1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন রোহিঙ্গারা

১৩ নভেম্বর ২০১৪

চীন থেকে মিয়ানমারে গিয়েছেন বারাক ওবামা৷ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৃহস্পতিবার তাঁর বৈঠক৷ রোহিঙ্গাদের বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব দেবেন- মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে রোহিঙ্গা এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এমনই প্রত্যাশা৷

Barack Obama und Xi Jinping in Peking 12.11.2014
ছবি: Reuters/G. Baker

অ্যাপেক সম্মেলন উপলক্ষ্যে চীন সফর শেষ করে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার পৌঁছেন বারাক ওবামা৷ এটি তাঁর দ্বিতীয় মিয়ানমার সফর৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা প্রথমবার সে দেশে গিয়েছিলেন ২০১২ সালে৷ তবে এবারের সফরটি ‘রোহিঙ্গা ইস্যু'র কারণে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ৷

প্রথম সফরটিও খুব তাৎপর্যময় ছিল, কেননা, বারাক ওবামা যাবার ঠিক আগের বছর, অর্থাৎ ২০১১ সালে সামরিক শাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনের দিকে যাত্রা শুরু করে মিয়ানমার৷ প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের নেতৃত্বে দেশটিতে বেশ কিছু সংস্কার কাজ শুরু হলেও মুসলিম রোহিঙ্গাদের ভাগ্য ফেরেনি৷ বরং ২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে শুরু হয় ভয়াবহ দাঙ্গা৷ বৌদ্ধদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে দলে দলে দেশ ছাড়তে শুরু করেন মুসলিম রোহিঙ্গারা৷ এখনো চলছে এই প্রক্রিয়া৷ থেইন সেইনের সরকার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিচ্ছেনা৷ ১৯৮২ সালে কার্যকর করা এক আইনকে বাধা হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেশ ছাড়া অধিকাংশ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই স্বীকার করছেনা সরকার৷ অথচ রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে মিয়ানমার সরকারের অবস্থান বদলানোর জন্য চাপ বাড়ছে৷ এ পরিস্থিতেই মিয়ানমার সফরে গেছেন বারাক ওবামা৷

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক দল ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি'-র সভাপতি কোয়ে মিন মনে করেন রোহিঙ্গাদের জন্য বারাক ওবামার এই সফর খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘এই ক্রান্তিলগ্নে ওবামার সফরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এখন হয় আমাদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলবে, নয়তো আমরা আদিবাসী হিসেবে নাগরিকত্ব পাবো, ১৯৮২ সাল পর্যন্ত যা আমরা পেয়ে আসছিলাম৷'' কোয়ে মিন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো রোহিঙ্গাদের বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব না দিলে ‘‘(মিয়ানমার) সরকার রোহিঙ্গাদের শেষ করে দেবে৷''

কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে বারাক ওবামা কি বেশি কিছু বলবেন? সফরের আগে থেইন সেইনকে টেলিফোনে জাতিগত সংঘাত কমানোয় আরো সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ওবামা৷ তাই আশা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের আলোচনাতেও ওবামা রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে জোর দিয়ে কিছু বলবেন৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপারটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা, গণতন্ত্রের পথে দেশটির যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করতে সহায়তা করা- এসব বিষয়কেও গুরুত্ব দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷ আর এসবের ভীড়ে ‘রোহিঙ্গা ইস্যু' কিছুটা গুরুত্ব হারাতে পারে বলেও বিশ্লেষকদের আশঙ্কা৷ ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ' গতমাসে এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘‘আলোচনায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়টি তুলে ধরতেই পারেন ওবামা, তবে দু দেশের সম্পর্ককে বিপদগ্রস্ত করে এমন কথা না বলাই ভালো৷''

এসিবি/জেডএইচ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ