1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যে ওবামা

২১ মার্চ ২০১৩

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসারায়েলে থাকাকালীনই গাজা স্ট্রিপ থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের উপর দু’টি রকেট ছোঁড়া হল৷ ওদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবার ইসরায়েলে এসে ওবামা পশ্চিম তীরে পা রেখেছেন৷

ছবি: Reuters

দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট আক্রমণ ঘটলে ইসরায়েল হামাসের দিকেই আঙুল তোলে৷ এবার হামাস পরোক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, ইসরায়েলের এই অভিযোগ নাকি ওবামার সহানুভূতি সংগ্রহের প্রচেষ্টা৷

তার পরেও থাকে এই রকেট ছোঁড়ায় রামাল্লাহর কি প্রতিক্রিয়া হবে; পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক এর ফলে আরো ভালো হবে কি আরো খারাপ হবে, এই সব চুলচেরা বিচার৷ হয়তো এর ফলে ওবামার সফরের গুরুত্বটাও প্রমাণ হল: কেউ বা কারা বলতে চাইছে, ওবামা এসেছেন, সেটা ভালো কথা৷ কিন্তু গাজা স্ট্রিপ এবং হামাসকেও ভোলা উচিত নয়৷

রকেট দু'টির একটি গিয়ে পড়েছে স্ডেরট'এর একটি বাড়ির খিড়কির বাগানে, অন্যটি একটি মাঠে৷ এতো কম উপাচারে আন্তর্জাতিক নজর কাড়ার লোভ সামলানো সহজ কথা নয়৷

রামাল্লাহয় ওবামাছবি: Reuters

মার্কিন-ইসরায়েল ‘বেড়া মেরামত'

ওবামা বুধবার ইসরায়েলে পা দেওয়ার পর বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ইসরায়েলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা৷ প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু'র সঙ্গে ওবামার যে ঠিক বনে না, সেটাকে বিশ্ব রাজনীতির প্রমাণিত সত্য বলেই ধরে নেওয়া যায়৷ তবুও উভয়ের আলিঙ্গন দেখে পর্যবেক্ষকদের মনে হয়েছে, নাটক যেমনই হোক না কেন, অভিনয় আন্তরিক৷

ওবামা ইসরায়েলের অতি গর্বের আয়রন ডোম রকেট প্রতিরক্ষা প্রণালী দেখেছেন৷ আবার ইসরায়েল মিউজিয়ামে গিয়ে সুপ্রাচীন ডেড সি স্ক্রলস'ও দেখেছেন৷ এবং অবশ্যই নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইরান ও সিরিয়া প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন৷

তবে শেষমেষ উভয়ের যুগ্ম সাংবাদিক সম্মেলনে ওবামা'কে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিস্থাপন সম্পর্কে বলতে শোনা গেছে: ‘‘শুক্রবার ফিরে যাবার সময় আমি যদি নিজেকে বলতে পারি, বাধাগুলো কী, সে'বিষয়ে আমার ধারণা আর একটু স্পষ্ট হয়েছে – তবে আমি সেটাকেই সাফল্য মনে করব৷''

রামাল্লাহয়

ইসরায়েলিদের যেমন ছিল, বর্তমানে ফিলিস্তিনিদেরও ওবামার প্রতি মনোভাব হল হতাশা ও আশাভঙ্গের৷ যে ওবামা ২০০৯ সালে ইসরায়েলকে পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, ইহুদি বসতি নির্মাণ বন্ধ করতে - তিনি এবার তাঁর ইসরায়েল সফরে ঐ কণ্টকিত বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি৷

এ'ধরনের রাষ্ট্রীয় সফরের একটি নয়, দু'টি সুবিধা হল, প্রথমত প্রোটোকলেই অনেক অস্বস্তিকর মুহূর্ত ঢাকা পড়ে যায়৷ দ্বিতীয়ত, দিন তিনেকের সফর শেষ হবার পর পরই সব পক্ষের ‘স্পিন ডক্টররা' তাদের নিজস্ব ভাষ্য দিতে শুরু করেন৷ ফলে আদত ঘটনা কি ঘটেছিল, তা সংবাদ সংস্থাগুলির বিক্ষিপ্ত বিবরণেই ছড়িয়ে থাকে৷

এসি / এসবি (এএফপি, ডিপিএ, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ