ওমানে বাংলাদেশের নারী গৃহকর্মীরা চরম নির্যাতন আর আবমাননার মধ্যে আছেন৷ তাঁদের সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হয়৷ অনেকেই সেখানে আটক বা ‘বন্দি' আছেন ৷ দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরতে পরছেন না৷
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে৷ বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারীদের সংগঠন – বায়রার সাবেক মহাসচিব আলি হায়দার চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘সরকারে উচিত হবে দ্রুত তাদের আইনগত সহায়তা দিয়ে দেশে ফেরত আনা৷''
এইচআরডাব্লিউ কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশি কয়েকজন নারী গৃহকর্মীর সাক্ষাত্কারও প্রকাশ করেছে৷ তাঁদের একজন আসমা ২০১৫ সালের মে মাসে আরব আমিরাতে যান৷ তিনি জানান, তাঁর রিক্রুটিং এজেন্ট তাঁকে একজন ওমানি ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন, এরপর তাঁর পাসপোর্ট আটকে রেখে ওমানে নিয়ে যান৷ সেখানে তাঁর বাড়িতে দিনে ২১ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হতো, ঠিক মতো খাবার দেয়া হতো না এবং যৌন হয়রানি করা হতো৷ আসমাকে সেখানে এক টাকাও বেতন দেয়া হয়নি৷ ওই ওমানি ব্যক্তি আসমাকে জানায়, সে ১ হাজার ৫৬০ রিয়েল (৪ হাজার ৫২ ডলার) দিয়ে তাঁকে (আসমা) কিনেছে৷ এখান থেকে মুক্তি চাইলে সেই টাকা আসমাকে দিতে হবে৷
আরেক বাংলাদেশি গৃহকর্মী বাবলি জনিয়েছেন, তাঁকে ওমানে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে৷ তাঁর কোনো সাপ্তাহিক ছুটি ছিল না৷ বসার সময় পর্যন্ত ছিল না৷ তিনি যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেখানকার মালিক সবসময় তাঁকে গালাগালি করতো বলেও জানিয়েছেন বাবলি৷
আলী হায়দার চৌধুরী
পারভীন জানিয়েছেন, ওমানের বন্দর নগরী সোহারে কাজ করতেন তিনি৷ সেখানে ১৬ মাস কাজ করেছেন৷ প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করতে হতো৷ তাঁকে প্রতিমাসে মাত্র ৫০ ওমানি রিয়েল (১৩০ ডলার) দেওয়া হতো৷
আরেক বাংলাদেশি গৃহকর্মী মমতা জানান, তিনি যে বাড়িতে কাজ করতেন সেখানকার মালিক তাঁকে মারধর করতেন৷ তিনি পুলিশের কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে আবার ওই মহিলার কাছেই ফেরত পাঠিয়েছিল৷ এরপর তাঁকে তালাবদ্ধ করে রাখতেন ওই মহিলা৷ একবার তাঁকে আট দিন ধরে একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ তখন তাঁকে খেজুর পাতা এবং পানি ছাড়া আর কিছু খেতে দেওয়া হয়নি৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ রকম ৫৯ জন অভিবাসী গৃহকর্মীর সাক্ষাত্কার নিয়েছে৷ তাঁদের অনেকেই বলেছেন যে, তাঁদের পাচার করে জোর করে কাজে বাধ্য করা হচ্ছে৷ তাঁদের কর্মক্ষেত্রের মালিকরাও বলেছেন, তাঁদের তারা কিনে নিয়েছেন৷
বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ওমানে ১ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি শ্রমিক রয়েছেন৷ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইথিওপিয়াসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে নারী গৃহকর্মীরা উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান৷
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের দুর্দশার কথা
পশ্চিমা বিশ্ব যখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে, বাংলাদেশে তখনও ঘরের কাজ করছেন গৃহকর্মীরা৷ মাসে তাঁদের গড় বেতন ৫১০ টাকা, কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘণ্টা৷ আর ঘুমাতে হয় রান্না ঘরের মেঝেতে৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/Godong
মাসিক বেতন ৫১০ টাকা
পশ্চিমা বিশ্ব এখন ঘরের কাজে রোবট ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে৷ এই নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা৷ তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সেদেশে ঘরের কাজের জন্য অধিকাংশ বাড়িতে রয়েছেন গৃহকর্মী৷ যাঁদের মাসিক গড় বেতন ৫১০ টাকা৷ আর দিনে কাজ করতে হয় কমপক্ষে দশ ঘণ্টা৷
ছবি: imago/Michael Westermann
৮৩ শতাংশ নারী
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বা আইটিইউসি ২০১২ সালে বাংলাদেশের গৃহকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে গৃহকর্মীর সংখ্যা বিশ লাখের মতো৷ এঁদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ নারী, যাঁদের অনেকে বয়সে শিশু কিংবা তরুণী৷
ছবি: imago/imagebroker
মেঝেতে ঘুমানো
আইটিইউসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ রাতে রান্নাঘরে ঘুমান৷ এছাড়া বসার এবং শোয়ার ঘরের মেঝেতে ঘুমান গড়ে ২০ শতাংশ করে গৃহকর্মী৷ কারো কারো আবার ঘুমাতে হয় স্টোর রুমে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অন্যায়, নির্যাতন
অধিকাংশ গৃহকর্মী বা কাজের মেয়ে পড়ালেখার সুযোগ পান না৷ বিনোদনেরও অভাব রয়েছে৷ কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ গৃহকর্মীর সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলা হয়৷ কাজ হারানোর আতঙ্কও কাজ করে তাঁদের মধ্যে৷ যৌন নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর সংখ্যা ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/Miriam Dörr
প্রাণহানি
২০০১ থেকে ২০১০ সাল সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে কমপক্ষে ৩৯৮ গৃহকর্মী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ বা বিলস৷ এছাড়া নির্যাতনে আহত গৃহকর্মীর সংখ্যা ২৯৯৷ আইটিইউসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যের উৎস বিলস এবং ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Fotolia/GrafiStart
জনসচেতনতা সৃষ্টি
গৃহকর্মীদের অধিকারের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগও রয়েছে বাংলাদেশে৷ ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’ এক্ষেত্রে সক্রিয়৷ এই নেটওয়ার্ক ১৪ বছরের কম বয়সিদের গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷
ছবি: imago/epd
ঘরে আটকে রাখা নয়
বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলো অনেক সময় গৃহকর্মীদের ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে বাড়িতে তালা দিয়ে রাখা হয়৷ ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’ এই কাজের তীব্র বিরোধীতা করেছে৷ গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নীতির আওতায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে নেটওয়ার্কটি৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: TAUSEEF MUSTAFA/AFP/Getty Images
শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি
গৃহকর্মী বা গৃহশ্রমিকদের ‘শ্রমিক হিসেবে’ স্বীকৃতি ও শ্রম আইনে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে ‘গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক’৷ ‘বাংলাদেশ লেবার অ্যাক্ট-২০০৬’-এ গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/Godong
8 ছবি1 | 8
তাঁদের মধ্যে কিছু কর্মী বাস্তবে একটি ভালো কাজের সন্ধান পেলেও বাকিরা চরম অমানবিক অবস্থায় কাজ করতে বাধ্য হন৷
ওমানের কাফালা পদ্ধতির কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের হয়রানি ও নির্যাতনের সুযোগ পান মালিকরা৷ ওমানের অনেক বাড়িতে বিদেশি গৃহকর্মীরা বন্দি রয়েছেন৷ দাসত্ব যৌন নির্যাতন, মারধর, বেতন না দেয়ার মতো অনেক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাঁরা৷
বায়রার সাবেক মহাসচিব আলি হায়দার চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানান, এখানে দু'ধরণের সমস্যা রয়েছে৷ এক শ্রেণির গৃহকর্মী আছেন যাঁরা প্রশিক্ষণ ছাড়াই সেখানে গিয়েছেন৷ ফলে তাঁরা সেখানকার কাজে খাপ খাওয়াতে না পেরে দেশে ফিরতে চাইছেন৷ আর আরেক অংশ আসলেই নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং বেতন না পাওয়ার ঘটনার শিকার হচ্ছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘এই নারী গৃহকর্মীদের অপরিকল্পিতভাবে সেখানে পাঠানো হয়েছে৷ ফলে এই অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদেরও আটক রাখা হচ্ছে, কারণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সেখানে রাখা হচ্ছে৷''
কেমন আছে অন্য দেশের গৃহকর্মীরা?
বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের অবস্থা কখনই ভালো ছিল না, এখনও নেই৷ তাঁদের রক্ষায় নেই কোনো আইন৷ কিন্তু বিশ্বের আর অন্যান্য দেশে তাঁদের কী অবস্থা? সেই তথ্যই থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/L. Hurley
পাঁচ কোটি ৩০ লক্ষ
২০১৩ সালে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, আইএলও-র এক প্রতিবেদন বলছে, সারা বিশ্বে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫৩ মিলিয়ন৷ এর মধ্যে ৮৩ শতাংশই নারী৷ তবে প্রকৃত সংখ্যাটি যে আরও কয়েক মিলিয়ন বেশি হতে পারে, সে কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এদিকে ১৫ বছরের কমবয়সি শিশু গৃহকর্মীদের সংখ্যা আইএলও-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি – ২০০৮ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৭৪ লক্ষ৷
ছবি: AP
আইনের বাইরে
আইএলও-র প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের গৃহকর্মীদের প্রায় ৩০ শতাংশই শ্রম আইনের সুবিধাবঞ্চিত৷
ছবি: DW
সাপ্তাহিক ছুটি
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক (৪৫ শতাংশ) গৃহকর্মী সাপ্তাহিক ছুটি পান না৷ তাছাড়া তাঁদের এমন কোনো বার্ষিক ছুটি নেই, যার জন্য তাঁদের অর্থ প্রাপ্য (পেইড লিভ)৷
ছবি: DW/M. Krishnan
প্রসূতি সুরক্ষা
প্রতি তিনজনের একজন গৃহকর্মী এই সুবিধা পায় না বলে জানিয়েছে আইএলও৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images
বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার!
গৃহকর্মী মানেই যেন কম টাকা দিয়ে বেশি ঘণ্টা কাজ করানো৷ এভাবে গৃহকর্মীদের প্রতারিত করে তাঁদের নিয়োগদাতারা অবৈধভাবে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স ফেডারেশন’৷
ছবি: imago/imagebroker
‘কাফালা’ যেন দাসপ্রথার অন্য রূপ
গাল্ফ দেশগুলোতে এই ব্যবস্থা থাকার কারণে গরিব দেশ থেকে সেখানে যাওয়া গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তাঁদের নিয়োগদাতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে না৷ কারণ কাফালা ব্যবস্থার কারণে নির্যাতিতরা চাইলেও নিয়োগদাতার ছাড়পত্র ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারেন না৷ ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন’ এই অবস্থাকে দাসত্বের সঙ্গে তুলনা করেছে৷ আইএলও-র হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ২১ লক্ষ৷
ছবি: AP
হংকংয়ে গৃহকর্মীদের অবস্থা
তিন হাজার গৃহকর্মীর উপর চালানো এক জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৮ শতাংশ বলেছে, তাঁদের মৌখিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে৷ ১৮ শতাংশ তাঁদের উপর শারীরিক নির্যাতনের কথা বলেছে৷ আর যৌন হয়রানির কথা জানিয়েছে ৬ শতাংশ৷
ছবি: Miguel Candela/TRANSTERRA
বাড়ি তো নয়, যেন কারাগার!
উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়াতেও ভালো নেই গৃহকর্মীরা৷ ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে সেখানে গৃহকর্মীদের সর্বোচ্চ ১৬ ঘণ্টা কাজ করানো, বেতন না দেয়া ও শারীরিক নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে৷ প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িগুলোকে ‘কারাগার’-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে৷
ছবি: Fotolia/apops
একা বাড়ির বাইরে নয়
না, ছোট্ট শিশুদের কথা বলা হচ্ছে না৷ ইংল্যান্ডের মতো দেশে প্রায় ৬০ শতাংশ গৃহকর্মীদের একা বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হয় না বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘কালায়ন’৷
ছবি: picture-alliance/dpa/empics/L. Hurley
9 ছবি1 | 9
বায়রার সাবেক মহাসচিব আরো বলেন, ‘‘সরকারের উচিত হবে দূতাবাসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের যেসব গৃহকর্মী নির্যাতিত হচ্ছেন, আটক আছেন তাঁদের দেশে ফেরত আনা৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘গৃহকর্মীদের ২০ ঘণ্টা মালিকের বাড়িতে না রেখে কাজ শেষে তাঁরা যাতে ডরমিটরিতে থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে৷''