1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শচীন যুগের অবসান

২৩ ডিসেম্বর ২০১২

মাত্র ১৬ বছর বয়সে যে ছেলেটি গুজরানওয়ালায় ব্যাট হাতে নেমেছিলো, তাঁর শেষ ম্যাচটি হয়ে গেলো ঢাকাতে৷ মাঝে পার হয়েছে ২৩ বছর৷ ওয়ানডে ক্রিকেটকে দেওয়ার কিছু বাকি ছিলো না৷ তাই অবসর৷ সঠিক সিদ্ধান্তই নিলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার৷

Indian batsman Sachin Tendulkar celebrates after he completed 15,000 runs in test cricket on the third day of the first of three test match series between India and West Indies, in New Delhi, India, Tuesday, Nov. 8, 2011. (Foto:AP/dapd) INDIA OUT
ছবি: AP

৪৬৩ ওয়ানডে ম্যাচ, মোট রান ১৮,৪২৬ আর ৪৯টি সেঞ্চুরি৷ সবগুলোই বিশ্ব রেকর্ড৷ টেস্টের দিকে তাকানো যাক৷ ১৯৪ ম্যাচে মোট ১৫,৬৪৫ রান৷ সেঞ্চুরি ৫১টি৷ এগুলোও সব বিশ্বরেকর্ড৷ আসলে ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি আর কেউ দিতে পারবে কিনা, সেটি নিয়ে বহু ক্রিকেট বোদ্ধার সন্দেহ আছে৷ অন্তত এই যুগে তেমন কাউকে দেখা যাচ্ছে না৷ দেখা যাক, হয়তো বহু বছর পর আবারও কোন টেন্ডুলকারের জন্ম নেবে৷ তখন হয়তো এই রেকর্ডগুলো পুরনো হয়ে যাবে৷ তার আগে এখনকার ‘লিটল মাস্টার'কে নিয়েই কথা বলবো৷

যাবো যাবো করেও যাওয়া হচ্ছিলো না৷ কারণ ব্যক্তিগত অর্জন তো সবই হয়ে যাচ্ছে কিন্তু দলকে যে এখনও দেওয়া বাকি৷ ২০১১ সালে নিজের ষষ্ঠ বিশ্বকাপে এসে সেটিও পেয়ে গেলেন টেন্ডুলকার৷ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের একজন হবেন, সারাজীবনের সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পর আরেকটি বাকি ছিলো, সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি৷ গত মার্চে এশিয়া কাপে ঢাকাতে বাংলাদেশ দলের বিরুদ্ধে সেটিও পেয়ে গেলেন৷ ঢাকার নামটি তাই বিশেষভাবে মনে করবেন টেন্ডুলকার৷ শেষ ম্যাচটিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেললেন এই ঢাকাতেই৷ শেষ ম্যাচেও তাঁর হাফ সেঞ্চুরি৷

ছবি: AP

এরপর থেকে গুঞ্জন উঠছিলো আর কত? বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে ভারতীয় দলের যে শোচনীয় অধঃপতনের শুরু, তার জন্য দলের পুনর্গঠন প্রয়োজন৷ তাই আগামী বিশ্বকাপের দল তৈরির জন্য নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ৩৯ বছরের শচীন টেন্ডুলকার৷ রোববারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান ওয়ানডে ক্রিকেটে আর খেলবেন না৷ তিনি বলেন, ‘‘আগামী ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার৷ দলের ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা রইলো৷'' একই সঙ্গে সমর্থকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি৷

টেন্ডুলকারের কিছু রেকর্ড

ভারতীয় ওয়ানডে দলে অভিষেক হয় ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে৷ প্রথম ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হন তিনি৷

প্রথম সেঞ্চুরি পেতে ৭৯ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় টেন্ডুলকারকে৷ ১৯৯৪ সালে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরি পান তিনি৷

২০১০ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন৷ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে তিনটি ছয় আর ২৫ টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ২০০ রান করেন৷

২০১২ সালের মার্চে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১১৪ রান করেন৷ এটি ছিলো তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি৷

টেস্টে সর্বোচ্চ ৫১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরিও তাঁর, মোট ৬৬টি৷

আরআই / এএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ইন্টারনেট)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ