ওবামার মিয়ানমার সফর
১৯ নভেম্বর ২০১২![U.S. President Barack Obama, right, watches as Myanmar democracy activist Aung San Suu Kyi, center, greets U.S. Secretary of State Hilary Rodham Clinton at her residence in Yangon, Myanmar, Monday, Nov. 19, 2012. Obama is the first sitting U.S. president to visit the Asian nation. (Foto:Pablo Martinez Monsivais/AP/dapd)](https://static.dw.com/image/16388732_800.webp)
বারাক ওবামার মিয়ানমার সফর এবং সফর পরবর্তী পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করছে বাংলাদেশ৷ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই তিনি মিয়ানমার সফর করলেন৷ শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সফরের প্রভাব আছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন৷ তিনি মনে করেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চায়৷ আর এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আরো সুনির্দিষ্ট হচ্ছে৷ তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে যে সমস্যা আছে, তাতে বারাক ওবামা ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিলে বাংলাদেশ লাভবান হবে৷ তবে তা নির্ভর করবে মার্কিন স্বার্থের জন্য মিয়ানমার আর বাংলাদেশের তুলনামূলক গুরুত্বের ওপর৷
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আরেক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বারাক ওবামার মিয়ানমার সফর নতুন করে জানিয়ে দিল এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব৷ আর সেই গুরুত্বের দিক দিয়ে যদি মিয়ানমার এগিয়ে থাকে, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ৷ তাই মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে৷ মিয়ানমারের সঙ্গেও সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটানো প্রয়োজন৷
তবে এই দু'জন বিশ্লেষক মনে করেন, বারাক ওবামার মিয়ানমার সফরকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে যতটা তৎপর হওয়া প্রয়োজন ছিল ততটা দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি৷