1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেউ বুঝতে পারেননি

১৮ আগস্ট ২০১৩

চিড়িয়াখানায় ছিল৷ জাদুঘরেও ছিল তার নমুনা৷ কেউ বুঝতেই পারেননি৷ অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা আবিষ্কার করলেন ভারি মিষ্টি দেখতে এই প্রাণীর উপস্থিতি৷ নামটাও মিষ্টি- ওলিংগুইতো৷ খুঁজে পেয়ে বিজ্ঞানীরা নতুন নামও দিয়েছেন তাকে৷

epa03825782 An undated Smithsonian institute handout photo made available 15 August 2013 shows the olinguito (Bassaricyon neblina), the first carnivore species to be discovered in the Americas in thirty-five years, at an undisclose location. The olinguito is the latest documented member of the family Procyonidae, which it shares with raccoons, coatis, kinkajous and olingos. The creature had a mistaken identity for over one hundred years until Smithsonian scientists announced the discovery 15 August 2013. A team, led by Smithsonian scientist Kristofer Helgen, spent 10 years examining hundreds of museum specimens and tracking animals in the wild in the cloud forests of Ecuador. EPA/SMITHSONIAN / HANDOUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES
ছবি: picture-alliance/dpa

এখন প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম বাসারিসিয়ন নেবলিনা৷ ওজন এক কেজির মতো৷ গোলাপি-বাদামি রোমশ শরীরে খুব চোখে পড়ে গোল গোল দুটো চোখ৷ ছোট ছোট থাবাও আছে তাদের৷ সেই থাবা এ গাছ থেকে ও গাছে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ানোয় একমাত্র সহায়৷ গাছের ফল-লতা-পাতা খায়, পছন্দ হলে পোকামাকড়ও খায় ওলিংগুইতো৷ প্রাণী বিষয়ক ম্যাগাজিন জুকিজ এর ১৫ই আগস্ট সংখ্যায় ছাপা হয়েছে এ খবর৷ পত্রিকাটির মাধ্যমে গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, ওলিংগুইতো আসলে ইকুয়েডর আর কলম্বিয়ার চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘরগুলোতে অনেক বছর ধরেই ছিল৷ কিন্তু সবাই তাদের ওলিংগো বলে ভুল করেছেন৷ ওলিংগো দেখতে প্রায় এক রকম হলেও আকারে বেশ বড়৷ দর্শনার্থীরা, এমনকি চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘরের বিশেষজ্ঞরাও ভেবে এসেছেন ওরা একটু ছোট আকারের ওলিংগো৷ কত বড় ভুল অনুমান!

এখন আর বিষয়টি অনুমানের পর্যায়ে নেই৷ গবেষকরা গিয়ে স্বচক্ষে দেখে এসেছেন, ৩৮ বছর আগে সর্বশেষ দেখা যাওয়া এই প্রাণীগুলো এখনো পশ্চিম আন্দেসে দিব্যি বেঁচেবর্তে আছে৷ একটা দুটো নয়, শত শত ওলিংগুইতো আছে ওই পর্বতমালায়৷ গাছে থাকতে ভালোবাসে, আর সেখানে গাছ আছেও প্রচুর৷ ওলিংগুইতোর তাই খারাপ থাকার কোনো কারণই নেই৷

কিন্তু লোকালয়ে তাদের ভালো থাকা প্রায় অসম্ভব৷ সেরকম গাছপালা, পোকামাকড় পাবে কোথায়? গবেষকরা জানিয়েছেন, ওলিংগুইতোরা ছিল এমন জায়গার মধ্যে শতকরা ৪২ ভাগই নাকি এখন কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এমন চলতে থাকলে ছোট্ট, মিষ্টি প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বাধ্য৷ তাছাড়া অনেক বণ্য প্রাণীর তুলনায় ওলিংগুইতো বেশ নিয়ন্ত্রিতভাবেই বংশ বিস্তার করে৷ একবারে একটির বেশি সন্তান কখনোই নয়৷ সেকারণেই ওলিংগুইতোদের টিকিয়ে রাখতে হলে একটু যত্ন করেই রাখতে হবে৷ সেরকম যত্নআত্তি করা যাবে ওদের সম্পর্কে আরো ভালো করে জানা গেলে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাশনাল হিস্ট্রির কিউরেটর ক্রিস্টোফার হেলগেনও স্বীকার করেছেন, ‘‘প্রাণীটি খুব সুন্দর৷ কিন্তু আমরা এর সম্পর্কে খুব কমই জানি৷''

এসিবি / এআই (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ