1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওসামা বিন লাদেন নিহত

২ মে ২০১১

টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নিহত হলেন আল কায়েদার শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেন৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এই তথ্য দিয়েছেন৷

El Kaida Führer Osama bin Laden
ওসামা বিন লাদেন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

তিনি বলেন, তাঁর নির্দেশে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ছোট্ট দল রবিবার পাকিস্তানে লাদেনকে মারতে সমর্থ হয়৷ এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ তবে এতে মার্কিন বাহিনীর কেউ মারা যান নি৷ কোনো সাধারণ লোকও নিহত হয় নি৷ এরপর লাদেনের মরদেহ নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় মার্কিন বাহিনী৷

ওয়াশিংটন সময় রবিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ওবামা নাটকীয় এই ঘোষণা দেন৷

অভিযানের পর ওবামা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ ওবামা বলেন পাকিস্তান এই অভিযানে সহায়তা করেছে৷

প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ভাষণে বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত লাদেনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরা৷

মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রবিবার পাকিস্তানে লাদেনকে মারতে সমর্থ হয় (ফাইল ফটো)ছবি: AP

তিনি বলেন, লাদেনকে মারার মানে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়৷ কারণ তিনি কোনো মুসলিম নেতা ছিলেন না৷ বরং লাদেনের হাতে অনেক নিরীহ মুসলমানও মারা গেছেন৷ ওবামা বলেন, লাদেন হাজার হাজার সাধারণ জনগণ হত্যার জন্য দায়ী৷

প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ভাষণে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতদের বারবার স্মরণ করেন৷ ঐ ঘটনায় প্রায় তিন হাজার জন নিহত হন৷

এদিকে লাদেনের নিহত হওয়ার খবর প্রচারে পর উল্লসিত মার্কিন জনগণ হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হয়ে ‘ইউএসএ, ইউএসএ’ বলে শ্লোগান দেয়৷

কে এই লাদেন?

অনেক দিন ধরেই লাদেনের নাম যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় ছিল৷ কিন্তু টুইন টাওয়ার ঘটনার পর তার নাম একেবারে শীর্ষে চলে আসে৷ শুধু অ্যামেরিকায় নয়, সারা বিশ্বেই সন্ত্রাসবাদের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠেন বিন লাদেন৷

তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালে সৌদি আরবে৷ তার বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ বিন লাদেন৷ যিনি সৌদি আরবের প্রায় ৮০ ভাগ সড়কের নির্মাণকাজ করেছেন৷ ফলে তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধনী একজন ব্যক্তি৷ ওসামা বিন লাদেন ছিলেন তার ৫২ সন্তানের মধ্যে ১৭তম৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ