শুনলে অবাক হবেন, রোগ নিরাময়ে ‘চুমু ওষুধ' ব্যবহার করে আসছিলেন এক স্বঘোষিত ‘গডম্যান'৷ যাবতীয় অসুখ সারাতে তিনি নানা ভঙ্গিতে চুম্বন করতেন৷ বহু নারীকে বোকা বানিয়ে দিব্বি চলছিল তার কারবার৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি৷
বিজ্ঞাপন
জীবনে সমস্যার কি শেষ আছে! কেউ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, কেউ সাংসারিক অশান্তি থেকে নিস্কৃতি চান, কারো স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত, কেউ নেশাগ্রস্ত, কেউ আবার যৌন সমস্যায় জেরবার৷ বেশ কিছু সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ায় সঙ্কোচ থাকে৷ সামাজিক সচেতনতার অভাবে ঠিক সেখানেই থাবা বসায় তথাকথিত ‘ধর্মগুরু' বা ‘বাবারা'৷ এমনই এক ‘বাবা'র সন্ধান মিলেছে ভারতের আসামে৷ যাবতীয় সমস্যার সমাধানে তার একটাই ওষুধ আর তা হলো ‘চুমু'৷ লোকমুখে তার নাম ‘কিসিং বাবা'৷ তবে দেরিতে হলেও সেই ভন্ডের ঠাঁই হয়েছে জেলে৷ কিন্তু হতভাগ্য দেশে এক ‘বাবা' জেলে গেলে আর এক ‘বাবা' আবির্ভূত হয়৷
আসামের মোরিগাঁও থেকে রামপ্রকাশ চৌহান নামে বছর তিরিশের এক ভন্ড ‘বাবা'কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ভোরালটুপ গ্রামের বাসিন্দা তিনি৷ তার এক অদ্ভুত দাবি৷ তার কাছে নাকি ভগবান বিষ্ণুর দেওয়া অলৌকিক শক্তি আছে! শরণাপন্ন মহিলাদের গলা জড়িয়ে তিনি চুমু খেতেন৷ এ কারণেই তার নাম হয়ে যায় ‘চুমু বাবা'৷ তার দাবি ছিল, তার ‘চমৎকারী চুম্বন' ভীষণ শক্তিশালী৷ তা দিয়ে নাকি তাবৎ অসুখ নিমেষে ভালো করে দিতে পারেন৷
ভারতের সমালোচিত ধর্মগুরুরা
ভারতে ধর্মগুরুদের কোনো কমতি নেই৷ কয়েকজন তো নিজেরাই নিজেদের ‘ঈশ্বর’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন৷ আবার কেউ কেউ আছেন, যাদের কথা আর কাজের মধ্যে কোনো মিল নেই৷ ছবিঘরে থাকছে ভারতের সমালোচিত কিছু ধর্মগুরুর কথা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
গুরমিত রাম রহিম সিং
ডেরা সাচ্চা সওদার প্রধান আধ্যাত্মিক গুরু গুরমিত রাম রহিম সিং নিজেকে ‘সব সম্প্রদায়ের ঈশ্বর’ বলে ঘোষণা করে৷ দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ সেই মামলায় রাম রহিম সিংকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত৷ ২৫ আগস্ট আদালত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করলে তার ভক্তরা দুই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়৷ নিহত হয় ৩৮ জন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
জাকির নায়েক
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ইসলামি জঙ্গিবাদে মদদ দেয়া অভিযোগ এনেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার৷ তাঁর বিষয়ে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে৷ গত বছরের জুলাইতে ঢাকায় হোলি আর্টিজেন ক্যাফেতে হামলাকারী জঙ্গিরা নায়েকের কথা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে৷ ঐ বছর থেকেই ভারতের বাইরে অবস্থান করছেন তিনি৷
ছবি: cc-by-maapu 2.0
রাধে মা
ভারতীয় সংস্কৃতিতে মা শব্দটি ভীষণ পবিত্র৷ কিন্তু কিছু ভণ্ড এর সুযোগ নেয়৷ রাধে মা তাদের একজন৷ গুজরাটে এক পরিবারের সাতজন সদস্যকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ এছাড়া পণ দিতে বাধ্য করা, আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে, যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
ছবি: radhemaa.com
রামবৃক্ষ যাদব
২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশের মথুরায় পুলিশের গুলিতে মারা যায় রামবৃক্ষ যাদব৷ সেখানকার প্রশাসন অবধ এর ভূমি তাদের দখল মুক্ত করতে গেলে রামবৃক্ষ যাদবের স্বাধীন ভারত সুভাষ সেনার সশস্ত্র গুণ্ডারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে৷
ছবি: Getty Images/AFP
স্বয়ম্ভূ সন্ত রামপাল
নিজেকে সন্ন্যাসী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু তার বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, পেট্রোল বোমা বানানো, অস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে৷ তার আশ্রমে নাকি নারীদের টয়লেটে ক্যামেরাও পাওয়া গিয়েছিল৷
ছবি: Getty Images/Afp/Sajjad Hussain
আসারাম বাপু
নামটা কেউ এখনও ভুলে যায়নি৷ বিপুল ক্ষমতার অধিকারী৷ ২০১৩ সালে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ে৷ ‘বাবার’ বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গোটা দেশ তোলপাড় হয়৷ জল গড়ায় আদালতে৷ আসারাম এবং তার সুপুত্র, দু'জনেই গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেলেন এবং শেষ পর্যন্ত বিচারে আসারাম দোষীও প্রমাণিত হলেন৷ তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হলো৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images
স্বামী নিত্যানন্দ
ইনিও এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু৷ ২০১০ সালে স্টিং অপারেশে টিভির পর্দায় ফাঁস হয় তাঁর কীর্তি৷ দক্ষিণের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখা যায় বাবাকে৷ সেই ভিডিও সম্প্রচারিত হতেই হুলস্থূল পড়ে যায়৷ সিআইডি তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাবাকে৷ বাবার গ্রেপ্তারিতে ভক্তকূল আকুল হয়ে প্রতিবাদ জানায়৷
ছবি: AFP/GettyImages/M. Kiran
জয়েন্দ্র সরস্বতী
কাঞ্চি কামকোঠী পিঠের জয়েন্দ্র সরস্বতীকে ২০০৪ সালের নভেম্বরে সেখানকার ম্যানেজার শংকর রামণকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ২০০৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা তামিলনাড়ু থেকে সরিয়ে পন্ডিচেরি পাঠিয়ে দেয়৷ যদিও পরে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Lakshman
নির্মল বাবা
২০১২ সালে উত্তর প্রদেশের নির্মল বাবার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ধান্দাবাজির অভিযোগ আনা হয়৷ টেলিভিশনে মানুষকে অদ্ভুত সব পরামর্শ দিতে দেখা যেত তাকে৷ যেমন সিঙ্গারার সাথে ঝাল না খেয়ে মিষ্টি চাটনি খেলে দুঃখ দূর হয়৷
ছবি: Screenshot
সন্ত সাঁই বাবা
২০০৫ সালে সন্ত সাঁই বাবার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করা হয়৷ ২৭ বছর বয়সি এক যুবক তার বিরুদ্ধে যৌন নীপিড়নের অভিযোগে মামলাটি করে৷ এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে৷ তবে পরের বছরই রাম তার মামলা উঠিয়ে নেয়৷
ছবি: AP
বিক্রম চৌধুরী
হট যোগ বিখ্যাত হয়েছিল বিক্রম চৌধুরির কল্যাণে৷ একাধিক যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে তার নামে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Bockwoldt
11 ছবি1 | 11
একবিংশ শতকে পৌঁছেও মোরিগাঁও এমন এক জায়গা, যেখানে যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ ‘কালো জাদু'তে বিশ্বাস করে আসছে৷ আর সেই সুযোগ নিয়ে নিজেকে ‘বিষ্ণুর অবতার' দাবি করে মানবরূপী শয়তান রামপ্রকাশ সেখানে গত তিন মাস ধরে রমরমা কারবার ফেঁদে বসেছিলেন৷ রামপ্রকাশের মা-ও ছেলের ‘অলৌকিক' শক্তির প্রচার করতেন৷ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পু্লিশ৷ তার আশ্রমে যথারীতি ভক্তের ঢল নেমেছিল৷ নারী-পুরুষ সকলেই রোগ নিরাময়ের লক্ষ্যে আসতেন৷
শ্যামল চ্যাটার্জি
তবে ‘বাবা'র বেশি পছন্দ শিষ্যাদের৷ শর্ত একটাই– যে-কোনো সমস্যা নিয়ে ‘বাবা'র কাছে যেতে পারবেন শুধু মহিলারাই৷ ভিন্ন রোগে ভিন্ন চুমু৷ কাউকে স্রেফ ফ্রেঞ্চ কিস, কাউকে আবার লিপলক কিস৷ ধর্মান্ধ মানুষজন ‘বাবা'র ক্ষমতায় নাকি এমন অভিভূত যে, ক্রমে বাবার মাহাত্ম ও দৈব শক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ে দূর দূরান্তের গ্রামগুলিতে৷ তার বাড়ির সামনেই তৈরি হয়ে যায় ‘চুমু বাবা'র মন্দির৷ খবর পেয়ে ছুটে এলেন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা৷ ব্যাপক প্রচার হলো৷ তারপর এক এক করে মহিলারা আসছেন, আর ‘বাবা' তাদের জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছেন৷
গত কয়েক বছরে আশারাম বাপু থেকে বাবা রাম রহিম৷ হালে বাবা দাতি মহারাজ থেকে ওম বাবা৷ এরা সবাই গেরুয়াধারী৷ সবারই সহজ শিকার নারী৷ ধর্মের আড়ালে লালসার শিকার হয়েছেন শত শত মহিলা৷
কথা হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের আজীবন সদস্য শ্যামল চ্যাটার্জির সঙ্গে৷ তাঁর কথায়, ‘‘ বাবা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে৷ এ নিয়ে অনেকেই কাজ করছেন৷ কিন্তু বেশকিছু ফাঁকফোকর থেকে যাচ্ছে৷ প্রশাসনের দায়িত্ব অস্বীকার করা চলে না৷ প্রশাসনিক পদক্ষেপ ঠিকঠাক হলে শুরুতেই বিনাশ হয় এই ‘বাবা'রা৷ ভারতে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে এই ‘বাবা'দের প্রচার চলছেই৷ প্রচারমাধ্যমকেও আটকানো উচিত৷ সিনেমা, টিভি সিরিয়াল ও সোশ্যাল সাইটে দিব্যশক্তির প্রচার চলছে৷ শুধু আইন করে এদের রুখে দেওয়ার কথা বলা হলে, এক বাবা যাবেন, আর এক বাবা আসবেন৷''
দীর্ঘদিন সামাজিক কুসংস্কার ও জনসচেতনতা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে শ্যামল চ্যাটার্জি বললেন, ‘‘আরো একটি দিক হলো, সমাজের উচ্চপদস্থ ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের ভূমিকা৷ ধরুন, এপিজে আবদুল কালামকে যদি কোনো ‘বাবা'র পায়ের কাছে বসে থাকতে দেখা যায়, তাহলে সেই বাবা সম্পর্কে একটা আস্থা বা বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে৷ সাধারণ মানুষ মনে করে, সমাজের গন্যমান্য ও বিখ্যাত ব্যক্তিরা যাদের শরণাপন্ন, তাঁরা নিশ্চয়ই মহান৷ বহু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এমন ভন্ড ‘বাবা'দের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানমনস্করা প্রচারে নামলে সাধারণ মানুষ বলে, ‘বাবা'দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, কারণ, উচ্চ পদস্থ মানুষরা কী বোকা?''
কে এই রাম রহিম!
ভারতের পঞ্চকুলায় বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা গুরমিত রাম রহিমের সমর্থকেরা সহিংস হয়ে উঠেছিল৷ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তারা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
‘রকস্টার বাবা’
শুরুতে এই নামেই পরিচিত ছিলেন রাম রহিম৷ উজ্জ্বল, রংবেরংয়ের কাপড়, এবং গহনা ছিল তার পছন্দের জিনিস৷ স্বঘোষিত এই ‘ঈশ্বরের দূত’ বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন, কয়েকটিতে অভিনয়ও করেছেন৷ তবে তার অর্থ ও সম্পদের উৎস এখনও অজানা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
সমাজকর্মী সাধু
শুরুতে নিজেকে ‘সামাজিক সাধু’ এবং ‘মানবপ্রেমী’ বলে দাবি করেন রাম রহিম৷ তার অনুসারীদের উদ্যোগে বেশকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন হয়৷ ২০১০ সালে একটি গণবিয়ের আয়োজনের করা হয়, যেখানে রাম রহিমের ১০০ অনুসারী স্বেচ্ছায় সাবেক যৌনকর্মীদের বিয়ে করেন৷ তার এ ধরনের কাজ বিপুল পরিমাণ অনুসারীদের আকৃষ্ট করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Topgyal
অপরাধমূলক অভিযোগ
নিজের প্রযোজিত ও অভিনীত একটি চলচ্চিত্রে গোবিন্দ সিং নামে এক শিখ গুরুর বেশ ধরায় শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়৷ পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হয় রাম রহিমকে৷ তবে তার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সব অপরাধের অভিযোগও রয়েছে৷ ২০০২ সালে একজন সাংবাদিক হত্যার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে৷ তবে ২০০২ সালে নিজের দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগেই শেষ পর্যন্ত সাজা হচ্ছে রাম রহিমের৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/R. Prakash
রায়ের পর সহিংসতা
রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে বলে হাই কোর্টের দেয়া রায়ের পরপরই পঞ্চকুলা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং সিরসা শহরে বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থকরা৷ সহিংসতার শুরু হয় পঞ্চকুলায়৷ সেখানে এক লাখেরও বেশি রাম রহিম সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.Qadri
অনেকের মৃত্যু
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সহিংসতা শুরু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন শহর মিলিয়ে অন্তত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ তবে নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma
বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ
পঞ্চকুলা, সিরসা, সঙ্গরুর এবং মোগা জেলায় অনির্দিষ্টকালের কালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ দিল্লিতেও একটি ট্রেনের কয়েকটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা৷
ছবি: Getty Images/M.Sharma
প্রশাসনিক ব্যর্থতা
হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব সরকার আগে থেকেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেছিল৷ কিন্তু তারপরও দুই রাজ্যই হাজার হাজার রাম রহিম সমর্থককে পঞ্চকুলায় প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল৷ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এ অবস্থা সৃষ্টি হতো না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সহিংসতা চলাকালে বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে চণ্ডীগড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল৷ ভারতীয় রেলওয়ের দুই শতাধিক ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছিল৷