কঠিন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিচ্ছেন ওবামা
১৪ জানুয়ারি ২০০৯আগামী এক দশক ধরে মার্কিন বাজেট ঘাটতি পাঁচ শতাংশ থেকেই যাচ্ছে, মঙ্গলবারেই এই দুঃসংবাদ শুনিয়েছে মার্কিন অর্থদপ্তর৷ ৭০০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি মোকাবিলা প্যাকেজ তাতে বিশেষ ঠেকা দিতে পারবে না৷ একের পর এক বড়সড়ো অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলি জানিয়েছে নিজেদের অক্ষমতার কথা, লালবাতি জ্বেলেছে লেম্যান ব্রাদার্সের মত বহুজাতিক কিছু মার্কিন ব্যাঙ্ক৷ গৃহঋণ নেওয়া মার্কিন মধ্যবিত্ত অর্থাভাবে দিশাহারা, চাকরি খুইয়ে বেকার আড়াই মিলিয়ন মানুষ৷ এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন বারাক ওবামা৷ বয়স ৪৭, আমেরিকার তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট৷
নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেছিলেন পরিবর্তনের কথা৷ চেঞ্জ৷ মজার ব্যাপার হল প্রচারপর্ব, একের পর এক প্রাইমারি নির্বাচনে জয়পরাজয়ের টেনশন, এবং সবশেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, এতসব পেরোনোর মধ্যে যে সময়, তারই মধ্যে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার ঢেউ, যার সুনামিশুরু হল আবার খোদ আমেরিকাতেই৷ ওবামা কিন্তু এই ধাক্বায় ঘাবড়ে যান নি৷ বলেছেন, বাজেট সংস্কার করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চান তিনি৷ বলেছেন, ঘাটতি বাড়ছে, বেড়ে চলেছে মন্দা, পরিস্থিতি সংকটময়৷ চ্যালেঞ্জটাও কঠিন৷ সময়টাই চ্যালেঞ্জের৷ এই অবস্থায় আমাদের সামনে বাজেট সংস্কার ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই৷ আমরা এই পথই নেব আর সতর্ক থেকে সমস্যার মোকাবিলা করব৷
এবার আরও একটা চ্যালেঞ্জ, যার নাম ইরাক৷ নির্বাচনী প্রচারের সময়েই বোঝা গিয়েছিল যে বুশ জমানার এই ফোঁড়া ঘাড়ে নিয়ে ওবামা চলবেন না৷ ইরাক থেকে আফগানিস্তানে সেনা সরাতে হবে আগাম জানিয়েছিলেন সেকথা৷ ধারণা করা হচ্ছে, শাসনকালের প্রথম মাসেই ইরাকের দিকে মনোযোগ দেবেন, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার সমাধানকল্পে বিশেষ বিশেষজ্ঞদল তৈরী করছেন, জানিয়েছেন সম্প্রতি৷ আর একটা গুরুত্বপূর্ণ খবর জানা গেল মঙ্গলবার৷ পরবর্তী মর্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ঘোষণা করেছেন, ওবামা জমানাতেই নাকি সবচেয়ে স্মার্ট মার্কিন সেনাবাহিনী দেখবে বিশ্ববাসী৷ এখানেই শেষ নয়, মার্কিন প্রশাসন এবং সরকারকেও ঢেলে সাজানো হবে, হয়ে উঠবে স্মার্ট, ঝকঝকে৷ অর্থাত এখানেও সেই চেঞ্জ ফরমূলা৷
দেখা যাক শেষাবধি কেমন হয়, তবে যাই হোক আগে অপেক্ষা ২০ জানুয়ারির জন্য৷ যেদিনটায় শপথ নেবেন বারাক ওবামা৷