ওয়াশিংটনের সঙ্গে কিয়েভের অর্থনৈতিক চুক্তি
১ মে ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যখন অ্যামেরিকা গেছিলেন, তখনই এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সে সময় বচসায় জড়িয়ে পড়েন জেলেনস্কি। ইউক্রেন জানিয়ে দেয়, অ্যামেরিকার সঙ্গে এই চুক্তি সই করার আগে ওয়াশিংটনকে ইউক্রেনের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে, তাহলেই এই চুক্তিতে সই করবে কিয়েভ। অবশেষে সেই চুক্তি সই হলো। এর ফলে অ্যামেরিকা ইউক্রেনের খনিজ ব্যবহার করতে পারবে।
ইউক্রেন নতুন খনিজ পদার্থের ব্যবসার জন্য লাইসেন্সের ব্যবস্থা করবে। তার জন্য ৫০ শতাংশ অগ্রিমও নেবে। যে টাকা একটি ফান্ডে জমা রাখা হবে। অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে যে সাহায্যই দিক না কেন, তা ওই ফান্ডে বিনিয়োগ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। পরে ওই অর্থ ইউক্রেনের খনিজ নিয়ে কাজ এবং ব্যবসায় ব্যবহার করা হবে। ইউক্রেন এবেং অ্যামেরিকা দুই দেশেরই সমান অধিকার থাকবে ওই অর্থে। তবে জেলেনস্কি অ্য়ামেরিকার কাছে য়ে শর্ত আরোপ করেছিলেন, তা ওই চুক্তিতে নেই বলে ডিডাব্লিউয়ের অ্যামেরিকার প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করবে, এমন কথা চুক্তিতে সরাসরি বলা হয়নি। তবে অ্যামেরিকা এবং ইউক্রেন কৌশলগত আদানপ্রদানে আরো বেশি সক্রিয় হবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করবে, এই ধরনের কিছু কথা চুক্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে চুক্তির যে ভাষ্য তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হতে পারবে না। কিন্তু নতুন ভাষ্যে ওই শর্তটি রাখা হয়নি।
ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিডেংকো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সম্পদের মালিকানা ইউক্রেনেরই থাকবে। ইউক্রেন ঠিক করবে, কোথায় খনন হবে এবং কখন হবে। দুই দেশ একত্রে যে ফান্ড তৈরি করবে, তা দিয়েই খনন এবং বাকি কাজ হবে। এই চুক্তির ফলে ইউক্রেন এবং অ্যামেরিকার পারস্পরিক সম্পর্ক আরো মজবুত হলো বলেই মনে করছেন তিনি।
এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)