1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইহুদিদের জীবন নিয়ে মিউজিয়াম

২০ এপ্রিল ২০১৩

এ সপ্তাহে পোল্যান্ডের রাজধানীতে একটি নতুন সংগ্রহশালা খোলা হচ্ছে যার উপজীব্য হল পোল্যান্ডে গত হাজার বছর ধরে ইহুদিদের ইতিহাস, যা ৭০ বছর আগে হলোকস্টের দাবানলে শেষ হয়ে যায়৷

Blick aus dem Fenster des Warschauer Museums der Geschichte der Polnischen Juden auf das Denkmal des Aufstands. Ort: Warschau Zeit: 28.03.2013 DW/Rosalia Romaniec, Polnisch
ছবি: DW/R. Romaniec

দক্ষিণ পোল্যান্ডে অবস্থিত ছিল নাৎসিদের কুখ্যাততম মৃত্যুশিবির, যার নাম আউশভিৎস৷ আজও সেখানে প্রতিবছর ১৫ লক্ষ মানুষ আসেন স্মরণ করতে, শ্রদ্ধা জানাতে, দেখতে এবং শিক্ষা পেতে৷ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ আউশভিৎস থেকে অনেক দূর৷ ওয়ারশতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত বহু ইহুদির বাস ছিল, যাদের পরিবারবর্গ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন৷

অথচ আজ ওয়ারশতে কতগুলি নির্জন রাস্তায় কয়েকটি অর্ধবিস্মৃত স্মৃতিসৌধ ও স্মৃতিফলক, এবং কমিউনিস্ট আমলের কিছু বহুতল আবাসিক ভবনের পিছনের প্রাঙ্গণে আত্মগোপন করে থাকা একটি ইহুদি সিনাগগ ছাড়া ওয়ারশ-র ইহুদিদের সেই জীবনধারার আর কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই৷ যেটুকু বাকি আছে, তা হল পোল্যান্ডের সাধারণ মানুষদের মধ্যে হলোকস্টের সাত দশক পরেও চাপা এক ইহুদিবিদ্বেষ, যার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রচেষ্টা হিসেবে নতুন মিউজিয়ামটি জন্ম নিচ্ছে৷

‘‘আমি এই মিউজিয়ামকে জীবনের মিউজিয়াম হিসেবে তুলে ধরতে চাই, মৃত্যুর মিউজিয়াম হিসেবে নয়,'' বলেছেন মিউজিয়ামের প্রধান আঞ্জ্রেই কুদক৷ ঐতিহাসিক ওয়ারশ ঘেটোর একটি রাস্তাতেই মিউজিয়ামটি খোলা হচ্ছে, যে ‘ঘেটো'-তে ইহুদিদের জড়ো করে রাখা হয়েছিল, অত্যাচার করা হয়েছিল, যেখানে তারা না খেতে পেয়ে মরেছিল, আবার মরণের সাহস নিয়ে বিদ্রোহ করেছিল – ইতিহাসের সেই ‘ওয়ারশ অভ্যুত্থান'-এর অকুস্থল এই ওয়ারশ ঘেটো৷

‘‘এই মিউজিয়ামকে জীবনের মিউজিয়াম হিসেবে তুলে ধরতে চাই’’: আঞ্জ্রেই কুদকছবি: DW/R. Romaniec

আগামী শুক্রবার মিউজিয়ামের উদ্বোধন৷ সেদিনটা হবে ওয়ারশ অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার ৭০তম বার্ষিকী৷ ঘেটোর তরুণ ইহুদিরা যা কিছু অস্ত্র সংগ্রহ করতে পেরেছে, তাই নিয়েই জার্মান সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল৷ এক মাসের মধ্যেই তাদের সে বিদ্রোহ চরম নির্মমতার সঙ্গে শেষ করে দেওয়া হয়৷

কিন্তু এ মিউজিয়াম তো মরণের মিউজিয়াম নয়, এ জীবনের মিউজিয়াম৷ তাই মিউজিয়ামে পোল্যান্ডের ইহুদিদের বিগত হাজার বছরের জীবনযাত্রার নানা নিদর্শন রাখা হবে৷ তবে মিউজিয়ামের আটটি গ্যালারির মধ্যে একটির বিষয়বস্তু হবে হলোকস্ট৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পোল্যান্ডে ত্রিশ লাখ ইহুদির বাস ছিল৷ যুদ্ধ শেষ হতে হতে তাদের ৯০ শতাংশ প্রাণ হারিয়েছিল৷

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আজ পোল্যান্ডে মাত্র ৭,৫০০ ইহুদির বাস৷ এবং তারাও যেন মুখ লুকিয়েই থাকে৷ আজ আর ওয়ারশ-র রাস্তায় কাউকে ইয়ারমুল্কে কিংবা ফেডোরা টুপি পরে ঘুরতে দেখা যাবে না৷ তার কারণ পোল্যান্ডে গুপ্ত ইহুদিবিদ্বেষ, প্রকাশ্যে যা কেউ ব্যক্ত করে থাকে না৷ ওয়ারশ-র নতুন ইহুদি মিউজিয়াম ঠিক সেই অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই মাঠে নামছে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ