1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এয়ারএশিয়া কী ধরনের সংস্থা?

গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/এসি৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১-এর ধ্বংসাবশেষ, এমনকি যাত্রীদের লাশ পাওয়া যেতে শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়ার কালিমান্তান উপকূলে৷ বিমানবাহিনীর একটি সার্চ প্লেন সাগরের তলায় দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটির ‘‘ছায়া’’ দেখেছে৷

AirAsia Airbus 320-200 vermisst 28.12.2014
ছবি: imago/HBLnetwork

কিন্তু কে এই ‘‘এয়ারএশিয়া বেরহাদ''? বিমান পরিবহণ সংস্থাটির মুখ্য কার্যালয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে৷ এটা একটা কম খরচের এয়ারলাইন এবং এশিয়ার সবচেয়ে সফল এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে পড়ে৷ এয়ারএশিয়া গ্রুপের আটটি অ্যাফিলিয়েট আছে, তাদের মধ্যে থাই, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্স এয়ারএশিয়া, সেই সঙ্গে এয়ারএশিয়া জাপান, ‘জেস্ট' ও এক্স, এই তিনটি৷ এয়ারএশিয়ার উড়াল যায় এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে প্রায় ৮০টি দেশে৷

ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ চালাচ্ছিল ইন্দোনেশিয়া এয়ারএশিয়া, যার ৪৯ শতাংশ মালিকানা মূল কোম্পানির৷ এটি হবে চলতি বছরে তৃতীয় বিমান দুর্ঘটনা, যা-তে কোনো মালয়েশীয় বিমান পরিবহণ সংস্থা বা তার শাখা কোম্পানি সংশ্লিষ্ট৷ বিশেষ করে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ালটি গত মার্চ মাস যাবৎ নিখোঁজ৷ কালিমান্তানের কাছে এয়ারএশিয়ার যে বিমানটির খোঁজ চলেছে, সেটি একটি এয়ারবাস এ-৩২০-২০০৷ এমএইচ৩৭০ ছিল একটি বোয়িং ৭৭৭, যা কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাবার পথে উধাও হয়৷ তবে সবচেয়ে ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটে সম্ভবত গত জুলাই মাসে, যখন মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৭ উড়ালটি ইউক্রেনের উপর দিয়ে যাবার সময় ভূপাতিত হয়৷ এই বিমানটিতে ছিলেন ২৯৮ জন আরোহী; নিখোঁজ বোয়িংটিতে ২৩৯ জন আরোহী; এবং সদ্য দুর্ঘটনায় পতিত এয়ারবাসটিতে ১৬২ জন আরোহী৷

এইখানে হারিয়ে গিয়েছিল বিমানটি...ছবি: imago/Xinhua

সূচনা

এয়ারএশিয়া কোম্পানির পত্তন হয় ১৯৯৪ সালে, মালয়েশিয়ার সরকারি মালিকানার কনগ্লোমারেট ডিআরবি-হাইকম এয়ারএশিয়া-র প্রতিষ্ঠাতা৷ ২০০১ সালে মিউজিক ইনডাস্ট্রির প্রাক্তন কর্মকর্তা টোনি ফের্নান্ডেজ কোম্পানিটিকে কেনেন মাত্র এক রিঙ্গিট বা ১৫ সেন্ট মূল্যে, কেননা বাজারে এয়ারএশিয়ার ঋণের পরিমাণ তখন প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ ডলার৷ মালয়েশীয়-ব্রিটিশ শিল্পপতি ফের্নান্ডেজ দশ বছরের মধ্যে কোম্পানিটিকে আবার জিইয়ে তোলেন এই স্লোগান দিয়ে: ‘‘নাও এভরিওয়ান ক্যান ফ্লাই'' – ‘এখন সবাই বিমানে চড়তে পারে'৷

নিখোঁজ যাত্রীদের শোকাহত স্বজনেরা...ছবি: Manan Vatsyayana/AFP/Getty Images

ব্যবসার নীতি

এয়ারএশিয়া-র ব্যবসা করার ধরন অন্যান্য বাজেট এয়ারলাইন্সের মতোই৷ কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী তাদের ‘লো-কস্ট ফিলজফি'-র ফোকাস হলো তিনটি মুখ্য স্ট্র্যাটেজির উপর: প্রথমত, ‘হাই এয়ারক্রাফ্ট ইউটিলাইজেশন' বা বিমানগুলিকে যতোদূর সম্ভব আকাশে রাখা, ঘন, ঘন উড়াল, গন্তব্যে পৌঁছানোর পরই আবার প্রত্যাবর্তন৷ দ্বিতীয়ত, ভাড়া কম কিন্তু কোনো বিশেষ সুযোগসুবিধা কিংবা পরিষেবা থাকবে না – যেমন ‘ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার'-দের জন্য এক্সট্রা মাইলেজ থাকবে না; উড়াল চলাকালীন খাবার-দাবার কিংবা পানীয় কিনতে হয়, ফ্রি-তে পাওয়া যায় না৷ তৃতীয়ত, নন-স্টপ ফ্লাইং – অর্থাৎ স্বল্প কিংবা মাঝারি পাল্লার উড়ালে বিমান মাঝপথে কোথাও নামে না৷

লাভের ব্যবসা?

২০১৪ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে এয়ারএশিয়া গ্রুপের প্রাক-কর মুনাফা ছিল ৭৬ লক্ষ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ তার আগের বছরের তুলনায় পাঁচ শতাংশ বেশি৷ মোট আয়ও বেড়েছে তিন শতাংশ৷ কোম্পানির কর্মীসংখ্যা আজ ১৫ হাজার৷ তারা বিশ্বের সবচেয়ে কম খরচের এয়ারলাইন্স বলে এয়ারএশিয়া-র দাবি, প্রত্যেক সিট ও কিলোমিটার প্রতি কোম্পানির খরচ নাকি তিন ডলার ৬৭ সেন্ট৷

কী ধরনের প্লেন

কোম্পানির দূরপাল্লার উড়ালগুলি চলে এয়ারএশিয়া এক্স-এর তাঁবে৷ চার ঘণ্টার বেশি সময়ের উড়ালের জন্য এয়ারবাস এ-৩৩০ বিমানগুলি ব্যবহার করা হয়৷ নয়ত এয়ারএশিয়া-র বিমানবহরের অধিকাংশ বিমান হল এয়ারবাস এ-৩২০ জেটলাইনার, যা-তে ১৮০ জন অবধি যাত্রী ধরে৷ এয়ারএশিয়ার বহরে বর্তমানে ১৫০টি এয়ারবাস এ-৩২০ আছে এবং আরো ২০টি ফরমায়েশ করা হয়েছে৷ এয়ারএশিয়া-র বিমানবহর এ অঞ্চলের তরুণতম বহরগুলির মধ্যে গণ্য: বিমানগুলির গড় বয়স তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে৷

সেফটি রেকর্ড

ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১-এর আগে এয়ারএশিয়া ও তার আঞ্চলিক শাখা কোম্পানিগুলির সেফটি রেকর্ড বা নিরাপত্তার খতিয়ান ছিল ভালোই৷ এয়ারএশিয়ার কোনো বিমান এর আগে দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়নি অথবা যাত্রীদের প্রাণহানি ঘটেনি৷ ২০১৩ সালে এয়ারএশিয়া মোট এক কোটি ১৩ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করে৷

ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১-এর জন্য দুই ইঞ্জিনের এয়ারবাস এ-৩২০-২০০ নিয়োগ করা হয়৷ এয়ারএশিয়া বিমানটি এয়ারবাস সংস্থার কাছ থেকে ডেলিভারি পায় ২০০৮ সালে৷ সে'যাবৎ বিমানটি প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার উড়ালে মোট ২৩ হাজার ঘণ্টা আকাশে ছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ