1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কক্ষপথের আবর্জনা সরানো জরুরি'

২৫ জুলাই ২০১৭

পৃথিবীর কক্ষপথ আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে৷ পুরানো, বিকল স্যাটেলাইট বা সেগুলির অংশবিশেষ ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানগুলির জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে৷ তাই বিশেষজ্ঞরা এই আবর্জনা সাফাইয়ের উপর জোর দিচ্ছেন৷

TEST - Title Space debris GIF
ছবি: ESA/ESOC

কয়েক'শ স্যাটেলাইটের ভিড়ের মাঝে পৃথিবীকে এমনই দেখতে লাগে৷ বিশেষ করে নিম্নভাগের কক্ষপথ সক্রিয় স্যাটেলাইট ছাড়াও মহাকাশ আবর্জনায় ভরা৷ ফলে সংঘাত-সংঘর্ষের ঝুঁকি দিন-দিন বেড়েই চলেছে৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সমন্বয়ক টোমাস রাইটার বলেন, ‘‘এই প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ংকর৷ পৃথিবীর কক্ষপথে বস্তুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ফলে সংঘাতের আশঙ্কাও বাড়ছে৷ সেইসঙ্গে ‘কেসলার সিন্ড্রোম' নামের এক ঝুঁকিও রয়েছে, যার ফলে আরও আবর্জনা সৃষ্টি হয়৷''

এই আবর্জনা ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে৷ বিশেষ করে যে অভিযানে মানুষও অংশ নেবে৷ রকেট বা মহাকাশযানকে পুরানো স্যাটেলাইট ও মহাকাশ আবর্জনার পাশ কাটিয়ে অত্যন্ত সরু পথ দিয়ে যেতে হবে৷ মহাকাশ সংস্থাগুলিকে চালু স্যাটেলাইটগুলিকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে৷ তা না করলে অন্য বস্তুর সঙ্গে সেগুলির ধাক্কা লাগতে পারে৷ টোমাস রাইটার বলেন, ‘‘আবর্জনার ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছচ্ছে, যে কক্ষপথে যে কোনো স্যাটেলাইটের সঙ্গে তাদের দ্রুত সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠছে৷ তখন আর ৪০০ থেকে ১,২০০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে নিম্ন কক্ষপথ আর ব্যবহার করা যাবে না৷ সেই পরিস্থিতি যাতে না আসে, আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে৷''

স্যাটেলাইট আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হয়ে উঠেছে৷ যোগাযোগ, যাতায়াত, কৃষি থেকে শুরু করে জলবায়ু ও আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট আমাদের সাহায্য করে৷

কিন্তু সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে উড়ন্ত এই সব যন্ত্র সেকেলে অথবা অকেজো হয়ে পড়ে৷ তখন নতুন স্যাটেলাইটের প্রয়োজন পড়ে৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি – সবার আগে অকেজো স্যাটেলাইট সাফ করতে হবে৷ তারপর নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা যাবে৷ টোমাস রাইটার বলেন, ‘‘স্যাটেলাইট সাধারণত ৭ থেকে ১০ বছর অথবা তার সামান্য বেশি সময় সক্রিয় থাকে৷ তারপর সেটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে হয়৷ সেখানে যে আবর্জনা রয়েছে, অবশ্যই তা সংগ্রহ করা উচিত৷ এ বিষয়ে অনেক আইডিয়া সত্ত্বেও কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি৷ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আন্তর্জাতিক স্তরে যার সুরাহা হওয়া উচিত৷''

একটি সমাধানসূত্র এর মধ্যেই পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তা হলো পুরানো স্যাটেলাইটগুলিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা৷ অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়ায় স্যাটেলাইটকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরিয়ে আনা হয়৷ সেই যাত্রায় বিশাল মাত্রায় উত্তাপ ও গতি দেখা যায়৷ সেই চাপের মুখে স্যাটেলাইটের বাইরের অংশ পুড়ে যায়৷ তবে টাইটেনিয়ামের মতো উত্তাপ-নিরোধক উপকরণ রক্ষা পায়৷

বেশিরভাগ সময়ে সেগুলি সমুদ্রে গিয়ে পড়ে৷ ভূমির উপর পড়ার ঘটনা খুবই বিরল৷ কিন্তু হুমকি থেকেই যায়৷

ওংকার সিং জানোটি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ