাপের কম কিছু হবে না৷ তাই আদনান বাঙালি জাতিকে সে দুর্দশা থেকে রক্ষা করেছেন৷ আদনান কলকাতায় নতুন, তাই পুঁটিরামকে ‘রেস্তোরাঁ' বলেছেন৷ পুঁটিরাম আদতে উত্তর কলকাতার একটি প্রাচীন এবং বিখ্যাত মিষ্টির দোকান৷ বউবাজারের ভীম নাগ, দক্ষিণ কলকাতার বলরাম মল্লিক এবং বাগবাজারের কে.সি. দাশের মতো কলেজ স্ট্রিট চত্বরে পুঁটিরাম কলকাতার অন্যতম সেরা ডাকসাইটে মিষ্টির দোকান৷
শত বদনাম সয়েও কলকাতার বাঙালিরা ঘুম ভেঙে উঠেই ডনবৈঠক দেয় না৷ বরং কচুরী, জিলিপির সন্ধান করে৷ পাড়া ক্রিকেট, গলির আড্ডা আর তেলেভাজার মতো কলকাতার জলখাবারের ইতিহাসটিও বেশ মুখরোচক৷ বাঙালির সকাল শুরু হয় আকাশবাণী কলকাতা শুনে আর সিঙ্গাড়া, নিমকি, রাধাবল্লভী, খাস্তা কচুরীর গন্ধ শুঁকে৷ এ জন্যই টেনিদা আর ঘনাদা কলকাতায় ‘গুল্প' দিতে পেরেছিলেন বলে মনে হয়৷ বাঙালির কালচারে ভাজা খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি আছেই, তাই ছাঁকা তেলে লুচি কচুরী না হলে মন ভরে না৷ সঙ্গে হিং দেওয়া মিষ্টি মিষ্টি ছোলার ডাল, ডুমো ডুমো করে কাটা খোসাশুদ্ধ আলুর তরকারি৷ খাওয়ার পর সঙ্গে একটু মিষ্টিমুখ করতেই হয়৷
আদনান পরম্পরা মেনে এসবই করেছেন৷
তিনি ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁর চিনেমাটির বাসনে খানাপিনা করেননি৷ বরং তা না করে আদনান কলকাতার সাবেক দোকানে গিয়ে সাবেকি স্টিলের প্লেটে রাধাবল্লভী এবং ছোলার ডালের ভোজনপর্ব শেষ করে মিষ্টিপর্বে ফিরেছেন৷ কিন্তু আদনান কার্যত একটা বড়সড় গবেষনা করতে গিয়েও করলেন না! সেটা হলো, কচুরী, রাধাবল্লভী, লুচি প্রত্যেকটাই নাথিং বাট কায়দা করে ময়দা ভাজা৷ তাহলে আলাদাটা কোথায়? পার্থক্যটা কেবলই কি পুরের মধ্যে?
ঢাকায় যেটা ডালপুরী সেটা কলকাতায় এসে রাধাবল্লভী হয়ে গেল কেন, সেটা বিতর্কিত প্রশ্ন৷ তাই কি ব্যাপারটা ডালপুরী দিয়ে ছোলার ডালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে দিলেন এই ঢাকার সন্তান? তবে সে যা-ই হোক, পাতলা ছোলার ডালের মধ্যে লুচি বা রাধাবল্লভী যা-ই হোক না কেন, একটু ডুবিয়ে নিয়ে মুখে দেওয়া স্বর্গসুখের থেকে কম নয়! ভিডিও দেখতে দেখতেই একটু জল যে জিভ থেকে ফসকে পড়ে যেতে পারে, সাবধান!
রাস্তার রেস্তোরাঁ
কলকাতায় প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ আসেন রুটি-রুজির তাগিদে৷ এঁদের পেট ভরানোর দায়িত্ব নেয় অফিসপাড়ার রাস্তার ধারের খাবারের দোকানগুলো৷ সারা ভারতের নানা স্বাদের খাবারের সমাহার দেখা যায় এখানে, যা খুব স্বাস্থ্যকর না হলেও সস্তা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সব পাবেন
যা খেতে চান, সব পাবেন এখানে৷ পাশাপাশি ছাতার তলায়৷ অফিসপাড়ার টিফিনের সময় দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায় না এ সব রাস্তার ধারের রেস্তোরাঁয়৷ তবে সব কিন্তু অস্থায়ী৷ সন্ধের পর এলাকা শুনশান৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মোগলাই খানা
বিরিয়ানি আর চিকেন চাঁপ৷ দাম শুনলে খাওয়ার সাহস হবে না, এমন সস্তা৷ তবু লোকে খেতে ভালবাসে এবং কী আশ্চর্য, তাঁদের শরীর খারাপ করে না একেবারেই৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
চীনা খাবার
কলকাতার অন্যতম পছন্দ চীনা খাবার৷ সে নামি রেস্তোরাঁ হোক, বা রাস্তার ধারের৷ মেনু অবশ্য সাদামাটা, কিন্তু পেটভরা খাবার৷ বিকেলের দিকে এই দোকানেই বিক্রি হবে তিব্বতি খাবার ‘মোমো’৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিরাপদ ডিম-টোস্ট
চীনা বা মোগলাই খানায় নেহাত সাহস না হলে আছে সামনে দাঁড় করিয়ে খোলা কয়লার উনুনের আগুনে সেঁকা পাঁউরুটি, সঙ্গে ডিম৷ বয়েলড, পোচড বা ওমলেট, যা আপনি খেতে চান৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
শহরতলীর মিষ্টি
শেষপাতে মিষ্টি ছাড়া বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না৷ এই দোকানিরা আসেন শহরতলী থেকে৷ বনগাঁর কাঁচাগোল্লা থেকে কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, ঘরে তৈরি পিঠে-পাটিসাপটা, সব আছে এখানে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিরামিষ ডাল-রোটি
অবাঙালিরা অনেকেই নিরামিষ খান৷ রাস্তার ওপরেই মাটির তন্দুর বানিয়ে গরম গরম রুটি আর নানা রকমের সবজি পাওয়া যায় এখানে৷ অর্থাৎ নিরামিষাশীদের জন্যেও রয়েছে প্রচুর আয়োজন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ইডলি-দোসা
নিরামিষ খাবারের মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারও খুব জনপ্রিয় মহানগরীতে৷ মানে ইডলি, বড়া আর দোসা৷ সে-ও এখানে বানিয়ে দেয়া হয় চোখের সামনে৷ অনেকে আবার এ সব কিনে বাড়িতেও নিয়ে যান৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ভরসার চিঁড়ে-মুড়ি
রাস্তার দোকানের রান্না খাবারে অনেকেরই ভরসা নেই৷ তাঁদের পছন্দ চিরকালীন চিঁড়ে-মুড়ি, ছোলা-বাদাম৷ যাঁরা ডায়েট করায় বিশ্বাসী, তাঁদের পছন্দের খাবার এটা৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
তাজা ফল
নেহাত কিছু খেতে না চাইলে আছে তাজা ফল৷ কলা, আপেল, পেঁপে, আনারস...৷ কলকাতা পুরসভার অবশ্য নিষেধাজ্ঞা আছে খোলা রাস্তায় কাটা ফল বেচার ব্যাপারে৷ রাস্তার ধুলোবালিতে কাটা ফল খাওয়া যে স্বাস্থ্যকর নয়!
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
হজমি দাওয়াই
খুব বেশি খাওয়া হয়ে গেলে তারও দাওয়াই আছে এই রাস্তাতে৷ পাতিলেবু, বিটনুন আর পুদিনার রসের সরবত৷ এক গেলাস খেলেই বদহজম দূরে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
অনুসন্ধানী আদনান বিল মেটাতে গিয়ে আবিষ্কার করেছেন, লুচি (রাধাবল্লভী)র সঙ্গে ডাল ফ্রি! এটা কলকাতার পুরনো রেওয়াজ৷ ফুচকার সঙ্গে তেঁতুল জল, সিঙ্গাড়ার সঙ্গে চাটনি আর লুচির সঙ্গে তরকারি ফ্রি৷ তা'বলে ভাতের হোটেলে ভাতের সঙ্গে ডাল আর চায়ের দোকানে চায়ের সংগে বিস্কুট ফ্রি পাবেন না৷
চোদ্দ টাকাকে কেউ মন ভরে রাধাবল্লভী খেতেই পারেন পুঁটিরামে৷ মিষ্টির ক্যাটাগরিতে সন্দেশ বা রসগোল্লা যাই খাবেন, দাম পড়বেই৷ রাজভোগ আকারে বড়, তাই দামটা আরও বেশি৷ খেতে কেমন, আদনান দিয়েছেন তারই সুলুকসন্ধান৷ রসগোল্লার আবিষ্কার নিয়ে ওড়িশার সঙ্গে লড়াইয়ে জেতার পর কলকাতার মিষ্টি খাওয়ার মজাই আলাদা! তাই জমিয়ে খান কলকাত্তাইয়া খানা!
পিএস/ এসিবি
এক চুমুকেই ঠান্ডা
গরমের দাবদাহ শুরু হতে না হতেই কলকাতার রাস্তাঘাটে হরেক পানীয়ের সম্ভার৷ চিনা পরিব্রাজক ই-সিঙ সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলায় পেয়েছিলেন নানা পানীয়ের সুলুক সন্ধান৷ এ যুগেও সেই ধারা অব্যাহত৷
ছবি: DW/P. Samanta
গেলাসই গন্তব্য
অতীতে বাবুর বাড়ির অতিথি আপ্যায়নে শ্বেতপাথরের গেলাসে কেওড়ার গন্ধ মেশানো জলপানের চল ছিল৷ হাল আমলে অতিথিদের জন্য বরাদ্দ কাঁচের গেলাসে স্কোয়াশ বা রঙিন সরবত৷ তৃষ্ণার্ত পথচারীরা অবশ্য দইয়ের ঘোল, ঠান্ডা জল বা বেলের পানা পেলেই খুশি হন৷ উত্তর কলকাতার একটি সরবতের দোকানে৷
ছবি: DW/P. Samanta
লাল-নীল-সবুজের মেলা
রঙিন পানীয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি৷ তাই বঙ্গজীবনে রঙ-বেরঙের ফ্লেভারের উৎপত্তি৷ এক বিন্দু রঙিন সিরাপ ঢেলে দিলেই মন ভালো হয়ে যায় জ্বালাপোড়া গরমেও৷ রাস্তাঘাটে তীব্র গরমে এমন বন্ধু আর কে আছে?
ছবি: DW/P. Samanta
খেয়ে আরাম খাইয়ে আরাম
যতই কৃত্রিম, রঙিন পানীয় বাজার দখল করুক না কেন, আজও বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে বিশুদ্ধ পাতিলেবুর জল৷ আদি ও অকৃত্রিম, বর্ণহীন লেবু জলের বিকল্প বাঙালি আজও পায়নি৷ দমদম স্টেশন চত্বরে লেবুজলের পসরা৷
ছবি: DW/P. Samanta
এসো শ্যামল সুন্দর
আগে গ্রামবাংলায় উনুনের মরা আগুনে কাঁচা আম পুড়িয়ে তার ফ্যাকাসে তুলতুলে শাঁস চটকে চিনি, বাতাসা বা মিছরি দিয়ে সরবত তৈরি হত৷ বোতলবন্দি ‘কর্পোরেট’ আমপান্নার যুগেও অবশ্য কলকাতার রাস্তার ধারে আম-পুদিনার বিক্রিতে ভাটা পড়েনি৷
ছবি: DW/P. Samanta
ছাতু-জল থইথই
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘‘একসময় ভাল ছাতু-মাখিয়ে বলে আমার নাম ছিল৷’’ কাজেই ছাতুর সরবত কেবল বিহারি-মারোয়াড়িদেরই একচেটিয়া নয়৷ ঠেলাগাড়ি চেপে পথচারীর নাগালেই থাকে ছাতুর সরবত৷ বেলাশেষে কত উপার্জন হলো, মানিকতলায় সেটাই গুনছেন বিক্রেতা৷
ছবি: DW/P. Samanta
হাত বাড়ালেই ঠান্ডা
সেকালে বাঙালির বিশেষ পানীয়কে পানা বলা হতো৷ যেমন চিনির পানা, বেলের পানা ইত্যাদি৷ এ কালেও সেই পানীয়ের দেখা মেলে৷ বিপুল চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসেছে কৃত্রিম পানীয়ের সম্ভার৷ সুইচ টিপলেই শীতল স্রোত৷
ছবি: DW/P. Samanta
তাপহরা তৃষাহরা
কয়েক দশক আগেও পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে ফ্রিজের এত চল ছিল না৷ রাস্তায় রাস্তায় বরফের গোলা বা সামান্য বরফকুচি মেশানো কাঁচা আমপোড়া, পুদিনাপাতার সরবত ছিল বাঙালির গ্রীষ্মের স্বর্গ৷ কলকাতার ভিড়ে ভরা ফুটপাতে এ কালেও এক চুমুকে স্বর্গলাভ হয় বৈকি! যেমন এই কলেজ স্ট্রিটে৷
ছবি: DW/P. Samanta
সরবত যেন কুটিরশিল্প
পশ্চিমবঙ্গে তেলেভাজার পাশাপাশি অন্যতম জনপ্রিয় লগ্নি সরবতেই৷ অল্প খরচে, কম মজুরিতে, ন্যূনতম স্থানে অনায়াসে খুলে ফেলা যায় সরবত তৈরির ব্যবসা৷ উপমহাদেশের গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ায় চোখ বুঁজে কমপক্ষে তিন মাস দেদার আয়৷
ছবি: DW/P. Samanta
কু ঝিক ঝিক পানীয়
গরম পড়তেই রেলের প্ল্যাটফর্মের দৃশ্যও বদলে গেছে৷ কেক-বিস্কুট-প্যাটিসের দোকানে রাতারাতি হাজির সারি সারি পানীয়ের বোতল৷ কুঁজো, জালা বা ঘটির যুগ আর নেই৷ প্যাকেজিংয়ে মোড়া যুগে বোতলই আমাদের সভ্যতার ধারক ও বাহক৷ পথচারী, ট্রেনযাত্রী বা অফিসকর্মী সকলেই বোতলের গুরুত্ব স্বীকার করেছেন৷
ছবি: DW/P. Samanta
বাণিজ্যে বসতে সরবত
‘প্যারামাউন্ট’ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় প্রাচীন সরবতের দোকান৷ ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বহু নায়ক-গায়ক-খেলোয়াড়ের স্মৃতিধন্য এই খানদানি সরবতী বিপণী কলেজ স্কোয়্যারের অলঙ্কার৷
ছবি: DW/P. Samanta
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
কাজের ফাঁকে দু’চুমুকে যদি গরম থেকে নিস্তার পাওয়া যায়, তবে তাই সই! কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ঘোলের দোকান ‘কপিলা আশ্রম’-এ সরবত প্রেমীদের ভিড়৷ বিধান সরণীতে৷
ছবি: DW/P. Samanta
সকল রসের ধারা
চিনা পরিব্রাজক ই-সিঙের ডায়েরি থেকে জানা যায়, সেকালে বাঙালিদের মধ্যে তালের রস, খেজুরের রস জনপ্রিয় ছিল৷ আমবাঙালির হাতে এখন সেগুলি সবসময় না পৌঁছালেও অনায়াসে জুটে যায় রসরাজ ইক্ষুশর্করা৷ হেদুয়ার ফুটপাতে সে-ই রাজা৷
ছবি: DW/P. Samanta
এলাম-দেখলাম-জয় করলাম
ঠান্ডা পানীয়ের বিজ্ঞাপনী ভাষা রপ্ত করেছে নব্য বঙ্গ৷ তর্ক-বিতর্ক-আড্ডা-স্লোগানে নিজেদের প্রমাণ করতে তারা বেছে নিয়েছে বোতলবন্দি ঠান্ডা পানীয়ের ‘জোশ’৷
ছবি: DW/P. Samanta
সরবতী সঙ্গ সুধা
দহনজ্বালা জুড়াতে চাইলে করুণাধারায় এসো৷ তাই কি প্রখর গ্রীষ্মে সম্পর্কের ভাঙ্গাগড়ার খেলায় বান্ধবীর সঙ্গে দু’দণ্ড শান্তির খোঁজ?
ছবি: DW/P. Samanta
শীতল জমায়েতে উষ্ণতা
কলেজ ক্যান্টিন হোক বা ‘প্যারামাউন্ট’– বন্ধুবান্ধবদের হইচই আর ঠান্ডা আমোদ জমে ওঠে গেলাসে রাখা সরবত ঘিরেই৷
ছবি: DW/P. Samanta
আমার সন্তান যেন থাকে পানীয়তে
কোনও কোনও সম্পর্ক অনিবার্য৷ মা ও সন্তানের মধ্যে জীবন যেন মরুদ্যানের মতো৷ সব প্রতিকূলতা, রুক্ষতার বিপরীতে শাশ্বত বিজ্ঞাপন৷ তৃষ্ণা মেটায়, আশ্রয় জোগায়৷
ছবি: DW/P. Samanta
মেঘ দে, পানি দে
জাতীয় পানীয় বলতে যদি কিছু থাকে, তাহলে সেটা জল বা পানি৷ পানি শব্দটি এসেছে সংস্কৃত পানীয় থেকে৷ গরমে রঙিন বা কৃত্রিম পানীয়ের থেকে স্রেফ সাদা পানির আবেদন সততই তীব্র৷ তাই করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা, ‘পানি দে’৷ নগরজীবনের ভিড়,কোলাহল,ব্যস্ততা থেকে ছুটি চায় মন৷ গতির সঙ্গে পাল্লা না দিয়ে মানুষ চায় ক্ষণিকের বিশ্রাম৷ সদা ব্যস্ত নাগরিকের সেই তৃষ্ণা মেটে কি?