ওষুধ শিল্প
২৫ জুন ২০১২কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ যদি প্রাণহানীর কারণ হয় তার চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারেনা৷
বাংলাদেশে এখন মোট ওষুধ কোম্পানির সংখ্যা ১৬০টি৷ আর বাংলাদেশ এখন ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ওষুধ দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে৷ কিন্তু আশঙ্কার কথা এই কোম্পনিগুলোর বড় একটি অংশের তৈরি ওষুধ নিম্নমানের৷ এরকম ৬২টি ওষুধ কোম্পানিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি৷ তবে সরকার এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নিয়েছে মাত্র ১২টির বিরুদ্ধে৷ তাতে হতাশ খোদ ওষুধ প্রস্তুতকারীরাই৷ তাদের মতে এসব কোম্পানির কারনে বাংলাদেশের মানসম্মত ওষুধ নিয়েও আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে৷ ওষুধ প্রস্তুতকারী রেনেটা লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কায়সার কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন সরকারের উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া৷
তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসনেরও দায়িত্ব নিতে হবে৷ লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের যেমন সতর্ক হতে হবে তেমনি উৎপাদন প্রক্রিয়া তাদের কঠোর পর্যবেক্ষনের আওতায় আনতে হবে৷
নিম্নমানের ওষুধ খেয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিকার পাওয়ার সুনির্দষ্ট আইনও নেই বাংলাদেশে৷ রিড ফার্মাসিউটিক্যালস-এর প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে দুই বছর আগে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মামলাটি এখনো ঝুলে আছে৷ বিচার শেষ হয়নি৷
এই অবস্থায় বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারকে কঠোর হতে হবে৷ মান নিয়ন্ত্রনে নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা৷ আর তাতে মানুষও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ওপর আস্থা পাবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম