1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবুজসম্পদের হিসেব

ইয়ুর্গেন শ্নাইডার/এসি৭ জানুয়ারি ২০১৫

লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং পদ্ধতি, যার নাম ‘লিডার'৷ এই পদ্ধতিতে কঙ্গো নদীর অববাহিকায় কী পরিমাণ বনভূমি, সবুজসম্পদ বা ‘বায়োমাস' আছে, তা হিসেব করে দেখা হচ্ছে – স্যাটেলাইটের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে৷

Regenwald im Kongo
ছবি: picture-alliance/dpa

এর ফলে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের বনভূমির পরিস্থিতি হয়ত বদলাবে না, কিন্তু কার্বন নির্গমন সার্টিফিকেট বেচার সময় কঙ্গোর ভবিষ্যতে লাভবান হবার সম্ভাবনা থাকবে৷ ধরা যাক একটি বিমান নির্দিষ্ট রুট বরাবর পশ্চিম আফ্রিকার কঙ্গো নদীর অববাহিকার উপর দিয়ে উড়ে চলেছে৷ একই সঙ্গে বিমানে রাখা বিশেষ যন্ত্র দিয়ে নীচের গাছপালা, বনজঙ্গল মাপা হচ্ছে৷

বিমানটিতে রয়েছে তথাকথিত ‘লিডার' প্রণালী: এটি এমন একটি রাডার, যা দিয়ে ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, তা স্ক্যান করা চলে৷ এই তথ্য থেকে পরে বনভূমির পরিস্থিতি যাচাই করা চলে: বনজঙ্গল অক্ষত আছে কিনা, নাকি তা ইতিমধ্যেই গাছ কাটা কিংবা গোচারণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

স্ক্যানের ফলাফল থেকে যে ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি হবে, তাতে জঙ্গলের বিভিন্ন গাছের উচ্চতা, বাড়িঘর, রাস্তা, ফাঁকা মাঠ, সব কিছু দেখা যাবে৷ এই সব তথ্য মিলিয়ে জানা যাবে, এলাকাটি কী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরে রাখতে পারে৷

কঙ্গো নদীর অববাহিকা আয়তনে প্রায় পশ্চিম ইউরোপের সমান৷ এখানকার সব তথ্য সংগ্রহ করে তার মূল্যায়ন করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে৷ কিন্তু সেই তথ্য হবে অত্যন্ত কাজের, বলে মনে করেন ডাব্লিউডাব্লিউএফ বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার-এর এলভিস শিবাসু:

‘‘অরণ্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যতে সিওটু সার্টিফিকেট নিয়ে ব্যবসার প্রস্তুতি হিসেবে এটা গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর পক্ষে ভালো৷''

যদি কখনো এমিশন বাণিজ্য থেকে এই অঞ্চলে অর্থসমাগম হয়, তাহলে মধ্য আফ্রিকার দেশগুলি কঙ্গো অববাহিকার অরণ্যাঞ্চলকে বাঁচিয়ে রেখে অনেক বেশি রোজগার করবে৷ অবশ্য সে প্রক্রিয়া শুরু হতে এখনো অনেক বাকি – ওদিকে সময় ফুরিয়ে আসছে৷ জনসংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে; সেই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জ্বালানির চাহিদা মোটানোর জন্য গাছ কেটে কাঠকয়লা তৈরি করে, ট্রাক-ট্রাক কাঠকয়লা শহরে পাঠানো হচ্ছে৷

‘লিডার' লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং পদ্ধতিতে কঙ্গো-র ‘বায়োমাস' বা অরণ্যসম্পদের পরিমাপ করার প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন অরেলি শাপিরো৷ শুধু বিমান থেকে তোলা ছবি দিয়ে সে কাজ করা সম্ভব নয়৷ সেজন্য স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিরও প্রয়োজন পড়ে, জানালেন শাপিরো:

‘‘বিমান থেকে পাওয়া লিডার-তথ্যকে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়৷ মহাকাশ থেকে গোটা দেশের বনভূমিকে এক নজরে দেখা যায়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ