1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তানের সংসদ

১৪ মে ২০১১

ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানের ভূখণ্ডে যে গোপন একতরফা অভিযান চালিয়েছে, সেই দুঃস্বপ্নের ভূত কিছুতেই সেদেশের পেছন ছাড়ছে না৷ শনিবার সংসদ মার্কিন অভিযানের কড়া সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে৷

সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে রুখে দাঁড়াচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa
গিলানি ও পাশা – ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে নতুন রফা আসন্ন?ছবি: picture alliance / dpa

ওয়াশিংটন না দেশবাসী – ঠিক কার উদ্দেশ্যে এই বার্তা?

সরকার ও সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সত্যি বেশ অসহায় বোধ করছেন৷ আজ সংসদের উভয় কক্ষ যৌথভাবে মার্কিন ড্রোন হামলা বন্ধ করার ডাক দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে গোপন একতরফা অভিযান গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে৷ সেইসঙ্গে পাকিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে আফগানিস্তানে ন্যাটোর জন্য রসদ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে৷ আজ সংসদে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান সুজা পাশা৷ তিনি বলেন, বিন লাদেনের হত্যা অভিযানের ফলে দেশে যে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে তিনি পদত্যাগ করতেও প্রস্তুত৷ সংসদ কিন্তু সামরিক বাহিনী ও আইএসআই'এর প্রতি পূর্ণ আস্থা দেখিয়েছে৷ অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে জটিল সম্পর্ক ভুলে আজ পাকিস্তানের ক্ষমতাকেন্দ্রের এই তিন শক্তি প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু এমন আনুষ্ঠানিক বিবৃতির ফলে দেশের মানুষ কতটা সন্তুষ্ট হবে বা ওয়াশিংটন কতটা সতর্ক হবে, তা বলা কঠিন৷

শুক্রবার তালেবান হামলার পর ঘটনাস্থলের দৃশ্যছবি: DW

কার্যকর পদক্ষেপের সম্ভাবনা

সমস্যাটা আজকের নয়৷ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে তার ফল ভালো হবে না – প্রকাশ্যে এমন হুমকি আগেও অনেকবার শোনা গেছে৷ অথচ বাস্তবে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান সীমান্তের অন্যদিকে ক্রমাগত ড্রোন হামলা চালিয়ে গেছে, যা পাকিস্তানের শাসক শ্রেণীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়৷ গতকাল, অর্থাৎ শুক্রবারও হামলা হয়েছে৷ বিন লাদেনের হত্যার প্রতিশোধ নিতে গতকালই তালেবানের হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৮০ জন তরুণ, যারা নিরাপত্তা বাহিনীতে কাজ শুরু করতে যাচ্ছিল৷ ওয়াশিংটন ও তালেবান – দুই পক্ষই চাপের মুখে রেখেছে পাকিস্তানের অস্পষ্ট শাসন কাঠামোকে৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মতে, ভবিষ্যতে এমন সংকট এড়াতে ভারত, অ্যামেরিকা ও আফগানিস্তান সংক্রান্ত নীতি শুধুমাত্র নির্বাচিত বেসামরিক নেতাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে৷ সেনাবাহিনী বা আইএসআই'এর হস্তক্ষেপ সেখানে খাটবে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ