1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক হামলা নিয়ে বিভ্রান্তি

১৩ এপ্রিল ২০১৮

তর্জনগর্জন ছেড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আপাতত সিরিয়ায় সামরিক হামলার হুমকি থেকে কিছুটা সরে এসেছেন৷ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে৷

সিরিয়া প্রশ্নে মনস্থির করতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/Xinhua/Y. Chenglin

রাসায়নিক হামলার বদলা নিতে টুইটারে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়ে আবার কিছুটা শান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেখানে কী কী করা যেতে পারে, সে বিষয়ে তিনি বৃহস্পতিবার উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নেতাদের সঙ্গেও তিনি যৌথ সামরিক অভিযান নিয়ে শলাপরামর্শ করছেন৷ ভূমধ্যসাগরে এই দুই দেশও সামরিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে৷ রাশিয়ার সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ মোটকথা, পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে কিছু উদ্যোগ চোখে পড়ছে৷ ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘‘কখনো বলিনি সিরিয়ার উপর কবে হামলা ঘটবে৷ হয়তো খুবই দ্রুত অথবা আদৌ হবেই না৷''

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আসাদের মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা জগতের জোরালো সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ কারণ, সিরিয়ায় রাশিয়ার যথেষ্ট সংখ্যক সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন রয়েছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, গত ৭ই এপ্রিল সিরিয়ার ডুমা শহরে রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদ প্রশাসন দায়ী৷ এই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণও পাওয়া গেছে৷ উল্লেখ্য, সিরিয়ার সরকারের আমন্ত্রণে এক আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে চলেছে৷ তবে অ্যামেরিকা ও তার সহযোগীরা রাসায়নিক হামলা প্রতিরোধ সংগঠনের ইনস্পেক্টরদের সেই তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ এমনকি তাঁদের পণবন্দি করা হতে পারে বলে কিছু কূটনীতিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷

আসাদ প্রশাসনের মদতদাতা দেশ রাশিয়া ও ইরান রাসায়নিক হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে৷ তাদের মতে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও উদ্ধারকর্মীরা এমন হামলার খবর বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে৷ আর অ্যামেরিকা সেই অজুহাতে সিরিয়ার সরকারের উপর হামলার ছক কষছে৷ সরকারি বাহিনী আবার ডুমা শহর দখল করার পর সেখানে রাশিয়া সামরিক পুলিশ মোতায়েন করেছে৷

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ সেখানে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনসিয়া বলেছেন, অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ তিনি ওয়াশিংটন ও তার সহযোগীদের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ সুইডেনের উদ্যোগে এক প্রস্তাবের আওতায় সিরিয়াকে চিরকালের জন্য রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ