ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ইয়াস
২৬ মে ২০২১প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ল ওড়িশায়। বুধবার সকাল নয়টা পনেরো মিনিট নাগাদ তা স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। তবে ঝড়ের মধ্যভাগ যা ঘূর্ণিঝড়ের আই বা চোখ বলা হয়, তা আসতে এখনো কয়েক ঘণ্টা লাগবে। ভরা কোটালের মধ্যে ইয়াস আছড়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।
তবে ইয়াসের তাণ্ডব ইতিমধ্যেই টের পাচ্ছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ। ওড়িশায় উত্তাল সমুদ্র। বিশাল ঢেউ উঠছে। জল ঢুকে পড়েছে গ্রামের ভিতরে। সেই সঙ্গে প্রায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বইছে। সর্বোচ্চ গতিবেদ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, নামখানায় জল ঢুকে পড়েছে শহর ও গ্রামের ভিতরে। ঝড়ের গতিবেগ বাড়ছে। ইয়াসের চোখ যত কাছে্ আসবে, ততই পরিস্থিতি আরেো খারাপ হবে।
ইতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওড়িশায় প্রায় ১৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নেয়া হয়েছে। ওড়িশা সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এত মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাখা রীতিমতো কঠিন কাজ।
ওড়িশার উপকূলে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি প্রবল হতে শুরু করেছে। ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বড় বড় ঢেউ উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক উপকূলের জেলাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রাণই মূল্যবান। তাই জীবন বাঁচাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ওড়িশার জগতসিংপুর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া ও বালেশ্বর জেলা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এই চার জেলায় বিশেষ নজর দেয়া হয়ছে। এনডিআরএফ কর্তা এস কে প্রধান জানিয়েছেন, পাঁচটি রাজ্যে ১১৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সদস্য কমল প্রধান বলেছেন, যেখানে ইয়াস আছড়ে পড়বে, সেই এলাকার হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইয়াস আছড়ে পড়ার পর ওড়িশায় ত্রাণের কাজে সাহায্য করবে নৌবাহিনী। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তারাও ত্রাণের কাজে ঝাঁপাবে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)