ওয়াইনহাউসের প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও অশ্রু
২৪ জুলাই ২০১১![ARCHIV: In this July 4, 2008 file photo, singer Amy Winehouse of England performs during the Rock in Rio music festival in Arganda del Rey, on the outskirts of Madrid. Die britische Saengerin Amy Winehouse ist gestorben. Die 27-Jaehrige wurde tot in ihrer Londoner Wohnung gefunden, wie der britische Sender Sky News am Samstag (23.07.11) unter Berufung auf die Polizei berichtete. (zu dapd-Text) Foto: Victor R. Caivano/AP/dapd](https://static.dw.com/image/15261985_800.webp)
এত অল্প বয়সে প্রতিভাবান শিল্পীর বিদায় কেউই মেনে নিতে পারছে না৷ চমৎকার কণ্ঠ এবং গান ছাড়াও ট্রেডমার্ক চুল, ব্যতিক্রমী মেকআপ আর সারা শরীরে ট্যাটু ছিল ওয়াইনহাউসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য৷ এছাড়া তাঁর গানের কথাগুলোও যেন ছিল তাঁর অনিয়ন্ত্রিত এবং অবাধ্য জীবনেরই একটি প্রতিচ্ছবি৷ তা সত্ত্বেও ভক্তদের হৃদয় জয় করতে পেরেছিলেন এই তারকা৷ তাঁর বিদায়ের পর ভক্তরা তাঁর বাড়ির সামনে ফুল রেখে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে তাঁকে স্মরণ করছে৷ কেউবা সঙ্গে এনেছে তাঁর অতি প্রিয় টেডি বিয়ারটি৷ ওয়াইনহাউসের এই হঠাৎ বিদায় মনে করিয়ে দিচ্ছে দুই বছর আগে পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর কথা৷
মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অ্যামি ওয়াইনহাউস শামিল হয়েছেন অন্যান্য সংগীত তারকার কাতারে৷ রোলিং স্টোন ব্যান্ডের ব্রায়ান জোন্স, ডোরস ব্যান্ডের জিম মরিসন, নির্ভানা ব্যান্ডের কার্ট কোবাইন এই সব তারকা মারা গেছেন মাত্র ২৭ বছর বয়সে৷ এদের অনেকের ট্র্যাজিক মৃত্যুর পেছনে ছিল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন৷ অ্যামি ওয়াইনহাউসও তার মধ্যে পড়ে গেলেন৷
কিন্তু তাই বলে তাঁর প্রতিভাকে মোটেই অস্বীকার করা যাবে না৷ বিগত ২০০৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রথম অ্যালবাম ‘ফ্রাঙ্ক' দিয়ে মাত করে ফেলেন গোটা ব্রিটেনকে৷ তারপর ২০০৬ সালে আসে তাঁর সুপার হিট ‘ব্যাক টু ব্ল্যাক'৷ পাঁচটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জেতেন ওয়াইনহাউস সেই বছর৷ পরের বছর তার সলো ‘রিহ্যাব'ও দারুণ সাড়া ফেলে সংগীত জগতে৷ কিন্তু কেবল গান তো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না, শরীরটাকেও তো যত্ন করতে হবে৷ আর এখানেই পারলেন না অ্যামি৷ তবে ভক্তদের কাছে এবং সংগীত জগতে ওয়াইনহাউস ইতিমধ্যে অমরত্বের জায়গাটি পাকা করে ফেলেছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই