1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

১৭ অক্টোবর ২০১২

অন্যান্যবার তথাকথিত প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে না৷ কিন্তু মঙ্গলবারের ‘টাউন হল' বিতর্ক প্রমাণ করল, এবার হয়ত তা বদলাতে চলেছে৷

ছবি: AP

বিতর্কের পর জরিপের পর জরিপ, পারলে ঘণ্টায় ঘণ্টায়৷ সব মিলিয়ে এ'টুকু বোঝা যাচ্ছে যে, তেসরা অক্টোবরের প্রথম বিতর্কে ওবামার রমনিকে যতটা জমি ছাড়তে হয়েছিল, এবার তিনি তার অনেকটা আবার ছিনিয়ে নিতে পেরেছেন৷

সবচেয়ে বড় কথা, ওবামা এবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রমনিকে বারংবার আক্রমণ করেছেন, ভদ্রতা করে কথার মাঝে কথা বলা থেকে বিরত থাকেননি৷ রমনি যে অতি ধনী হয়েও নিজে স্বল্পই আয়কর দেন, ওবামা সে কথার উল্লেখ করেছেন৷ দেশের ৪৭ শতাংশ ভোটার সরকারের কল্যাণে খায়-পরে, রমনির সেই কুখ্যাত মন্তব্যের উল্লেখ করতেও ভোলেননি ওবামা৷

অপরদিকে রমনি প্রথম বিতর্কের চেয়ে এবার যেন নিজেকে কিছুটা সামলে রেখেছেন৷ অথবা তিনি জানতেন যে, ওবামা এবার তাঁকে রেয়াত করে কথা কইবেন না, কাজেই তাঁর নিজেরও আত্মরক্ষার প্রয়োজন পড়বে৷ তবে ভালো বক্সারের মতো তিনি প্রতিপক্ষের দুর্বলতাগুলোর খোঁজখাজ নিয়ে গিয়েছিলেন৷

কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ওবামাছবি: REUTERS

রমনি মুশকিলে পড়লেন যখন তাঁর ব্রহ্মাস্ত্রটিই মিসফায়ার করল৷ এক দর্শকের তরফ থেকে প্রশ্ন উঠেছিল বেনগাজিতে মার্কিন বাণিজ্য দূতাবাসের উপর সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে, যে হামলায় লিবিয়ায় মার্কিণ রাষ্ট্রদূত স্বয়ং নিহত হন৷ রমনি রিপাবলিকানদের পুরনো প্যাঁচ ব্যবহার করে আবার অভিযোগ তোলেন যে, ওবামা আরো দিন চোদ্দ যাবার আগে বেনগাজির আক্রমণকে সন্ত্রাসের ঘটনা বলে অভিহিত করেননি৷

ওবামা কিন্তু এবার ঠাণ্ডা মাথায় বলেন, তিনি তা করেছেন ঘটনা ঘটার ঠিক পরের দিন, হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে দেওয়া একটি বিবৃতিতে৷ সিএনএন সঞ্চালিকা ক্যান্ডি ক্রাউলিও এক্ষেত্রে ওবামাকে সমর্থন করেন৷

অনুরূপভাবে রমনি ওবামার শাসনে যুক্তরাষ্ট্রে কয়লা ও গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ার কথা বলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ওবামা সেটা সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়ে রমনিকে তাঁর অতীতে করা এবং নেওয়া নানা মন্তব্য ও সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন৷ অভিবাসন ইস্যুতেও ওবামার রণকৌশল ছিল এক৷ একে বলা যেতে পারে – বক্সিংয়ের ভাষায় – ওবামার ফুটওয়ার্ক৷

তৃতীয় এবং চূড়ান্ত প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট অনুষ্ঠিত হবে আগামী সোমবার, ফ্লোরিডায়৷ এবং সে বিতর্ক হবে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে৷ পার্থক্য শুধু এই যে, এবার মার্কিন মুলুকের নির্বাচনে মূল আলোচ্য বিষয় হল অর্থনীতি – এবং চাকরি, চাকরি, চাকরি৷ কাজেই ঐ তৃতীয় বিতর্কে নির্বাচনের ফলাফলে খুব একটা উনিশ-বিশ ঘটবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ