1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ বছরই চালু হচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক

২৪ মে ২০১১

থ্রিজি৷ মানে, থার্ড জেনারেশন৷ অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্ম৷ বিশ্বে এখন বেশ পরিচিত শব্দ এটি৷ শুরুটা হয়েছিল ২০০১ সালে৷ তার প্রায় ১০ বছর পর বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে এই প্রজন্মের মোবাইল ফোনের ব্যবহার৷

থ্রিজি ফোনের সব গুণাগুণ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষছবি: AP

ধরুন, আপনি কাউকে ফোন করলেন৷ তার সঙ্গে কথা বলার সময় যদি তার চেহারাও দেখা যায় তাহলে নিশ্চয় আপনার ভাল লাগবে৷ আপনার এই ভাল লাগাকে বাস্তবে রূপ দিতে আসছে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন৷ যাকে বলে থ্রিজি নেটওয়ার্ক৷ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক'এর সভায় এজন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে৷ এ মাসের শুরুতে সেটা হয়েছে৷ জানা গেছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ গ্রাহককে সেবা দেয়া সম্ভব হবে৷ এছাড়া বর্তমানে চালু থাকা ২.৫ প্রজন্মের প্রযুক্তিরও উন্নয়ন ঘটানো হবে এই প্রকল্পের আওতায়৷ এজন্য যে টাকা খরচ হবে তার কিছু অংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার৷ আর বাকিটা আসবে ঋণের টাকা থেকে৷ যেটা দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক৷ বার্ষিক দুই শতাংশ হারে তারা এজন্য সুদ নেবে৷ এছাড়া থ্রিজি নেটওয়ার্ক বসাতে যে প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন তার অর্ধেকই নিয়ে আসতে হবে চীন থেকে৷

টেলিফোন আজ আর শুধু কথা বলার জন্য নয়ছবি: AP

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেছেন এ বছরের মধ্যেই থ্রিজি প্রযুক্তি চালু করা হবে৷

তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল - বিষয়টা কী?

মোবাইলের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রজন্ম গণনা শুরু হয়েছে আশির দশকের শুরুতে৷ তখন চালু হয়েছিল প্রথম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক৷ এরপর নব্বই দশকের শুরুতে আসে দ্বিতীয় প্রজন্ম৷ আর তার দশ বছর পর, নির্দিষ্ট করে বললে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে, চালু হয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের যাত্রা৷ শুরুটা করেছে জাপানের একটি মোবাইল অপারেটর৷ এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র হয়ে এখন বিশ্বের অনেক দেশেই এই প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে৷ পাশের দেশ ভারতে এই প্রযুক্তি এসেছে ২০০৮ সালে৷ এমনকি ভুটানেও ঐ একই বছর থেকে এই সেবা চালু আছে৷ নেপাল অবশ্য এক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে৷ কারণ তারা থ্রিজি চালু করেছে ২০০৭ সালে৷ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাতেও এই সেবা চালু আছে৷ তার মানে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে পরে থ্রিজি শুরু হচ্ছে৷

ভারতে ক্রমশঃ চালু হচ্ছে থ্রিডি নেটওয়ার্কছবি: picture alliance/Dinodia Photo Library

সুবিধা

‘অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি – বাংলাদেশ'এর অধ্যাপক ড. এবিএম সিদ্দিক হোসেইন বলছেন, ‘‘দূরশিক্ষণে বেশ সহায়তা করবে থ্রিজি৷ এর ফলে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া সহজ হবে৷''

অধ্যাপক সিদ্দিক বলেন বর্তমানে চালু থাকা দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও দূরশিক্ষণের কাজটি করা যাচ্ছে৷ কিন্তু সেটা হচ্ছে সীমিত আকারে৷ তিনি আরও বলেন থ্রিজির কারণে ডাটা কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক সারা দেশব্যাপী বিস্তৃত হবে৷ এখন যেটা রয়েছে শুধু প্রধান প্রধান শহরগুলোতে৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা ওয়াইম্যাক্স কানেকশন দিচ্ছেন তাঁরা বাণিজ্যিক কারণে সারা দেশে ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে রাজি নন৷ কিন্তু থ্রিজি এলে সেই সমস্যা দূর হবে৷''

এছাড়া সরকার কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে কমদামে ল্যাপটপ ছাড়বে বলে জানিয়েছে৷ এটা হলে তরুণদের মধ্যে সেটা কেনার হিড়িক পড়ে যাবে৷ আর ল্যাপটপ হাতে পেলে তারা সঙ্গে চাইবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন অর্থাৎ দ্রুতগতির ইন্টারনেট যোগাযোগ এবং সেটা দেশের যেকোনো স্থান থেকে৷ তরুণদের এই চাহিদা পূরণ করতেও প্রয়োজন হবে থ্রিজি নেটওয়ার্কের, বলছেন অধ্যাপক সিদ্দিক৷

এসব সুবিধা ছাড়াও থ্রিজির কারণে মোবাইল ফোনে টিভি দেখা সম্ভব হবে৷ আর এজন্য গ্রাহকদের থ্রিজি সুবিধা সম্পন্ন মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করতে হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ