ওরবানকে আংশিক বয়কটের পথে ব্রাসেলস
১৬ জুলাই ২০২৪![ওরবান-পুটিন বৈঠক](https://static.dw.com/image/69572364_800.webp)
ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এই প্রেসিডেন্সি পদ পাওয়া যায়। সম্প্রতি ছয়মাসের জন্য় পদটি পেয়েছে হাঙ্গেরি। পদ পাওয়ার পরেই লম্বা সফর করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। তিনি প্রথমে কিয়েভ যান। সেখান থেকে মস্কোয় গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে চীনে গিয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ওয়াশিংটনে ন্য়াটোর সভায় যোগ দেন। ওরবান তার এই সফরের নাম দিয়েছেন শান্তি সফর বা পিস মিশন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের অভিযোগ, কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সফরসূচি তৈরি করেছিলেন ওরবান। এবং কাউন্সিল এই সফর সমর্থন করে না। বিশেষ করে যেভাবে পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওরবান, ইউরোপীয় কাউন্সিল তা কোনোভাবেই সমর্থন করে না। সে কারণেই, ব্রাসেলস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওরবানের এই ছয়মাসের প্রেসিডেন্সি আংশিকভাবে বয়কট করা হবে।
স্থির হয়েছে, হাঙ্গেরি যে কয়টি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবে, সেখানে কোনো কমিশনার পাঠানো হবে না, প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি আমলাদের পাঠানো হবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তিনি এবং তার সহকর্মীরা হাঙ্গেরির সভাপতিত্বে একটিও বৈঠকে থাকবেন না। কেবলমাত্র আমলারা থাকবেন।
সাধারণত, যে দেশ প্রেসিডেন্সি পায়, কমিশনের ২৭ জন কমিশনার সেই দেশের রাজধানীতে গিয়ে একটি বৈঠক করেন এবং আগামী কয়েকমাসের রোডম্য়াপ স্থির করা হয়। কিন্তু হাঙ্গেরির ক্ষেত্রে সেই সফরও হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অ্যামেরিকায় ন্য়াটোর বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠক করেন ওরবান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে হাঙ্গেরি একমাত্র দেশ, যার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো। যে কোনো সময় পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ওরবান। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেন যুদ্ধেও রাশিয়াকে অঘোষিত সাহায্য করেছে হাঙ্গেরি। বস্তুত, দেশের ভিতর ওরবানের ক্ষমতা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন আছে। যেভাবে তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন, তা অনেকেই সমর্থন করেন না।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)