ওয়েব ঠিকানার দুয়ার খোলা, সার্চ ইঞ্জিনদের পোয়াবারো
২১ জুন ২০১১
ইন্টানেট কর্পোরেশন ফর এ্যাসাইনড নেমস এ্যান্ড নামবার্স, সংক্ষেপে আইক্যান সিঙ্গাপুরে তাদের বৈঠকে ঠিক করেছে, এবার থেকে টপ-লেভেল ডোমেইন বা টিএলডি, মানে ওয়েব ঠিকানায় দ্বিতীয় ফুটকি'টার পর যে ডটকম, ডটগভ, ডটঅর্গ ইত্যাদি আসে, সেগুলো আর এই সব প্রথাগত ডোমেইন'এই সীমাবদ্ধ থাকবে না৷ টিএলডি হিসেবে কোম্পানির নাম থেকে আন্দোলনের নাম, সব কিছুই চলবে৷
অবশ্য এর ফলে বড় বড় নামী-দামী কোম্পানিগুলির সুবিধা এবং ওয়েব ব্যবহারকারীদের অসুবিধে হবারই কথা৷ ইউজাররা যা খুঁজছেন, সার্চ দিয়ে তা পেতে বেশি সময় লাগারই কথা৷ কিন্তু ইন্টারনেট সার্চের ক্ষেত্রে যাদের একাধিপত্য, সেই গুগল কিংবা তাদের প্রতিযোগী বিং, উভয়েই বলছে: সে ধরনের কোনো গোলমাল হবে না৷ ওয়েব পাতার ব়্যাংকিং'এ তাদের এ্যাতোই অভিজ্ঞতা আছে যে, তথ্য খোঁজের সেরা ফলাফল যদি একটি অ-প্রথাগত, অপ্রচলিত ডোমেইন'ও হয়, তবুও গুগল সেই পাতাটাই প্রথমে তুলে ধরবে৷
মাইক্রোসফট'ও বলছে, তাদের বিং সার্চ ইঞ্জিনের ওপরে টিএলডির বৈচিত্র্য বাড়ার বিশেষ কোনো প্রভাব পড়বে না৷ তাদের যুক্তি হল, গ্রাহকরা সাধারণত কতোগুলো কি-ওয়ার্ড বা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শব্দ কিংবা নাম দিয়ে তথ্য খোঁজে, ডোমেইন দিয়ে নয়৷
কিন্তু আসল মজাটা হল, সার্চ ইঞ্জিনগুলো আধেয়, লিংক ইত্যাদি অসংখ্য ‘‘সিগনাল'' বিচার করে তবে খোঁজের ফলাফলে ওয়েব পাতাগুলোকে ব়্যাংক করে, অর্থাৎ পর্যায়ক্রমে সাজায়৷ লক্ষ লক্ষ নতুন ডোমেইন নামের জঙ্গলে রাস্তা খুঁজতে গিয়ে ব্যবহারকারীরা আরো বেশি করে সার্চ ইঞ্জিনদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে৷ গুগল'ও বলছে, টিএলডি'র আধিক্যের ফলে ওয়েব ব্যবহারকারীরা আরো বেশি করে সার্চ ইঞ্জিনের দ্বারস্থ হবে৷
অপরদিকে কোম্পানি কি সংগঠনরা তাদের সামগ্রিক টিএলডি কিনবে হাজার হাজার ডলার খরচ করে, কেননা ডটএ্যাপল, ডটটয়োটা, ডটপ্যারিস হিসেব নিজের ব্র্যান্ডটা পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার মওকাটা কি এ্যাতো সহজে ছাড়া যায়?
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ