1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সংঘাত

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত এবার নতুন মাত্রা নিচ্ছে৷ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশ এতকাল একে অপরের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়ে আসছিলো৷ এবার চীনের সেনাবাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপালো ওয়াশিংটন৷

ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে মস্কো ও বেইজিং
ছবি: Reuters/ASS Host Photo Agency/Pool/V. Smirnov

চীনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কাছ থেকে বোমারু বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনেছে৷ সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে চীন তার প্রতিরক্ষার স্বার্থে যে কোনো দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতেই পারে৷ কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়ার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা৷ ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগের ভিত্তিতে মার্কিন প্রশাসন সে দেশের উপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ ইউক্রেনের উপর হামলা এবং সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকার কারণও তাতে যোগ করা হয়েছে৷ তার আওতায় রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনা নিষিদ্ধ৷ ৭২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই কালো তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ এমনকি অন্য কোনো দেশ সেই নিষেধাজ্ঞা না মানলে তারাও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে৷

চীন অবশ্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই রাশিয়ার প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক সংস্থা রসোবোরোনেক্সপোর্ট-এর কাছ থেকে ১০টি এসইউ-৩৫ বোমারু বিমান ও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ফলে সেনাবাহিনীর যে বিভাগ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনে, সেই ইডিডি এবং তার প্রধান লি শাংফু সরাসরি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন৷ ফলে এই সংস্থা ও তার প্রধান অ্যামেরিকায় রপ্তানির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না এবং মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন না৷ তাছাড়া মার্কিন নাগরিকরা যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন না, মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেই তালিকায়ও তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷

অ্যামেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য রাশিয়া না চীন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ চীনের সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্য যুদ্ধ সত্ত্বেও এ ক্ষেত্রে রাশিয়াকেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা৷ একই কারণে ন্যাটো সহযোগী তুরস্কের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে৷

রাশিয়া অবশ্য এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চীনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে বদ্ধপরিকর৷ ফ্রানৎস ক্লিনৎসেভিচ নামের এক সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, কোনো বাধা ছাড়াই চীনকে নির্দিষ্ট সময়ে সব কিছু সরবরাহ করা হবে৷

মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে বেড়ে চলা ঘনিষ্ঠতা আখেরে আরো জোরদার হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ এই দুই দেশই অ্যামেরিকার বর্তমান ভূমিকা সম্পর্কে সন্দিহান৷ রাশিয়ার এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, চীনের প্রয়োজন আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি৷ ফলে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বেড়েই চলেছে৷ এমনকি দুই দেশের সেনাবাহিনী যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ