কংগ্রেস সভাপতির দৌড় থেকে বাদ গেহলট?
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২যত কাণ্ড এখন কংগ্রেসে। একটা সময় মোটামুটি ঠিক ছিল যে, রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটই পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হতে চলেছেন। কিন্তু রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে চাননি গেহলট। তার অনুগামী বিধায়করা বিদ্রোহ করেন। গেহলট বলার চেষ্টা করেছিলেন, বিধায়করা তার কথা শুনছেন না।
কিন্তু গেহলটের এই কথা কংগ্রেসের নেতারাই মানতে রাজি নন। না সোনিয়া, না রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা, না মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতারা। তাই অতীতে গান্ধী পরিবারের একান্ত অনুগত নেতা কংগ্রেস সভাপতির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। গেহলট অবশ্য কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার জন্য রাজি। কিন্তু তার শর্ত, হয় তাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দিতে হবে, নাহলে তার কোনো একান্ত অনুগামীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। শচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা চলবে না। কিন্তু সোনিয়া গেহলটের বিদ্রোহে ব্যাপক চটেছেন। তার কোনো শর্ত তিনি মানতে রাজি নন।
কে হবেন কংগ্রেস সভাপতি?
কংগ্রেসে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। গেহলট বাদ হয়ে গেলে লড়াইয়ে থাকবেন বেশ কয়েকজন। শশী থারুর, কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং, মুকুল ওয়াসনিক এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়া আছেন কুমারী শৈলজা এবং কে সি বেনুগোপাল। রাহুল গান্ধীর পছন্দের নেতা হলেন বেনুগোপাল।
এই নেতাদের মধ্যে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হলেন কুমারী শৈলজা, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং মুকুল ওয়াসনিক। আগে সোনিয়ারা গেহলটের উপর ভরসা রেখেছিলেন। এখন তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি এখন টালমাটাল।
কমল নাথ এর মধ্যে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পরে কমল নাথ বলেছেন, তিনি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে নেই।
রাজস্থানে কী হবে?
এত কাণ্ডের পর প্রশ্ন হলো, গেহলট কি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন? এখানেই উভয়সংকটে পড়েছেন সোনিয়া ও রাহুল। গেহলটকে সরালে সরকার যাবে। মঙ্গলবারও ৯০ জন বিধায়ক স্পিকারের কাছে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, গেহলটকে সরালে তারা ইস্তফা দেবেন।
কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন কেটে যাওয়ার পরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তার আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব সভাপতি নির্বাচনে পড়বে।
গেহলট এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শচিন পাইলটের পক্ষে বিধায়করা নেই। তার দিকে আছে। ফলে তাকে সরানোও সহজ হবে না। রাজস্থান নিয়েও তাই সমস্যায় গান্ধী পরিবার। সাফল্য না থাকায় তাদের কর্তৃত্ব এখন অনেক কমে গেছে। তার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে রাজস্থানে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)