এই ভিডিওটা না দেখলে বিশ্বাস করতে আমারও কষ্ট হতো৷ কিন্তু যেভাবে ওরা একসঙ্গে আগাচ্ছিল তা না দেখলে বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন৷
বিজ্ঞাপন
ভিডিও-র শুরুটা দেখলে সাধাসিধেই মনে হবে৷ বিকিনি পরা এক তন্বী ‘ওয়েকবোর্ডিং’ করছেন সমুদ্রের পানিতে, আর স্পিডবোট থেকে সেটা ভিডিও করছেন কোনো এক ব্যক্তি৷ সাধাসিধে এই ভিডিওটি অসাধারণ হয়ে ওঠে অল্পক্ষণের মধ্যেই৷
হঠাৎ দেখা যায়, তন্বীকে ঘিরে চারপাশের পানিতে আলোড়ন তৈরি হচ্ছে৷ কী হচ্ছে বোঝা ওঠার আগেই পানি থেকে মাথা তুলতে শুরু করে এক ঝাঁক ডলফিন৷ তারা তরুণীকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে একসঙ্গে একইগতিতে ছুটতে থাকে৷ দেখলে মনে হবে যেন, তাকে যেন গোটা পথটা ‘এস্কর্ট' করে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকশ’ ডলফিন৷
মজার এই ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেছেন প্রো উইন্ডসার্ফার ওয়াট মিলার৷ মেক্সিকোর এই বাসিন্দা ভিডিও-র ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘এটা অবশ্য আমার জীবনের সেরা তিনটি দুপুরের একটি ছিল৷’’ ভিডিওটি করার সময়ই তিনি বুঝেছিলেন এটা ভাইরাল হবে, তখন তিনি বলেছিলেনও সেকথা৷ আর ওয়েকবোর্ডের উপরে থাকা তরুণীর নাকি মনে হয়েছিল, ডলফিনরা তাঁকে একেবারে নিয়ে গেলে মন্দো হতো না৷ এমন সুন্দর পরিবেশে মৎসকন্যা হয়ে থাকতে একদমই আপত্তি ছিল না তাঁর৷
২০১৩ সালে আপলোড করার ভিডিওটি ইতোমধ্যে দেখা হয়েছে প্রায় দু’কোটি বার৷ এখনও অনেকে সেটি ফেসবুকে শেয়ার করছেন৷
এআই/ডিজি
ওয়ালফিন থেকে লাইগার – সংকর প্রজাতির কিছু দৃষ্টান্ত
সুকুমার রায়ের কবিতায় ‘হাঁসজারু’ বা ‘বকচ্ছপ’-এর মতো কাল্পনিক সংকর প্রাণীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে৷ কিন্তু বাস্তবেও মিশ্র প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যা কম নয়৷ এদের কয়েকটির সঙ্গে আলাপ করা যাক৷
ছবি: picture-alliance/newscom
‘পিজলি’ ভালুক
উত্তরমেরুর পোলার বেয়ার এবং গ্রিজলি বেয়ার – এই দুই ভালুকের মিলনের ফল ‘পিজলি বেয়ার’৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই দুই প্রাণীর সাক্ষাৎ সম্ভব হয়েছে৷ তারা নিজেরাও বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম৷ সম্প্রতি গবেষক ও শিকারিরা এই মিশ্র প্রজাতির বেশ কয়েকটি নমুনা চোখে দেখেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/University of Alberta/Andrew E. Derocher
খচ্চর
সংকর প্রজাতির সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ সম্ভবত খচ্চর৷ ছেলে গাধা আর মেয়ে ঘোড়ার মিলনের ফলে সৃষ্টি হয় ‘মিউল’৷ উলটোটা হলে ইংরেজিতে বলা হয় ‘হিনি’৷ বাংলায় দুই ক্ষেত্রেই তার নাম খচ্চর৷ মাল বইতে তারা ওস্তাদ৷ তবে বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা নেই এই মিশ্র প্রজাতির৷
জেবরা ও গাধার মিশ্রণে সৃষ্ট প্রাণীকে কি বাংলায় ‘জেবধা’ বা ‘গাধরা’ বলা চলে? ইংরেজিতে এর নাম জেব্রয়েড৷ ২০১৩ সালে ইটালির ফ্লোরেন্স শহরের চিড়িয়াখানায় ছবির এই প্রাণীটির জন্ম হয়৷ ইথিওপিয়ায় প্রকৃতির কোলেও এদের দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/Afp/Tiziana Fabi
পুকুরের ব্যাং
জার্মানিতে পুকুরের ব্যাং যে আসলে সংকর প্রজাতির প্রাণী, তা অনেকেই জানে না৷ মার্শ ফ্রগ ও ছোট ‘ওয়াটার ফ্রগ’ প্রজাতির সংমিশ্রণে এদের সৃষ্টি৷ তাদের ডাকের মধ্যেও দুই প্রজাতির ছাপ শোনা যায়৷ জার্মানির বিভিন্ন বাগানে এদের বংশবৃদ্ধি ঘটে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Wittek
ওয়ালফিন
হোয়েল + ডলফিন = ওয়ালফিন৷ অর্থাৎ উল্ফ বা নেকড়ের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই৷ তিমি ও শুশুকের মিলনে সৃষ্ট ছবির এই প্রাণীটির জন্ম হাওয়াই দ্বীপে সি লাইফ পার্কে৷ নাম কেকাইমালু৷
ছবি: picture-alliance/newscom
ক্যামা
ক্যামেল + লামা = ক্যামা৷ গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষে দুবাই শহরে বিশ্বের প্রথম ক্যামার জন্ম হয়, তবে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ায়৷ তারপর তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে৷ উদ্দেশ্য ছিল এমন প্রজাতি সৃষ্টি করা, যা লামার তুলনায় বেশি উল বা পশম উৎপাদন করে এবং উটের মতো বড় ও শক্তিশালী হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Balkis Press/Abaca
ভেড়া-ছাগল
ভেড়া ও ছাগলের সংকর তেমন বিস্ময়কর না মনে হলেও বিষয়টা মোটেই সহজ নয়, কারণ, এই দুই প্রজাতির জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে৷ তাদের মিলন হলে শাবক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত অবস্থায় জন্মায়৷ ছবির এই প্রাণীটি সুস্থ অবস্থায় আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Murphy
লাইগার
লায়ন + টাইগার = লাইগার৷ প্রকৃতির কোলে সিংহ ও বাঘের সংকর দেখা যায় না৷ শুধু চিড়িয়াখানায় এমন কিছু নমুনা রয়েছে৷ যেমন রাশিয়ার নভোসিবির্স্ক শহরের চিড়িয়াখানায় জিটা নামের এই প্রাণীটি৷ ২০১৫ সালে তার দুটি শাবক জন্মায়৷ আকারে ও ওজনে তারা অনেক সময় বাবা-মায়ের থেকেও বড় হয়৷