ওয়াশিংটনে ওবামা-কারজাই বৈঠক বুধবার
১২ মে ২০১০মাদক চোরাচালান ও দুর্নীতি রোধে পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেয়ায় ওবামা প্রশাসন কারজাই সরকারের সমালোচনা করে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে৷ এর জবাবে কারজাইও বেশ কিছু উত্তপ্ত মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন সরকারকে উদ্দেশ্য করে৷
তবে এতসব ঘটনার পরও এবার কারজাইকে ওয়াশিংটনে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে৷ চারদিনের সফরে এখন তিনি সেখানে রয়েছেন৷ মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে৷ আর বুধবার তিনি দেখা করছেন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে৷ এরপর দুজনের একসঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে৷ অথচ এই ওবামাই কয়েকমাস আগে কাবুল সফরে গিয়ে কারজাইয়ের সঙ্গে একসাথে সম্মেলন করেননি৷ এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কারজাইকে তাঁর বাড়িতে ডিনারের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে৷
তবে শুধু বৈঠকই নয়৷ আফগানিস্তান নিয়ে বেশ ভালভাল কথাও বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ আগামী বছর থেকেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে বলে জানালেন তিনি৷ তবে এরপরও দেশটির প্রতি মার্কিন সহযোগিতা বহাল থাকবে বলে ক্লিন্টন জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরও আমরা দেশটির জনগণকে ছেড়ে যাবনা৷ তাঁদের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব, তা আমরা ভবিষ্যতেও পালন করে যাব৷''
এদিকে প্রেসিডেন্ট কারজাই তাঁর দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷ আর বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর সরকারের যে মতপার্থক্য তা একটি শক্তিশালী বন্ধনেরই বহিঃপ্রকাশ, বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ তবে কারজাই বলেন, ‘‘আমাদের দুদেশের সরকারই বর্তমানে পরিণত৷ আর তাই মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্য দেখা দিতে পারে৷''
এরপর কারজাই হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে মার্কিন সেনা পরিচালিত একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন৷ সেখানে আফগানিস্তানে আহত মার্কিন সেনাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷
এদিকে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে কারজাইয়ের বৈঠক হবার কথা রয়েছে৷ এসময় তাঁকে দুর্নীতি নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, বলে স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন