ঋষি সুনাকের স্বপ্ন সফল হলো। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকবেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কেউই দলের বেঁধে দেয়া একশজন এমপি-র সমর্থন পাননি। তাই কনসারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হতে তাকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। অত্যন্ত মসৃণভাবে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ঋষি।
কিন্তু যতটা সহজে এবার তিনি দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন, সেভাবেই কি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সফল হতে পারবেন? সোমবার থেকে এই প্রশ্নটাই যুক্তরাজ্য ঘুরপাক খাচ্ছে। তার কারণ, রীতিমতো কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসছেন ঋষি। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ।
প্রথমে করোনা, তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব চাপ পড়েছে। তা মন্দার দিকে চলে যেতে পারে। রাশিয়া থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস ও তেল না আসায় এনার্জি-সংকটে ভুগছে গোটা ইউরোপ। দেশে বিদ্যুতের দাম হুহু করে বেড়ে গেছে। তাতে মানুষ ক্ষিপ্ত। মুদ্রাস্ফীতিতে নাকাল মানুষ। এই সংকট মেটাতে পারেননি বলেই ৪৬ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লিজ ট্রাস।
এই বছরে ঋষি হবেন রক্ষণশীল দলের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। ফলে তার দলের মধ্যেও বিভাজন, অশান্তি বাড়ছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ঋষির জন্য একেবারেই আদর্শ নয়। আবার এটাও সত্যি, এই ধরনের পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোতে পারেন একজন নেতা।
লিজ ট্রাস : ছয় বছরে ব্রিটেনের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী
ছয় বছরে মেয়াদ শেষ হবার আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনজন ৷ ব্রিটেনের ৫৬তম প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস কি পারবেন মেয়াদ শেষ করতে? যেভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তাতে এ আশা করা যেতেই পারে৷ ছবিঘরে লিজ ট্রাসের বিস্ময়কর উত্থানের গল্প...
ছবি: Dylan Martinez/REUTERS
প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে যেখানে আলাদা
বেলফাস্টের দেয়ালে ব্রিটেনের ইতিহাসের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকের ম্যুরাল৷ শিল্পী চিয়ারান গ্যালাঘারের আঁকা ছবিতে দুজনকে দেখা যাচ্ছে বক্সারের রূপে৷ঋষি কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করলেও ট্রাস এক সময় ছিলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলে৷ ২০১০ সালে কনজারভেটিভদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ট্রাস ১২ বছরের মধ্যেই হয়ে গেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী৷
ছবি: Clodagh Kilcoyne/REUTERS
মিডিয়ার মুখোমুখি
নির্বাচনি প্রচারের বিভিন্ন পর্যায়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন দুজনই৷ ওপরের ছবিতে বিবিসির মুখোমুখি লিজ ট্রাস৷ ছবিটি গত ৪ সেপ্টেম্বরের৷
ছবি: Jeff Overs/BBC/REUTERS
গাড়ি কারখানায় প্রচার
কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্যের কাছে ভোট চাইতে বিভিন্ন অফিস-আদালতেও ঢুঁ মেরেছেন লিজ ট্রাস এবং ঋষি সুনাক৷ ছবিতে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কারখানায় ভোটের প্রচারে ৪৭ বছর বয়সি ট্রাস৷
ছবি: Jacob King/REUTERS
পুল খেলোয়াড় ট্রাস
গত ৮ আগস্ট ভোটের প্রচারে লন্ডনের অনসাইড ফিউচার ইয়োথ জোনে গিয়েছিলেন ট্রাস৷ পুল টেবিলটা দেখে একটু খেলে নেয়ার লোভ সামলাতে পারেননি৷
ছবি: Dylan Martinez/REUTERS
বিজয়ী ট্রাস
ডেভিড ক্যামেরনকে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়তে হয় ২০১৬ সালে৷ তারপর টেরেসা মে, বরিস জনসনকেও সরতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে৷ ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে মার্গারেট থ্যাচার এবং টেরেসা মে -র পর তৃতীয় নারী হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন লিজ ট্রাস৷ ছবিতে ভোটের ফল ঘোষণার পর মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাস আর হাততালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ঋষি সুনাক৷
ছবি: Stefan Rousseau/REUTERS
বরিসের বিদায়
নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের জন্য ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে যাচ্ছেন বরিস জনসন৷ উপস্থিত সবাই হাসিমুখে, হাত তালি দিয়ে বিদায় জানাচ্ছেন তাকে৷ জনসনের স্ত্রী ক্যারিও আছেন তাদের কাতারে৷
ছবি: Kevin Coombs/REUTERS
রানির অভ্যর্থনা
নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরের দিন, অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর রানি এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন বরিস জনসন৷ তারপর রানির কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সারেন ট্রাস৷
ছবি: Jane Barlow/REUTERS
স্বামীর সঙ্গে...
গত ৫ সেপ্টেম্বরের ছবি৷ কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে লিজ ট্রাসকে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে একটু আগে৷ জানা হয়ে গেছে ট্রাসই হচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী৷ সেই আনন্দে স্ত্রীর পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন হিউ ও’লেয়ারি৷
ছবি: Stefan Rousseau/REUTERS
8 ছবি1 | 8
ঋষি যা বলেছেন
নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর দলের নেতাদের ঋষি বলেছেন, তার প্রথম কাজ হলো দেশ ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি এই কাজ করবেন।
এমপি সাইমন বলেছেন, ''সুনাক জানিয়েছেন, খুবই কঠিন সময়ের মোকাবিলা করতে হবে। তবে নির্বাচন এগিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।''
পরে দুই মিনিটের টিভি ভাষণে তিনি বলেন, ''আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করব। দেশ এখন একটা ভয়ংকর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য লিজ ট্রাসকে ধন্যবাদ জানাই।''
দলের নেতারা যা বলছেন
কনসারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান জ্যাক বেরি বলেছেন, ''ঋষির সঙ্গে আমরা সর্বতোভাবে আছি। লিজ ট্রাসের সময়টা যে খুবই টালমাটাল সেটা তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।''
দলনেতা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে পেনি মরডান্ট লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি বলেন, ''ঋষি আমার পুরো সমর্থন পাবেন। এটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত দেখিয়ে দিচ্ছে, আমাদের দলের বৈচিত্র আছে এবং অঢেল প্রতিভা আছে।''
১৫ জন প্রধানমন্ত্রীর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
প্রয়াত যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। দীর্ঘ জীবনে তার কাছে ১৪ প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। লিজ ট্রাস ১৫তম প্রধানমন্ত্রী।
ছবি: Frank Augustein/PA Wire/dpa/picture alliance
যুক্তরাজ্যের ইতিহাস
১৭২১ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন ৭৯ জন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে শপথগ্রহণ করেছেন ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী। লিজ ট্রাস পঞ্চদশতম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রাস এলিজাবেথের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের প্রাসাদে দেখা করেছেন। তবে শপথবাক্য পাঠ করা হয়নি এখনো। বরিস জনসনই শেষ প্রধানমন্ত্রী যিনি রানির কাছে শপথ নিয়েছেন।
ছবি: Dominic Lipinski/AFP/Getty Images
রানির জন্ম
১৯২৬ সালে দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম। ৭০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের রানি ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম বক্তৃতা করেছিলেন তিনি। বিবিসি রেডিও-তে তা শোনা গেছিল। এই ছবিটি ১৯৩৬ সালে তোলা।
ছবি: picture-alliance/Zumapress
চার্চিলের শপথ
১৯৪০ থেকে ৪৫ সাল পর্যন্ত রাজা ষষ্ঠ জর্জের অধীনে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব সামলেছেন উইনস্টন চার্চিল। সে সময়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৫১ থেকে ৫৫ সালের সময়পর্বে চার্চিল শপথ নেন দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে। রানি হিসেবে চার্চিলই এলিজাবেথের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
ছবি: picture-alliance/akg-images
রানি হওয়ার কথা ছিল না
বাবা প্রিন্স অ্যালবার্ট, ডিউক অব ইয়র্ক ছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জের ছোটছেলে। রাজা হওয়ার কথা ছিল অষ্টম এডওয়ার্ডের। কিন্তু তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্নাকে বিয়ে করায় রাজা হতে পারেননি। ১৯৩৬ সালে ছোটছেলে হয়েও ব্রিটেনের রাজা হন প্রিন্স অ্যালবার্ট। এলিজাবেথের বাবা।
ছবি: PA Wire/empics/picture alliance
বড় মেয়ে সিংহাসনের দাবিদার
প্রিন্স অ্যালবার্টের বড় মেয়ে ছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ফলে পরবর্তী সিংহাসনের দাবিদার ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই সেইভাবে তৈরি করা হয়েছে তাকে।
ছবি: ZUMA Wire/IMAGO
ফিলিপ মাউন্টব্যাটনের সঙ্গে বিয়ে
দূরসম্পর্কের ভাই ফিলিপ মাউন্টব্যাটনের সঙ্গে দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিয়ে হয় ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর। ছেলে চার্লসের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর।
ছবি: Mary Evans Picture Library/picture alliance
রাজার মৃত্যু
১৯৫২ সালে মৃত্যু হয় রাজার। এলিজাবেথ তখন কেনিয়ায়। তড়িঘড়ি দেশে ফিরে আসেন তিনি। রাজা অবশ্য এর আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। এলিজাবেথ কাজ বুঝে নিতে শুরু করেছিলেন অনেক আগে থেকেই। রাজার মৃত্যুর পর রাজদণ্ড হাতে নেন রানি।
ছবি: PA Wire/empics/picture alliance
আয়রন লেডির রানি
যুক্তরাজ্যের অন্যতম এবং বিতর্কিত প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। তিনিও রানির কাছে শপথ নিয়েছিলেন। ১৯৭৯ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন থ্যাচার। তার আমলে যুক্তরাজ্যে বহু পরিবর্তন এসেছে। উদার অর্থনীতির দিকে হেঁটেছে রানির দেশে। আবার ট্রেড ইউনিয়নের উপর খাঁড়া নেমে এসেছে।
ছবি: AP
রানিকে নিয়ে বিতর্ক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। কমনওয়েলথ, ভারতীয় উপমহাদেশ সর্বত্র ঘুরেছেন তিনি। একসময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সন্তানদের সময় দেন না। তার স্বামীও একসময় এমন অভিযোগ করেছিলেন।
ছবি: ZUMAPRESS.com/picture alliance
স্বামীর কাজে অন্ধ
স্বামী ডিউক অব এডেনবরার বহু ভুল তিনি দেখেও দেখেন না বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয়েছে প্যারিসে যুবরানি ডায়নার গাড়ি দুর্ঘটনার পর। ডায়নার চালচলন পছন্দ ছিল না রানির।
ছবি: Hannibal Hanschke/EPA/picture alliance/dpa
মেগানের অভিযোগ
ছোট নাতি হ্যারির স্ত্রী মেগান সম্প্রতি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সরাসরি বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ এনেছেন। যা নিয়ে রাজপরিবারে বহু আলোড়ন হয়েছে।
ছবি: Henry Nicholls/AP Photo/picture alliance
৭০ বছর পূর্তি এবং স্বামীর মৃত্যু
২০২১ সালের ৯ এপ্রিল স্বামী ডিউক অব এডিনবরার মৃত্যু হয়। ২০২২ সালে ছিল রানির শানকালের ৭০ বছর পূর্তি। উৎসব হলেও তাতে খুব জৌলুস ছিল না।
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে গিয়ে রানির সঙ্গে দেখা করেন। আনুষ্ঠানিকতা না হলেও রানি তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। এই প্রথম বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে রানি কোনো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করলেন।
ছবি: Jane Barlow/ ASSOCIATED PRESS/picture alliance
বালমোরালেই মৃত্যু
বালমোরাল প্রাসাদেই মৃত্যু হলো সাত দশকের দাপুটে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। বস্তুত, রানি ভিক্টোরিয়ার চেয়েও বেশি সময় ধরে তিনি যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চপদে বসে ছিলেন।
ছবি: Jane Barlow/AP Photo/picture alliance
14 ছবি1 | 14
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও জানিয়েছিলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পক্ষে এটা ঠিক সময় নয়।
কিন্তু বিরোধীদের দাবি, ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য জনগণ ভোট দেননি।
ঋষির সময়
যুক্তরাজ্যে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পরবর্তী নির্বাচন হবে। ততদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন ঋষি। ততদিন পর্যন্ত তিনি কাজ করার সময় পেতে পারেন।
এর আগে অর্থমন্ত্রী হিসাবে তিনি করোনার সময় দেশের অর্থনীতির হাল ধরেছিলেন। সেসময় সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, টিকা দেয়ার কর্মসূচি, আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার কাজ করেছিলেন তিনি। ফলে তার সেই অভিজ্ঞতা আছে।
দুইশ বছরে
গত দুইশ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ঋষি সুনাকই যুক্তরাজ্যের প্রথম ব্রিটিশ এশিয়ান প্রধানমন্ত্রী হবেন। যে ব্রিটেন প্রায় দুইশ বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছিল, এবার সেখানে শাসন করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি।
ঋষির পূর্বপুরুষরা পাঞ্জাব থেকে যুক্তরাজ্যে গেছিলেন। ব্রিটিশ শাসনে তার পূর্বপুরুষ প্রথমে নাইরোবি যান। সেখান থেকে যুক্তরাজ্য।
ঋষি আবার বিখ্যাত ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পপতি নায়ারণমূর্তির জামাতা। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মাজেমধ্যেই তিনি বেঙ্গালুরুতে যান।
এমপি হিসাবে শপথ নেয়ার সময় গীতা হাতে শপথ নিয়েছিলেন ঋষি। এছাড়া কিছুদিন আগেই জন্মাষ্টমী পালন করেছেন। জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় গতবছর ডাউনিং স্ট্রিটে দীপাবলি পালন করেছিলেন তিনি।