এসে গেছে পালাবদলের সন্ধিক্ষণ৷ সারা বিশ্ব এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার শেষ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরুর মুহূর্তগুলো দেখার অপেক্ষায়৷ এ মুহূর্তে সব পথ গেছে ওয়াশিংটন ডিসির দিকে৷
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠান দেখার জন্য সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৯ লক্ষ পর্যটক ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে হাজির৷ আপাত দৃষ্টিতে বিশাল মনে হলেও সত্যিকার অর্থে সংখ্যাটি কিন্তু খুব বিশাল নয়৷ আট বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা যেদিন শপথ নিয়েছিলেন, সেদিন তাঁর দর্শন পেতে যুক্তরাষ্ট্রে পদধুলি দিয়েছিল অন্তত ১৮ লক্ষ বিদেশি৷
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরতদের বেশ বড় একটা অংশের মাঝেও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাদরে অভিনন্দন জানানোর আগ্রহ নেই৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, অভিষেকের দিনে পালাবদলকে শান্তিপূর্ণই রাখবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বস্তরের মানুষ৷ তবে পরেরদিনই বিভিন্ন স্থানে হবে নানা ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ৷ সবচেয়ে বড় জমায়েতটি হবে ‘উইমেন মার্চ'-এ৷ ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় এ পদযাত্রায় দু'লক্ষ নারী অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ডনাল্ড ট্রাম্প: ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট
রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী, জনপ্রিয় বইয়ের লেখক এবং রিয়েলিটি টিভি স্টার হিসেবে পরিচিত ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট৷ হোয়াইট হাউজে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিবার, সাম্রাজ্য
তিনি যাদের ভালোবাসেন তাদের নিয়ে তোলা ছবি৷ এখানে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভানকা এবং টিফানি, ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়র এবং নাতি কাই ও ডোনাল্ড জন থ্রি৷ তাঁর তিন বড় সন্তান ট্রাম্প অরর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়নিয়ার
১৯৮৪ সালে তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিউ জার্সির ট্রাম্প প্লাজায় হারাহ’স ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এটা অন্যতম এক খাত যেখানে বিনিয়োগ করে বাপের টাকায় মিলিয়নিয়ার হওয়া ট্রাম্প নিজেকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত করেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Lederhandler
বাপের টাকায় ব্যবসা শুরু
রিয়েল স্টেট সাম্রাজ্যের শুরুটা ট্রাম্প করেছিলেন তাঁর বাবা ফ্রিডরিকের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে৷ তিনি তাঁর ছেলেকে শুরুতে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন৷ এবং তাঁর মৃত্যুর পর ট্রাম্প এবং তাঁর তিন ভাইবোন উত্তরাধিকার সূত্রে চার’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হন৷
ছবি: imago/ZUMA Press
একটি নামের মধ্যে কী আছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং মার্কেটের উত্থান পতনের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন৷ নিউ ইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ার তাঁকে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য এনে দিয়েছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ তবে কখনো তিনি তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো আর্থিক কাগজপত্র প্রকাশ করেননি৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁর সম্পদের পরিমাণ তিনি যা বলেন তাঁর এক-তৃতীয়াংশ মাত্র৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
‘খুব ভালো, খুব স্মার্ট’
ট্রাম্প নিজের সম্পর্কে নিজেই বলেন একথা৷ তিনি সুপরিচিত সুপরিচিত ‘ওয়ার্টন স্কুল অফ দ্য ইউনিভার্সিটি অফ পেনসেলভেনিয়ায়’ লেখাপড়া করেছেন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B.J. Harpaz
ক্যাপ্টেন ট্রাম্প
কলেজে পাঠানোর আগে ১৩ বছর বয়সে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পকে৷ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের আগেই একাডেমি থেকে একটি অফিসার’স ব়্যাংক অর্জন করেন তিনি৷ নির্বাচনি প্রচারাভিযানকালে তিনি জানান যে, তিনি স্কুলে কাঠামো এবং সামরিক সংস্কৃতি উপভোগ করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/
ভিয়েতনাম যাওয়ার বদলে গোড়ালির চিকিৎসা
মিলিটারি শিক্ষা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাননি ট্রাম্প৷ পড়াশোনা করার সময় তিনি চারবার কালহরণ করেছিলেন এবং গোড়ালির চিকিৎসার জন্য একবার বিরতি নিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প হবেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগ অবধি কোনো সরকারি কার্যালয় বা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেননি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
প্রথম স্ত্রী: ইভানা জেলনিউকোভা
১৯৭৭ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ইভানা জেলনিউকোভাকে বিয়ে করেন ট্রাম্প৷ তাঁদের তিন সন্তান হয়৷ ডোনাল্ড জন জুনিয়র, ইভানকা মারি এবং এরিক ফ্রেডরিক৷ তবে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্কসহ নানা জটিলতায় ১৯৯০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ ইভানা হচ্ছেন সেই নারী, যিনি ট্রাম্পের ডাক নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য ডোনাল্ড৷’
ছবি: Getty Images/AFP/Swerzey
দ্বিতীয় পরিবার
ট্রাম্প পরবর্তীতে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৩ সালে তাঁদের মেয়ে টিফানির জন্ম দেন ম্যাপেলস৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/J. Minchillo
অন্য নারীদের সঙ্গে ট্রাম্প
ট্রাম্প সম্ভবত নিজের স্ত্রীর বদলে অন্য নারীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ভালোবাসেন৷ তিনি প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যেতেন এবং তরুণী মডেলদের সঙ্গে ছবি তুলতেন৷ ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ অবধি আয়োজিত সব ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার একজন অংশীদার ছিলেন তিনি৷ নির্বাচনের আগে আগে এক অডিও প্রকাশ হয় যেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর খ্যাতি তাঁকে কোনোরকম পরিণতির ভয় ছাড়াই মেয়েদের ‘গায়ে হাত দেয়ার’ সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Lemm
বাণিজ্য এবং বিনোদনের মিশ্রণ
ট্রাম্প জানতেন কীভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়৷ এই ছবিতে তাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের’ একটি শোতে দেখা যাচ্ছে৷ রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য এপ্রেন্টিস’, যেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ অথবা বাতিল করা হতো, ট্রাম্পকে খ্যাতি অর্জনে সহায়তা করেছে৷ শোতে ট্রাম্পের প্রিয় লাইন ছিলে, ‘ইউ আর ফায়ার্ড!’
ছবি: Getty Images/B. Pugliano
রাজনীতিতে ট্রাম্প
যদিও অতীতে রাজনীতির সঙ্গে তাঁর খুব কম যোগাযোগ ছিল, তারপরও ২০১৫ সালে সালের ১৬ জুলাই তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন৷ রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন৷’ নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় তিনি অভিবাসী, মুসলমান, নারী এবং তাঁর বিরুদ্ধে থাকা প্রত্যেককে অপমান করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
ওয়াশিংটনের পথে
প্রেসিডেন্ট হিসেবেও হোয়াইট হাউসে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প৷ ৷ সবশেষ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করল সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ। অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/M. Ngan
13 ছবি1 | 13
তবে তারপরও ঐতিহ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্টের বিদায়ী প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক বিদায় এবং নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতাকে সাবলীল, শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল রাখার সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত৷
শুক্রবার সকালে বিদায়ী এবং নতুন প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক একসঙ্গে বসবেন চায়ের কাপ হাতে৷ চায়ে শেষ চুমুক শেষে একসঙ্গেই গাড়িতে উঠবেন ওবামা, ট্রাম্প দম্পতি৷ শুরু হবে গাড়ি শোভা যাত্রা৷ সেই শুভযাত্রা শেষ হবে ক্যাপিটলে৷ সেখানেই অভিষেক অনুষ্ঠানের মূলপর্ব৷ সেখানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শপথ পাঠ করাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি৷ শপথ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য অভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট প্রথম ভাষণও দেবেন সেখানেই৷
হোয়াইট হাউসে ওবামা পরিবারের ৮ বছর
দুই দফা থাকার পর হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন ওবামা পরিবার, জায়গা করে দিচ্ছেন ট্রাম্প পরিবারের জন্য৷ হোয়াইট হাউসে ওবামা পরিবারের কিছু বিশেষ মুহূর্ত আপনাদের জন্য...
ছবি: Getty Images/P. Marovich
বিবাহিত এবং সন্তানের জনক
২০০৯ সালে ওবামা পরিবার প্রথম হোয়াইট হাউসে ওঠে৷ মালিয়ার বয়স তখন ১০ আর শাসা তখন ৭ বছরের৷ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের কারণে অন্য আর দশটি সাধারণ অ্যামেরিকান পরিবারের মতোই মনে হয়েছে ওবামা পরিবারকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রেসিডেন্টের মাথায় হাত!
প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বতঃস্ফূর্ত এবং মাটির মানুষ৷ ওভাল অফিসে এক কর্মীর পরিবার দেখা করতে এসেছিল, সেই সময় তাদের ছোট্ট ছেলেটির ইচ্ছে হলো প্রেসিডেন্টের চুল ছুঁয়ে দেখার৷ তার চুল ওবামার মতো কিনা পরীক্ষা করে দেখতে চাইলো৷ ওবামাও সাথে সাথে মাথা নীচু করলেন৷
ছবি: picture alliance/dpa/Pete Souza
সুপার বোল
হোয়াইট হাউসে নিজেদের মুভি থিয়েটারে এক পার্টিতে প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি থ্রিডি চশমা লাগিয়ে সুপার বোল দেখছেন৷
ছবি: Getty Images/White House/P. Souza
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো
২০১১ সালের মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচটি টিভিতে উপভোগ করছে ওবামা পরিবার৷ তাদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা৷ হোয়াইট হাউসের আলোকচিত্রী পিট সুজা পারিবারিক এই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রথম পোষ্য
সেনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির কাছ থেকে পাওয়া উপহার এটি৷ পর্তুগিজ ওয়াটার ডগটির নাম ‘বো’৷ ওবামা পরিবারের সঙ্গে এটি যুক্ত হয় ২০০৯ সালে৷ চার বছর পর সানি নামে একই প্রজাতির একটি মাদি কুকুর পরিবারকে পরিপূর্ণতা দেয়৷
ছবি: Getty Images/W. McNamee
তোমার প্রতিবেশী বন্ধু স্পাইডারম্যান
ওহ হো! স্পাইডারম্যানের মাকড়সা জালে আটকা পড়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি! হ্যাঁ ওবামা এমনই, বরাবরই খেলতে ভালোবাসেন৷ ২০১২ সালে হ্যালোইনের ঠিক আগে হোয়াইট হাউসে এক শিশুর সঙ্গে খেলার সময় এভাবেই ক্যামেরায় বন্দি হন ওবামা৷
ছবি: picture alliance/dpa/Pete Souza
সব শক্তিশালী মানুষের পেছনে...
প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে নাকি একজন নারীর হাত থাকে৷ এক্ষেত্রেও ঠিক তাই৷ ওবামা পরিবারে এই নারীর জনপ্রিয়তা কিন্তু তাঁর স্বামীর জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে গেছে৷ জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তিনি বরাবরই ৭০ ভাগ সমর্থন পেয়ে আসছেন, যেখানে তার স্বামীর জনপ্রিয়তা নেমে গেছে ৪০ শতাংশে৷ এই দম্পতিকে বলা হয় ‘স্বপ্নযুগল’৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb
মা-কর্ত্রী
মা হিসেবে তাঁর কর্তৃত্ব এবং রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য অনেক অ্যামেরিকানের কাছে মিশেল অত্যন্ত পছন্দের৷ একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউসের বাগানে মিশেল এবং একদল শিক্ষার্থী মিষ্টি আলুর চারা বুনছে৷
ছবি: Getty Images/C. Somodevilla
কখনো কোনো কিছুতে বিচলিত না হওয়া
পোশাকের ক্ষেত্রে তার পছন্দ-অপছন্দ বিশ্ববাসী ততটাই লক্ষ্য করেছে, যতটা তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা৷ এমনকি এলমো আর রোজালিতার পাশে বসেও তার স্টাইলে কোনো বিচ্যুতি চোখে পড়ে না৷
ছবি: Getty Images/W. McNamee
‘এটা আমার মেয়েদের জন্য’
কারপুল কারাওকি সিরিজে ফার্স্ট লেডি এই ক্লিপটির ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে৷ ইউটিউবে এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৫ কোটি বার৷ হোয়াইট হাউসে গাড়ি চালাচ্ছেন জেমস করডেন৷ তখনই মিশেল এবং মিশি এলিয়ট বলে ওঠেন ‘এটা আমাদের মেয়েদের জন্য’৷
ছবি: YouTube/The Late Late Show with James Corden
অভিষেকের সেলফি
এমন অসম্ভব উচ্ছ্বল বাবা-মায়ের সন্তান শাসা ও মালিয়াও বাবা-মা’র মতোই ‘কুল’৷ ২০১৩ সালে যখন তাদের বাবা’র অভিষেক হচ্ছিল, সেই সময় দুই বোন ব্যস্ত ছিল সেলফি তোলায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Klamar
পরিবার অন্তঃপ্রাণ
হোয়াইট হাউসে থাকার সময় মালিয়ার ১৮তম জন্মদিন উদযাপন৷ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ঐ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন,‘‘ বাবা হিসেবে আমি যে কাজটা করছি তাতে হয়ত আমার মেয়েরা বিব্রত হয়েছে, কিন্তু এটাই আমার শেষ বার৷’’ বক্তব্যে এর পুরো ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি৷ অনুষ্ঠান শেষ করেন ‘শুভ জন্মদিন’ জানিয়ে৷
ছবি: Getty Images/A. Guerrucci-Pool
শুভ বিদায়, ওবামা এবং পরিবার
বারাক, মিশেল, মালিয়া, শাসা হোয়াইট হাউস ছেড়ে দিচ্ছেন৷ কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়ছেন না তাঁরা৷ এই শহরেই শাসার স্কুল আর মালিয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করবে৷
ছবি: Getty Images/P. Marovich
13 ছবি1 | 13
এদিকে ট্রাম্পের অভিষেকের ডামাডোলের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রর ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতি স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠানরত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে গিয়ে জার্মান এক টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের জন্য লড়ছি৷ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই, ‘আপনাদের অ্যাজেন্ডা কী?' সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু নির্ভরশীলতা৷''
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, বিবিসি)
এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷
নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য যা অপেক্ষা করছে
নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বদেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সমস্যা ও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, যার উপর শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, সেই সঙ্গে আধা দুনিয়ার ভালো-মন্দ নির্ভর করবে৷ কী ভাবছেন দুই প্রতিযোগী এই সব সমস্যা সম্পর্কে?
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Nelson
বারাক ওবামা যা করে যেতে পারেননি
তার মধ্যে প্রথমেই আসে স্বাস্থ্য বীমার সংস্কার৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষের কোনো স্বাস্থ্য বীমা নেই, এছাড়া আছে চলতি বীমা পদ্ধতির নানা ঘাটতি ও দুর্বলতা৷ এর বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘ওবামাকেয়ার’ কিছুদূর এগোলেও, এখনও অনেক কাজ বাকি৷ এছাড়া দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও অবকাঠামোর চরম দুরবস্থার কথা ভুললে চলবে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
ধনি-দরিদ্রের ব্যবধান
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধিকাংশ সমর্থক যে পর্যায়ের মানুষদের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন, তারা হলেন শিল্পায়ন পরবর্তী যুগের অ্যামেরিকায় যারা সবচেয়ে বেশি হারিয়েছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ বড় বড় শহরগুলি ছেড়ে একটু বাইরে গেলেই সে ধরনের অবক্ষয় চোখে পড়ে: রোগগ্রস্ত, অসুস্থ মানুষ; উপেক্ষিত, অবহেলিত শিশুরা যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই৷ এই ব্যবধান থেকেই জন্ম নিয়েছে এক নতুন পরস্পরবিরোধিতা৷
ছবি: picture alliance/U. Baumgarten
ইরান
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিকে ‘‘ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট চুক্তিগুলির মধ্যে একটি’’ বলে খারিজ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে এই চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনা করবেন৷ অপরদিকে হিলারি ক্লিন্টন এই চুক্তিকে ‘‘মহান কূটনীতি’’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে ইরানের প্রতি ক্লিন্টনের মনোভাব অতীতে বেশ কড়াই ছিল এবং তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে বেশি ইসরায়েল ঘেঁষা বলে কথিত৷
ছবি: Colourbox/Getty Images
সিরিয়া
ক্লিন্টন সিরিয়ায় নো-ফ্লাই জোন স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ‘সেফ জোন’ কামনা করেছেন৷ নো ফ্লাই জোন থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের বিপদ বাড়বে, বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা৷ ট্রাম্প তো স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, ‘‘আমাদের আইএস-এর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, সিরিয়ার দিকে নয়’’৷ বস্তুত তাঁদের প্রথম ৯০ মিনিটের টেলিভিশন বিতর্কে ২২ বার আইএস-এর নাম করা হলেও, আলেপ্পোর নাম করা হয়েছিল মাত্র একবার৷
ছবি: Reuters/A.Ismail
রাশিয়া
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসের একটি রেস্টুরেন্টের দেয়ালে আঁকা ছবি, যাতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য পুটিন-প্রীতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে৷ ট্রাম্পকে পরে বলতে শোনা গেছে, ‘‘আমি পুটিনকে চিনি না....রাশিয়া সম্পর্কেও কিছু জানি না’’৷ তবে রাশিয়ার সঙ্গে মিলে আইএস-এর মোকাবিলা করলে ভালো হয়, বলে তাঁর ধারণা৷ অপরদিকে ক্লিন্টনের দৃষ্টিতে ক্রেমলিন শুধুমাত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে আগ্রহী৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Malukas
ন্যাটো ও ইউরোপ
ছবিতে পোল্যান্ডের প্যারাট্রুপার সৈন্যরা ন্যাটোর একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে৷ ট্রাম্প এর আগে ন্যাটো ও ইউরোপের সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে নানা অবহেলাকর মন্তব্য করেছেন৷ অপরদিকে ক্লিন্টন যদিও ‘অ্যাটলান্টিসিস্ট’ হিসেবে পরিচিত, তাঁর মুখেও প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে একবার বা দু’বারের বেশি ইউরোপ কিংবা ন্যাটোর নাম শোনা যায়নি৷ বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর এতে সন্তুষ্ট না হবারই কথা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Skarzynski
চীন
ছবিতে চীনের একটি বোমারু বিমান দক্ষিণ চীন সাগরের উপর টহল দিচ্ছে৷ এলাকার বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জগুলিকে নিয়ে বিরোধে ক্লিন্টন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট করতে চান না, কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রণালী স্থাপন করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্রদের আশ্বস্ত করতে চান৷ নয়তো ট্রাম্পের ধারণা যে, চীন তাঁর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক স্বার্থের হানি ঘটাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Xinhua/Liu Rui
পরিবেশ
ছবিতে ক্যালিফর্নিয়ার মৌহাভি মরুভূমিতে অবস্থিত একটি সৌরবিদ্যুৎ পার্ক৷ ট্রাম্প কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে বলেছেন ‘‘অনির্ভরযোগ্য ও ভয়ঙ্কর’’; বিশ্বের উষ্ণায়নকে বলেছেন ‘‘মার্কিন শিল্পোৎপাদনকে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার অযোগ্য করে তোলার জন্য চীনাদের তৈরি একটি কল্পকাহিনি’’৷ অপরদিকে ক্লিন্টন ওবামার পরিবেশ নীতি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা করলেও, তাঁর প্রচার অভিযান বা রাজনৈতিক জীবনে পরিবেশ বিশেষ গুরুত্ব পায়নি৷