পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মুখে পায়ের তলায় মাটি ফিরে পেতে সোনিয়া-কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মাঠে নামিয়েছে কংগ্রেস৷ বিশ্লেষকদের মতে, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে প্রিয়াঙ্কার অগ্রণী ভূমিকার সাফল্য তারই ইঙ্গিত৷
বিজ্ঞাপন
কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার ফলে উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের জোট বাঁধার চেষ্টা যখন ভেস্তে যাচ্ছিল, তখন আসরে নেমে সাফল্যের সঙ্গে হাল ধরলেন প্রিয়াঙ্কা৷ আগেই ঠিক হয়েছিল যে, রাজ্যে উভয় দলের জোট হবে৷ কিন্তু আসন রফা নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অখিলেশ যাদবের ঐকমত্য না হওয়া শেষ পর্যন্ত বাদ সাধে৷ সর্বভারতীয় দলের ‘ইগো' বা আত্মম্ভরিতা নিয়ে রাজ্যের ৪০৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস দাবি করে ১৩৭টি আসন৷ সমাজবাদী পার্টি ছাড়তে চায় বড়জোর ১০০টি আসন৷ অখিলেশের প্রশ্ন, উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের যে ভগ্নদশা তাতে কি করে তারা ১৩৭টি আসন দাবি করতে পারে?
এ অবস্থায় জোট না হবার সম্ভাবনাই বেশি৷ তাই সমাজবাদী পার্টির এক তরফাভাবে ১৯১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে৷ এরমধ্যে গতবারের জেতা কংগ্রেসের ৯টি আসন ছিল৷ কিন্তু জোট না হলে কী হবে, অর্থাৎ উভয় দলের লাভ লোকসান নিয়ে চলে ভাবনা-চিন্তা৷ তুলে ধরা হয় আসাম ও বিহারের উদাহরণ৷ আসামে একা চলতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস৷ বিহারে মহাজোটের ফলে কংগ্রেসের কিছুটা ফায়দা অবশ্যই হয়েছে৷ কাজেই উত্তর প্রদেশে জোট না হলে কংগ্রেস পায়ের তলায় জমি পাবে না৷ উপায়ন্তর না দেখে র নির্দেশে কংগ্রেস হাইকমান্ড প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মধ্যস্থতায় ১০৫টি আসনে রাজি হয়ে এ যাত্রায় জোট বাঁচানো সম্ভব হয়৷ অখিলেশ যদবও বুঝতে পেরেছিলেন, বিজেপিকে আটকাতে জোটই হবে কাম্য৷
দিল্লিতে সাধারণ মানুষের জয়
দুর্নীতিবিরোধী দল ‘আম আদমি পার্টি’ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে৷ ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে হারিয়ে শুধু দিল্লির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেনি, ভারতের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছে তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিকল্পে স্বস্তি খোঁজা
আত্মপ্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে জিতেছে আম আদমি পার্টি৷ অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক নতুন একটি দলের এমন সাফল্যকে দেখছেন ‘সাধারণ মানুষের জয়’ হিসেবে৷ তাদের এ জয় কংগ্রেস তো বটেই, এমনকি এ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ৷আম আদমি পার্টি লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভোটারদের সামনে বিকল্প পছন্দ হিসেবে উঠে এসেছে৷
ছবি: Getty Images/Afp/Narinder Nanu
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ
আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর দল ৩২টি আসন পাওয়া ডানপন্থী দল বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে রাজ্য সরকারে অংশীদার হবে না৷ ঘুস কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল আম আদমি পার্টি৷ অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছিলেন সেই আন্দোলনের পুরোভাগে৷ দিল্লির নির্বাচনে এ বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়৷
ছবি: Reuters
কংগ্রেসের ভরাডুবি
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই ভারতীয় রাজনীতিতে বড় দল কংগ্রেস৷ এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সেই দল হেরে গেছে নবাগত আম আদমি পার্টির কাছে৷ ভোটাররা যে দিল্লিতে অন্তত কংগ্রেসের শাসনে ক্ষুব্ধ এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই৷ মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষিতের নেতৃত্বে টানা ১৫ বছর রাজ্য সরকার পরিচালনা করেছে কংগ্রেস৷ এবার শীলা দিক্ষিত নিজেই হেরেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে৷ মাত্র ৮টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস৷
ছবি: Reuters
নতুন পথের বাঁকে
ভারতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন শুরু করেছিলেন আন্না হাজারে৷ ৭৪ বছর বয়সি এই সমাজকর্মী সংসদে ‘জন লোকপাল বিল’ পাস করানোর দাবিতে শুরু করেছিলেন অনশন৷ অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ছিলেন তখনকার সেই দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে৷ পরে আম আদমি পার্টি গড়েন৷ ‘আম আদমি’, অর্থাৎ সাধারণ জনগণের সমর্থন নিয়ে কেজরিওয়াল এবার এক নতুন পথের বাঁকে এনে দাঁড় করিয়েছেন ভারতের রাজনীতিকে৷
ছবি: Reuters
‘গণতন্ত্রবিরোধী’ দাবি!
কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা দুর্নীতিকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করলেও এর সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অদূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন৷ কংগ্রেস সমর্থকরা বলছেন, আম আদমি পার্টি এবং এর বাইরের সমাজকর্মীরা প্রকারান্তরে অনির্বাচিতদের কর্তৃত্বের কথা বলছেন, অথচ গণতন্ত্র নির্বাচিত প্রতিনিধির ওপরই জনগণের সেবার দায়িত্ব অর্পণ করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধর্ষণের বিরুদ্ধে রায়
গত এক বছরে বেশ কয়েকটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে৷ ধর্ষণ রোধ করে দিল্লির নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার৷ এ ব্যর্থতার জন্য দিল্লির ভোটাররা রাজ্য সরকারকেই দায়ী মনে করে৷ বিশ্লেষকদের মতে, নারীর নিরাপত্তা বিধানে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কারণে জনমনে জন্ম নেয়া হতাশারও প্রতিফলন ঘটেছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে৷
ছবি: Reuters
নতুন চ্যালেঞ্জার
দিল্লির মতো রাজস্থান, ছত্তিশগড় আর মধ্য প্রদেশের নির্বাচনেও বিজেপির কাছে হেরেছে কংগ্রেস৷ আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ড্রেস রিহার্সেলে এমন পরাজয় কংগ্রেসের জন্য নিশ্চয়ই খুব বড় ভাবনার বিষয়৷ আম আদমি পার্টি বিধানসভা নির্বাচনে শুধু দিল্লিতেই অংশ নিয়েছে৷ তবে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনেও অংশ নেয়ার পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে দলটি৷ বিজেপির জন্যও এটা কিন্তু নতুন চ্যালেঞ্জ!
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
যদিও রাহুল গান্ধীর ব্যর্থতা ঢাকতে কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও এটা রাহুল গান্ধীকে ভোট ময়দানে স্রেফ সাহায্য করা ছাড়া আর কিছু নয়৷ শুরু থেকেই মায়ের নির্বাচনি কেন্দ্র রায়বেরিলি এবং দাদার নির্বাচনি কেন্দ্র আমেথির রাজনৈতিক দেখভাল প্রিয়াঙ্কাই করে আসছে৷ জোট হবার পর সমাজবাদী পার্টি সংক্ষেপে সপা এবং কংগ্রেস একযোগে ভোট প্রচারে নামতে চলেছে যার প্রথম সারিতে থাকছে দুই দলের দুই নেত্রী৷ একজন অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদব এবং অন্যদিকে রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ উভয় দলের নেতাকর্মীরা নাকি এমনটাই চাইছেন৷ উভয়েই তাঁদের রাজনৈতিক নেপথ্য ভূমিকা থেকে উঠে আসতে চলেছেন পাদ প্রদীপে৷ অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন৷
প্রিয়াঙ্কা বাড্রা গান্ধীর এভাবে উঠে আসা নিয়ে রাজনৈতিক অলিন্দে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা৷ শোনা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায়বেরিলি থেকে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা৷ প্রথমত, সোনিয়া গান্ধী তাঁর স্বাস্থ্যজনিত কারণে ইদানীং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে অনেকটাই সরিয়ে রেখেছেন৷ উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস-সপা জোট সফল করতে প্রিয়াঙ্কা যেভাবে তাঁর স্বভাব লাজুক খোলস ছেড়ে বলিষ্ঠতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন, কংগ্রেসের ভবিষ্যত রাজনীতির স্বার্থে তাঁর দলীয় অবস্থান আরও পাকা করা জরুরি, সেদিক থেকে রায়বেরিলি হবে প্রিয়াঙ্কার পক্ষে সবথেকে অনুকুল কেন্দ্র, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ উল্লেখ্য, এই রায়বেরিলি কেন্দ্র বস্তুত কংগ্রেসের একচেটিয়া৷ প্রথমে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী তারপর সোনিয়া গান্ধী৷ অবশ্য সোনিয়া গান্ধী প্রথমে ভোটে দাঁড়ান আমেথি থেকে ১৯৯৯ সালে৷ পরে ছেলে রাহুলকে আমেথি কেন্দ্র দিয়ে তিনি সাংসদ হন রায়বেরিলি থেকে৷
সপা-কংগ্রেস জোট হওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় এবং দলিত পার্টি মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি৷ সংখ্যালঘু ভোট, দলিত ভোট ও উচ্চবর্ণের ভোট ভাগাভাগি হবে৷ সব দলই একে অপরের ভোট ব্যাংকে থাবা বসাতে চাইবে৷ ভোট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপিকে আটকাতে মুসলিম ভোট যাবার সম্ভাবনা বহুজন সমাজ পার্টির ঝুলিতে৷
ভারতের নির্বাচন ২০১৪
ভারতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে নয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে৷ ৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ৷ ভোট গণনা হবে ১৬ মে৷ ৮০ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে অংশ নেবেন৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
জনগণের সরকার
ভারতের সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর৷ পার্লামেন্টে দুটি কক্ষ রয়েছে৷ উচ্চকক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা আর নিম্নকক্ষ লোকসভা হিসেবে পরিচিত৷ নিম্নকক্ষে যে দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে৷
ছবি: AP
দৌড়ে এগিয়ে
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে৷ তবে তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পথটা নতুনভাবে বিবেচনা করতে হবে৷ কেননা ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার কারণে যুক্তরাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদীকে বয়কট করেছে৷
ছবি: Reuters
কংগ্রেস নেতা
দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের হাল ধরা সোনিয়া গান্ধী এবার দলের দায়িত্বের বোঝা তুলে দিয়েছেন নিজ পুত্র রাহুল গান্ধীর কাঁধে৷ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পৌত্র এবং সবচেয়ে কমবয়সি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে রাহুল৷ কিন্তু গত ১০ বছর ধরে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেও সেখানে বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুর্নীতি বিরোধী নেতা
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে অভিষেক হয় দুর্নীতি বিরোধী দল আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের৷ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘কিং মেকার’ দল
বামপন্থি চারটি দল এবং সাতটি আঞ্চলিক দল মিলে থার্ড ফ্রন্ট গঠন করেছে, যা বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ লোকসভায় এখনই তাদের আধিপত্য আছে৷ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা থাকলে তারা হয়ে উঠতে পারে ‘কিং মেকার’৷ অর্থাৎ তারা যে দল সমর্থন করবে তারাই গঠন করবে সরকার৷
ছবি: Sajjad HussainAFP/Getty Images
সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা
এ বছর নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে৷ এটিকে নির্বাচনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো দলই পিছিয়ে নেই৷ এ বছর প্রথম ভোট দেবেন এমন মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি৷ এদের মধ্যে ৪০ ভাগ শহরে বাস করে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সক্রিয়৷ ফলে নতুন এই প্রজন্ম এবারের নির্বাচনে একটা বড় ভূমিকা রাখছে৷
মেশিনের মাধ্যমে ভোট
লোকসভার ৫৪৫ টি আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভারতের মানুষ ভোট দেবেন ৫ সপ্তাহ ধরে৷ ইলেকট্রনিক মেশিন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলবে৷ ফলাফল জানা যাবে ১৬ মে৷
ছবি: AP
সংখ্যালঘুদের উপর নির্ভরশীলতা
ভারতে ১৩ শতাংশ ভোটদাতা মুসলিম৷ ১০০টি সংসদীয় কেন্দ্রে ১৫-২০ শতাংশ, ৩৫টি কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ এবং ৩৮টি আসনে মুসলিম ভোটদাতাদের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো৷ কাজেই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম ভোটবাক্স নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘নমো’ উন্মাদনা
যখন থেকে বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে (নমো) তাদের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়; তখন থেকেই সে দেশের গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ব্র্যান্ড হিসেবে ‘নমোকে’ তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়৷ বিজেপির প্রচার-কুশীলবদের রি-ব্র্যান্ডিং অভিযানের তোড়ে নৈতিকতার প্রশ্নগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
ভোট বিশেষজ্ঞ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বললেন অন্যকথা৷ ওনার মতে, কংগ্রেস বড্ড বেশি পরিবার-কেন্দ্রীক হয়ে পডছে৷ দলের ভবিষ্যতের পক্ষে সেটা শুভ নয়৷ দলের অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা আছেন, সবাইকে ডিঙিয়ে নিজের ছেলে-মেয়েকে দিয়ে সোনিয়া গান্ধী যেভাবে দল পরিচালনা করতে চাইছেন, তাতে অন্য অভিজ্ঞ নেতাদের ওপর তাঁর আস্থাহীনতাই প্রকাশ পাচ্ছে৷ সম্ভবত এরই পরিণামে কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে মাথা তুলতে পারছে না৷ রাহুল গান্ধী এখনও পর্যন্ত দলের প্রকৃত মুখ হতে পারেননি৷ সপা-কংগ্রেস জোট হওয়ায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে নাচানাচি করারও সময় আসেনি৷ পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনি ফলাফলের পরই তা বোঝা যাবে৷