চরমপন্থিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অপরাধে বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থেকে সরানো হলো ১২ জন নিরাপত্তারক্ষীকে।
বিজ্ঞাপন
জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে ওয়াশিংটন। নিরাপত্তারক্ষীদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকের অতীত রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোথাও তাঁরা কোনো চরমপন্থি মন্তব্য করেছেন কি না। বস্তুত, এই পরীক্ষা করতে গিয়েই ১২ জন নিরাপত্তারক্ষীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১২ জন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন। এর মধ্যে একজনের সঙ্গে চরমপন্থি হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্টদের যোগাযোগ আছে বলে জানানো হয়েছে। আরেকজন সম্প্রতি চরমপন্থি মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। বাকি দশজনের সঙ্গেও বিভিন্ন ভাবে চরমপন্থিদের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সকলকেই ওয়াশিংটন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাইডেন-হ্যারিস অভিষেকে তারকাদের ঢল
লেডি গাগা, জেনিফার লোপেজ, বন জোভি- নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকে থাকছে এইসব বিখ্যাত তারকাদের পারফর্ম্যান্স৷ দেখে নিন আর কারা কারা থাকছেন অভিষেক অনুষ্ঠানে৷
ছবি: Reuters/S. Stapleton
লেডি গাগা
নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক৷ কিন্তু করোনার কারণে এবং ক্যাপিটল হিলের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার কারণে এবার ওয়াশিংটন চত্বরে থাকবে না কোনো ভিড়৷ তবে এতে অংশ নেবেন নামীদামি কয়েকজন তারকা৷ জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাইবেন বিখ্যাত পপ শিল্পী লেডি গাগা৷
ছবি: Kevon Lamarque/REUTERS
জেনিফার লোপেজ
শপথ অনুষ্ঠানে লাতিন শিল্পী জেনিফার লোপেজ মঞ্চ মাতাবেন৷ নির্বাচনের দিনে ভোট দেয়ার পর টুইটারে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন এই তারকা শিল্পী৷
ছবি: Reuters/S. Stapleton
ব্রুস স্প্রিংগসটিন
২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন৷ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠান, যার নাম দেয়া হয়েছে, ‘সেলিব্রেটিং অ্যামেরিকা’৷ অনুষ্ঠানে ব্রুস স্প্রিংগসটিন সাধারণ নাগরিকদের সম্মানে গান গাইবেন৷ ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনি প্রচারণায় তার জনপ্রিয় গান ‘বর্ন ইন দ্য ইউএসএ’ দলের জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Buck
জন বন জোভি
বাইডেন এবং হ্যারিসের শপথ অনুষ্ঠানে রক স্টার বন জোভিও সংগীত পরিবেশন করবেন৷ বন জোভি, লেডি গাগাসহ অনেক তারকা বরাবরই প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সমালোচনা করে আসছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Irham
জন লেজেন্ড
প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিখ্যাত সব তারকারা উপস্থিত থাকবেন৷ তাদের মধ্যে অন্যতম শিল্পী জন লেজেন্ড৷ ২০২০ সালের নভেম্বরে কমলা হ্যারিসের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ তিনি ছাড়াও পপ তারকা জাস্টিন টিম্বারলেক এবং ডেমি লোভাটোর পরিবেশনা থাকবে শপথ অনুষ্ঠানে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Agostini
ইভা লঙ্গোরিয়া
অভিনেত্রী কেরি ওয়াশিংটন এবং ইভা লঙ্গোরিয়া থাকবেন বিশেষ অতিথির তালিকায়৷ ডেসপারেট হাউজওয়াইভস টিভি শো’র মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া লঙ্গোরিয়া ডেমোক্র্যাটদের ইভেন্টে পরিচিত মুখ৷ ফ্লোরিডায় বাইডেন-হ্যারিসের প্রচারণায় দেখা গিয়েছিল তাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Langsdon
টম হ্যাঙ্কস
শপথ অনুষ্ঠানে ৯০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন প্রতিভাধর এই অভিনেতা৷ ওই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এভরিডে হিরো’দের সম্মানিত করা হবে৷ তাদের মধ্যে আছেন একজন ইউপিএস ড্রাইভার, একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোভিড টিকা পাওয়া স্যান্ড্রা লিন্ডসে৷
ছবি: picture-alliance/AP/Invision/J. Strauss
গার্থ ব্রুকস
এই কান্ট্রি সিঙ্গার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানে আমি হয়ত একমাত্র রিপাব্লিকান সমর্থক৷’’ তিনি জানান, শপথ অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি কোনো রাজনৈতিক মতদর্শকে উপস্থাপন করে না, বরং দেশের মধ্যে সম্প্রীতির ভাবনাকে উৎসাহিত করতেই এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন তিনি৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/C. Pizzello
8 ছবি1 | 8
বুধবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য শুধুমাত্র ওয়াশিংটনে ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সহিংসতা ছড়াতে পারে। ফলে সামান্য সন্দেহ হলেও নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে গোটা দেশেই ট্রাম্পপন্থিরা সহিংস বিক্ষোভ দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটনে এখনো কার্ফিউ জারি রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় কংক্রিটের গার্ড ওয়াল রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল গার্ডরা গোটা শহরে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে।
এ দিকে মঙ্গলবারই বসেছিল সেনেট। কংগ্রেসে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার অভিশংসনের পর মঙ্গলবারই প্রথম সেনেট বসে। সেখানে ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার জন্য রিপাবলিকান সাংসদরাও ট্রাম্পকে দায়ী করেন। সেনেটের গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ মিচ ম্যাককোনেল বক্তৃতায় বলেন, ট্রাম্পের কথা শুনেই উত্তেজিত জনতা ক্যাপিটলে আক্রমণ চালিয়েছিল।