1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার আইএস বিরোধী কৌশল ব্যর্থ

সংবাদভাষ্য: গ্রেহেম লুকাস/এসিবি৭ অক্টোবর ২০১৪

তুরস্কের সীমান্তের সিরীয় শহর কোবানিতে আইএস-এর অগ্রযাত্রা আরেকটি ট্র্যাজেডির ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ সিরিয়া এবং ইরাকে বারাক ওবামার আইএস-বিরোধী রণ কৌশলের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্নটাও বড় হয়ে উঠছে আরো৷

USA Präsident Barack Obama 23.9.2014 Ansprache Luftangriffe Syrien IS
ছবি: Win McNamee/Getty Images

সামরিক বিশ্লেষকরা আগে থেকেই বলে আসছেন, আইএস বা আইসিস-কে রুখতে ওবামার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব যে কৌশল নিয়েছে, তা নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থ হবে৷ তাঁরা বলছিলেন, শুধু বিমান থেকে হামলা চালিয়ে এবং ইরাকের সেনাবাহিনী কিংবা কুর্দিদের পেরশমেরগার মতো ছোট দলের জন্য সমর উপদেষ্টা আইএস-কে রোখা যাবে না৷

বিমান অভিযান আইএস-এর অগ্রযাত্রায় কিছুটা ছেদ টানতে পেরেছে, তা ঠিক, তবে তাদের থামাতে পারেনি৷ ইরাক এবং সিরিয়া, অর্থাৎ দুই দেশের ক্ষেত্রেই কথাটা সত্য৷ তাজা খবর হলো, আইএস যোদ্ধারা ইরাকের রাজধানী বাগদাদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে৷ শহরটির বিমানবন্দরও আইএস-এর নাগালে চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ওবামার শুধু বিমান হামলা চালিয়ে আইএস-কে ঘায়েল করার কৌশলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বেড়েই চলেছে৷ এ অবস্থায় ওবামাও নাকি আইএস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য বিশেষ বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন৷ এইটুকুতেও রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা খুশি হবে না৷ তাঁরা চান, আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে পদাতিক বাহিনীও পাঠানো হোক৷ তবে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনমত ওবামার সাবধানী কৌশলেরই পক্ষে৷

ওবামার সাবধানী হওয়ার কারণটা বোধগম্য৷ দেশের বাইরের যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সম্পৃক্ততায় ইতি টানার অঙ্গিকার করেই নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি৷ বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, আইএস-এর উত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অভিযান এবং ইরাক নীতির বেশ বড় ভূমিকা রয়েছে৷ সে কারণে এখন যুক্তরাষ্ট্রের পদাতিক বাহিনী আবার ইরাকে গেলে রাজনৈতিক দিক থেকে অর্থবহ হবে কিনা এ প্রশ্নও উঠছে৷ বলা বাহুল্য, তেমনটি না হবারই সমূহ আশঙ্কা৷

গ্রেহেম লুকাসছবি: DW/Matthias Müller

এ পরিস্থিতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো ন্যাটো সদস্য দেশগুলো আইএস বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে ইরাকে সৈন্য পাঠাবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য আইএস যত বড় হুমকিই হয়ে উঠুক না কেন, জনগণ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে নয়৷ ন্যাটোর সদস্য তুরস্কও আইএস-এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না৷ আঙ্কারার বেশি ভয় বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিদের নিয়ে৷ তাই আইএস-এর বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, আঙ্কারা এখনো সে সুযোগ দেয়নি৷

এ বিষয়ে আরেকটি কথাও মনে রাখতে হবে৷ পশ্চিমা দেশগুলো সামরিক হস্তক্ষেপ করুক – এটা আইএস-ও হয়ত চায়৷ তা করলেই আইএস হয়ত সমর্থকদের প্রতি ‘অবিশ্বাসীদের' বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ে শরিক হওয়ার আহ্বান জানাবে৷ আইএস-এর দৃষ্টিকোণ থেকে সেটা হবে যথার্থ সাংস্কৃতিক সংঘাত৷ সে ফাঁদে আমাদের পা দেয়া উচিত নয়৷

এ লড়াইয়ে আরব দেশগুলোরও ভূমিকা আছে৷ তবে এই দেশগুলোর জনগণই অর্থ দিয়ে আইএস-এর উত্থানে ভূমিকা রেখেছে৷ এখন আইএস-কেই তাঁদের ভীষণ ভয়৷ কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটা বিমান হামলায় অংশ নেয়ার বাইরে এ দেশগুলোও তেমন কিছু করবে বলে মনে হয়না৷ পৃথিবী দেখছে, কোবানির জনগণ হয়ত আইএস যোদ্ধাদের হাতেই নিজেদের ভাগ্য সঁপে দিতে চলেছে৷ কী ট্র্যাজেডি! আইএসকে পরাস্ত না করা পর্যন্ত এমন অনেক ট্র্যাজেডিই হয়ত দেখতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ