1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফার্গুসনের মূর্তি

৬ নভেম্বর ২০১২

মারাদোনাকে মনে রাখতে নাপোলি যা করেছে, ফার্গুসনের জন্য তা-ই করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ খেলোয়াড় মারাদোনা আর ম্যানেজার ‘ফার্গি’-র আরেকটা মিলও স্থায়ী হয়ে গেল!

ছবি: picture-alliance/Back Page Images

দু'জনের অমিল অনেক৷ একজন খেলোয়াড়, আরেকজন ম্যানেজার৷ একজন আর্জেন্টাইন. আরেকজন স্কটিশ – এসব তো আছেই৷ বলতে গেলে আরো কত কী বলা যায়! আর্জেন্টিনার হয়ে দিয়েগো মারাদোনা বিশ্বকাপ জিতেছেন, ফার্গুসন বিশ্বকাপ খেলা তো দূরের কথা, ম্যানেজার হিসেবেও সুযোগ পাননি বিশ্বকাপে৷ অবশ্য পাননি না বলে সেরকম কিছু এখনো চাননি বলাই ভালো৷ অ্যালেক্স ফার্গুসন আজ বললে কালই তাঁকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠাবে এমন দেশ বোধহয় হাতে গুনে শেষ করা যাবে না৷ একবার জাতীয় দলের কোচ হলে সে দলকে বিশ্বকাপে তোলা ম্যান ইউ বস-এর জন্য কোনো ব্যাপার!

অথচ এখনো কোনো দেশের কোচ হওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহও দেখান নি জন্মসূত্রে স্কটিশ ফার্গুসন৷ সে কারণেই তাঁর সব সাফল্য ক্লাব ফুটবলে, এবং সাফল্যের প্রায় সবই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে৷ ইংল্যান্ডের এই ক্লাবে ১২টি লিগ, ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, পাঁচটি এফএ কাপ ও চারটি লিগ কাপ মিলিয়ে ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত মোট শিরোপা জিতেছেন ৪৮টি! এমন সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবেই এবার তাঁর একটা মূর্তি গড়েছে ম্যান ইউ৷ ওল্ডট্রাফোর্ডের এ মূর্তিটির উদ্বোধন হবে আগামী ২৩শে নভেম্বর৷ ক্লাব ফুটবলে মারাদোনার সবচেয়ে বড় সাফল্য নাপোলির হয়ে৷ ইতালির ক্লাবটি কিন্তু তাঁরও মূর্তি গড়ে রেখেছে!

মারাদোনাকে মনে রাখতে নাপোলি যা করেছে, ফার্গুসনের জন্য তা-ই করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডছবি: AP

শুধু মূর্তি গড়াতেই মিল দু'জনের? একেবারেই নয়৷ মারাদোনা যে বছর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতালেন, সে বছরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অ্যালেক্স ফার্গুসন৷ হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, ১৯৮৬ সালেই ম্যান ইউ কোচ হিসেবে অভিষেক ফার্গুসনের৷ সেই থেকে ২৬টি বছর৷ একই ক্লাবে৷ কত খেলোয়াড় এসেছেন-গেছেন, কত উত্থান-পতন দেখেছেন ম্যান ইউ সমর্থকরা, অ্যালেক্স ফার্গুসন সবসময় ছিলেন তাঁদের সাথে, সহমর্মী-সমব্যথী নেতার মতো৷ তাই ফার্গুসনের আন অফিসিয়াল আরেকটি নাম ‘ম্যান ইউ বস'৷

মারাদোনার সঙ্গে আরেকটি মিল ব্যক্তিত্বে৷ কেরিয়ার জুড়ে অসংখ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন দু'জনই৷ মারাদোনা যেমন সুযোগ পেলেই ফিফা এবং পেলে-কে এক হাত নিতে পছন্দ করেন, ফার্গির পছন্দ সেখানে প্রতিপক্ষ দল বা কোচকে ম্যাচের আগে কথার লড়াইয়ে কুপোকাত করা৷ মারাদোনার মতো ড্রাগ কেলেঙ্কারিতে জড়াননি ঠিকই, তবে ম্যানেজার ফার্গিও এমন অনেক ‘কীর্তি' গড়েছেন যে সবের কথা ফুটবলবিশ্ব কোনো দিন ভুলবে না৷

বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দিতে পারলে ধন্য হন সকলে, ফার্গি তাঁদের সাক্ষাৎকারই দেন না, ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেন নির্বিবাদে – ভাবা যায়! সব ক্লাবে তারকা ফুটবলারদের রীতিমতো জামাই আদর৷ অথচ ফার্গির সঙ্গে তর্ক করে বুটের আঘাতে আহত হয়ে এক পর্যায়ে ক্লাব ছাড়তে হয় ডেভিড বেকহাম৷ রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়ানোয় এ পর্যন্ত পাঁচ বার মাঠে নিষিদ্ধ হওয়া এবং পাঁচ দফায় ৭৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা দেয়া লোকটির নাম বলতে পারেন? স্যার অ্যালেক্স চ্যাপম্যান ফার্গুসন৷ ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে ‘স্যার' উপাধি পাওয়া ফার্গুসনের মারাদোনার সঙ্গে সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা কী বলুন তো? ফার্গুসন কখনো ফুটবলে নিষিদ্ধ হননি, মারাদোনা হয়েছেন!

এসিবি/ডিজি (এপি, ইন্টারনেট)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ