ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের স্বা তাঁর স্ত্রীর দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে কংগ্রেস থেকে শেখার পরামর্শ দিয়েছেন একটি মতামত-প্রবন্ধে৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু'তে প্রকাশিত একটি মতামতে অর্থনীতিবিদ পারাকালা প্রভাকর বর্তমান ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারকে পরামর্শ দেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা ও ভারতে খোলা বাজারের দুই সূত্রধর নরসিংহ রাও ও মনমোহন সিং‘র অর্থনৈতিক নীতির পথে ফিরে যেতে৷
সংবাদমাধ্যমের সামনে সীতারমণ বারবার ভারতের অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও, তা নিয়ে মতামত লিখলেন তার স্বামী, প্রভাকর যিনি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতা ৷
এক ঝলকে ভারতের নতুন মন্ত্রিসভা
নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ দ্বিতীয়বারের মোদী সরকারের ক্যাবিনেটে কারা রইলেন, কারা বাদ পড়লেন, দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/A. Abidi
প্রধানমন্ত্রীর হাতে যা...
দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন নরেন্দ্র মোদী৷ নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি জানান, কর্মচারী, পেনশন ও অভিযোগ ছাড়াও পরমাণু শক্তি ও মহাকাশ বিষয়ক পোর্টফোলিও রাখছেন নিজের কাছেই৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
প্রতিরক্ষায় রাজনাথ
২০১৯ সালের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ নেতা রাজনাথ সিং৷ এর আগে, প্রথম ‘মোদী সরকার’-এ এই ভার ছিল অরুণ জেটলি ও পরে নির্মলা সীতারমণের হাতে৷ তখন রাজনাথ সিং ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
অমিত শাহ হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি ও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ অমিত শাহ প্রথমবারের মতো মন্ত্রীত্বের স্বাদ পেতে চলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুদায়িত্ব৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/V. Bhatnagar
‘বিশ্বস্ত’ গডকড়ি পেলেন সড়ক, পরিবহন মন্ত্রনালয়
নীতিন গডকড়ি ও অমিত শাহ – নরেন্দ্র মোদীর দুই বিশ্বস্ত রাজনৈতিক লেফটেন্যান্ট৷ অমিত শাহ-র মতোই নীতিন গডকড়িকেও মোদী দিলেন মন্ত্রীত্ব৷ সড়ক, পরিবহণ ও ক্ষুদ্র-মধ্য মানের ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভার এবার গেল বিজেপির এই পোড়-খাওয়া নেতার হাতে৷ শাহ-গডকড়ি মন্ত্রীত্বে৷ ফলে কার হাতে উঠবে দল পরিচালনার রাশ?
ছবি: Ians
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন যিনি...
চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করার পর ২০১৮ সালে ভারতের বিদেশ সচিব হন ড. সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর৷ নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে যোগ দেবেন এই কূটনীতিক৷ তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় অনেকেই আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের নতুন কৌশল আশা করছেন৷ তিস্তা চুক্তিতেও কি পড়বে এর প্রভাব?
ছবি: AFP/Getty Images/S. Loeb
সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে এনডিএ-র নতুন মন্ত্রিসভায় এবার রয়েছেন একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সদস্য৷ সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন যিনি তিনি বিজেপির অন্যতম জনপ্রিয় মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভি৷ গত মন্ত্রিসভাতে তিনি পালন করেছেন সংসদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব৷
ছবি: DW
ক’জন নারী?
নরেন্দ্র মোদী’র নেতৃত্বে ভারতের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীদের মিলিয়ে মোট সদস্য ৫৮ জন, যার মধ্যে মাত্র পাঁচজন নারী৷ এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নির্মলা সীতারমণ (অর্থ এবং কর্পোরেট এফেয়ার্স) ও স্মৃতি ইরানি (নারী ও শিশু কল্যাণ এবং বস্ত্র)৷
ছবি: Getty Images/AFP
বাংলা থেকে যাঁরা...
অভূতপূর্ব ফলাফলের জেরে এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির ১৮জন প্রার্থী৷ কিন্তু মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন কেবল দুই বাঙালি – বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী৷ বাবুল সুপ্রিয় এবারে পেয়েছেন পরিবেশ-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর ভার৷ অন্যদিকে, রায়গঞ্জ আসন থেকে বিজয়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী হলেন নতুন নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী৷
ছবি: Imago Images/Hindustan Times
কোন রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী?
মোদী-অমিত শাহ-আদিত্যনাথরা যে রাজ্য থেকে জয়ী হয়েছেন, সেই রাজ্য, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশের এবারও মন্ত্রিসভায় জয়জয়কার৷ সবচেয়ে বেশি ১০ জন মন্ত্রী এসেছেন বিজেপির দুর্গ হয়ে ওঠা এই রাজ্য থেকে৷ এর পরেই আছে বিজেপির অন্যান্য শক্ত ঘাঁটি মহারাষ্ট্র (৭) ও বিহার (৬)৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
বাদ পড়লেন যাঁরা
আগের বারের মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই মুখ এবারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন৷ সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নাম নেই এবারের নতুন মন্ত্রীতালিকায়৷ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বাদ পড়েছেন৷ কেন বাদ গেলেন এই দুই হেভিওয়েট নেতা? জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে৷
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
এই মতামতে তিনি বিজেপির ধারাবাহিক নেহরু-বিরোধিতার সমালোচনা করেন ও বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক নীতিহীনতার প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন৷
ভারতীয় অর্থনীতিতে এখন চরম মন্দা, তা মানতে নারাজ সীতারমণসহ বিজেপির নেতৃত্ব৷ কিন্তু প্রভাকরের প্রবন্ধে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দেশের আর্থিক লোকসানের বাস্তবতার চিত্র৷