জার্মান সাংসদরা আশ্রয়প্রার্থীদের বহিষ্কার, নজরদারি ও ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যবহার সংক্রান্ত আইন পাস করেছেন৷ নতুন আইনের বলে কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যাত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আরো তাড়াতাড়ি ও নিয়মিতভাবে ফেরত পাঠাতে পারবে৷
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তাঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হলে, তাদের শীঘ্র বহিষ্কার করা যাবে অথবা পায়ে ইলেকট্রনিক বেড়ি পরানো হবে, যাতে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা যায়৷
আরেকটি নূতনত্ব হলো এই যে, খারিজ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর নিজের দেশ যদি সময়মতো পাসপোর্ট বা অন্য কাগজপত্র না পাঠাতে পারে, তা সত্ত্বেও তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া যাবে৷ অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে বহিষ্কারের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না৷ পরিবর্তনটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, টিউনিশিয়া সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় বার্লিনের বড়দিনের বাজারে হামলা চালানো আনিস আমরি-কে বহিষ্কারের নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি৷
অভিবাসীদের যৌন শিক্ষা দিচ্ছে জার্মানি
যৌন শিক্ষা বিষয়ক এক ওয়েবসাইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জার্মানিতে৷ মূলত অভিবাসীদের জন্য তৈরি এই সাইটটিতে যৌনাঙ্গ থেকে শুরু করে গর্ভধারণ, হস্তমৈথুন, যৌন সুখের মতো বিষয়গুলি চিত্রলিপিতে দেখানো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
যৌনতা এক ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়
আরবি, তুর্কি, ইংরেজি, জার্মানসহ মোট ১২টি ভাষায় যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং চিত্রলিপি প্রকাশ করেছে জার্মান সরকার৷ অভিবাসীদের নারী, পুরুষের দেহ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতেই এই উদ্যোগ৷ কেননা, সরকার মনে করছে, তারা এমন অনেক দেশ থেকে এসেছে, যেখানে যৌনতা নিষিদ্ধ এক বিষয়৷ চলুন দেখে নেই সাইটটিতে ঠিক কী আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান
মোট ছয়টি বিভাগে যৌনতা, যৌন মিলন, সম্ভোগের রকমফের, যৌনতা বিষয়ক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে সাইটটিতে৷ তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ‘সেক্স’ বিভাগটি নিয়ে৷ এতে প্রথমবার সেক্স, কুমারিত্ব, যৌনাসন এবং বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান চিত্রলিপির মাধ্যমে ব্যাখা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
আকার গুরুত্বপূর্ণ নয়, যৌনাঙ্গচ্ছেদ নিষিদ্ধ
ওয়েবসাইটটির ‘বডি’ অংশে নারী-পুরুষের দেহের ধরন, যৌনাঙ্গ, বীর্য ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে৷ পুরুষাঙ্গের আকার বা গড়ন যে যৌন সুখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিভাগে৷ রয়েছে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ যে ইউরোপে পুরোপুরি নিষিদ্ধ, সেই কথাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গর্ভধারণ ও যৌন মিলন
সন্তান জন্মদানের পুরো প্রক্রিয়া এই বিভাগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে৷ সাথে গর্ভধারণের পর কতদিন এবং কিভাবে যৌন সম্পর্ক অব্যাহত রাখা যায়, তা-ও জানানো হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কেউ যদি ভুল করে গর্ভধারণ করেন, তাহলে চাইলে গর্ভপাত না করে বাচ্চাটি জন্মের পর দত্তক দেয়া যেতে পারে৷ তবে গর্ভপাতে কোনো বাধা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
কনডম যেভাবে পরবেন
কখনো জানতে চেয়েছেন কনডম কী? ওয়েবসাইটটির এই বিভাগে কনডম ব্যবহারের উপায় চিত্রলিপিতে পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে৷ পাশাপাশি অনিরাপদ যৌন জীবনের ফলে নারী ও পুরুষের কী কী রোগ হতে পারে এবং কী করলে তা থেকে মুক্তি সম্ভব, সে কথাও জানানো হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/chromorange
সঙ্গীকে দোষ না দিয়ে কথা বলুন
হোক সে যৌন জীবন কিংবা যৌথ সম্পর্কের অন্য কোনো দিক, যে কোনো বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সময় নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে৷ তবে আলোচনায় একে-অপরকে দোষ না দিয়ে বরং কার কী প্রত্যাশা সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার উপায়ও জানানো হয়েছে সাইটটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যৌনসম্মতির বয়স ১৮ বছর
জার্মানিতে ১৪ বা ১৫ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে একই বয়সের সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে পারে৷ কিন্তু সেই বয়সের একটি ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে ১৬ বা তার বেশি বয়সের কেউ যৌন সম্পর্কে জড়ালে সেটা অপরাধ৷ এমনকি কম বয়সি সঙ্গী সম্মতি দিলেও৷ যৌন মিলনের জন্য নিরাপদ বয়স কমপক্ষে আঠারো৷
ছবি: picture-alliance/Beyond
অভিবাসীদের কি যৌন শিক্ষার দরকার আছে?
এই প্রশ্নটা অনেকেই করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷ এর মানে কি অভিবাসীরা যৌন মিলন সম্পর্কে অজ্ঞাত? এ সব প্রশ্নের জবাবে নির্মাতার জানিয়েছেন, বিশ্বের অনেক দেশে যৌনতা নিয়ে আলোচনা এক ‘নিষিদ্ধ বিষয়’৷ তাই দরকার এমন একটা সাইট৷ বাংলা ভাষাতেও এ রকম একটি সাইটের দরকার বলে ফেসবুকে লিখেছেন একাধিক বাংলা ব্লগার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিত্রলিপির ‘কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ, শেতাঙ্গ নারী’
ওয়েবসাইটটিতে প্রদর্শিত যৌন মিলনের কিছু চিত্রলিপিতে পুরুষকে কৃষ্ণবর্ণে এবং নারীকে শ্বেতবর্ণে দেখানো হয়েছে৷ আর এটা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপত্তি করেছেন অনেকে৷ কারো কারো মতে, শরণার্থী বা অভিবাসীদের যৌনশিক্ষা, যেমন কনডম পরানো শেখানোর মাধ্যমে আসলে বোঝানো হয়েছে যে, তারা কিছুই জানে না, যা একধরনের ‘বৈষম্যমূলক মনোভাব’৷
ছবি: Andreas Wolf/Fotolia
যারা তৈরি করেছেন
বেলজিয়ামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা কেন্দ্র ‘জানজু ডটডিই’ ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে৷ এ জন্য সময় লেগেছে তিন বছর৷ মূলত অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্ন এবং প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে সাইটটি তৈরি করা হয়৷ তিন সপ্তাহ আগে প্রকাশের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষ এটি ‘ভিজিট’ করছেন৷
ছবি: zanzu.de
10 ছবি1 | 10
নতুন আইন অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচ্য ব্যক্তিবর্গকে ১০ দিনের জন্য ধরে রাখতে পারবে৷ আগে সাকুল্যে চার দিন আটকে রাখা যেতো৷ এ সবের উদ্দেশ্য হলো, সম্ভাব্য সন্ত্রাসী আক্রমণ রোধ৷
আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো, এখন থেকে যেসব রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর আইডি সংক্রান্ত সরকারি কাগজপত্র নেই, অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সংক্রান্ত জার্মান ফেডারাল অফিস (‘বাম্ফ’ বা বিএএমএফ) তাদের স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঘেঁটে দেখতে পারবে ও ঐ পন্থায় তাদের পরিচিতি যাচাই করতে পারবে৷
কোনো অভিবাসনপ্রয়াসী যদি জার্মানিতে ঢোকার সময় ভুয়া পরিচয় দিয়ে থাকে, তাহলে তার গতায়াতের পরিধি সীমিত করা সম্ভব হবে৷ যেসব অভিবাসনপ্রয়াসীর জার্মানিতে বসবাসের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, অথচ তারা স্বেচ্ছায় জার্মানি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করছে, তাদের ক্ষেত্রেও গতায়াতের পরিধি সীমিত করা সম্ভব হবে৷
এমনকি যেসব রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই, জার্মান কর্তৃপক্ষ তাদের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের ‘রিসেপশন সেন্টার’-গুলিতে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন৷
নতুন আইনে শেষ মুহূর্তে আর একটি বিধান যোগ করা হয়৷ ইতিপূর্বে বিধান ছিল যে, যদি কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর জার্মানিতে সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে, তাহলে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হওয়া সত্ত্বেও সে জার্মানিতে থেকে যেতে পারবে৷ এবার এই ছিদ্রটি বন্ধ করা হচ্ছে৷
এসি/এসিবি
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
ইউরোপে শরণার্থী সংকট কীভাবে শুরু হয়েছিল?
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় সহিংসতা বৃদ্ধি থেকে ইউরোপের অসংলগ্ন শরণার্থী নীতি অবধি ইউরোপে শরণার্থী সংকটে কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যুদ্ধ এবং দারিদ্র্যতা থেকে পালানো
২০১৪ সালের শেষের দিকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চতুর্থ বছরে পা দেয়ার প্রাক্কালে এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলে তথাকথিত ‘ইসলামিট স্টেট’-এর বিস্তার ঘটার পর সিরীয়দের দেশত্যাগের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়৷ একইসময়ে সহিংসতা এবং দারিদ্র্যতা থেকে বাঁচতে ইরাক, আফগানিস্তান, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, নিগার এবং কসভোর অনেক মানুষ ইউরোপমুখী হন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সীমান্তের ওপারে আশ্রয় খোঁজা
সিরীয় শরণার্থীদের অধিকাংশই ২০১১ সাল থেকে সে দেশের সীমান্ত সংলগ্ন তুরস্ক, লেবানন এবং জর্ডানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন৷ কিন্তু ২০১৫ সাল নাগাদ সেসব দেশের শরণার্থী শিবিরগুলো পূর্ণ হয়ে যায় এবং সেখানকার বাসিন্দারা সন্তানদের শিক্ষা দিতে না পারায় এবং কাজ না পাওয়ায় এক পর্যায়ে আরো দূরে কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পায়ে হেঁটে লম্বা পথ পাড়ি
২০১৫ সালে ১৫ লাখের মতো শরণার্থী ‘বলকান রুট’ ধরে পায়ে হেঁটে গ্রিস থেকে পশ্চিম ইউরোপে চলে আসেন৷ সেসময় ইউরোপের শেঙেন চুক্তি, যার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অধিকাংশ দেশের মধ্যে ভিসা ছাড়াই চলাচাল সম্ভব, নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ কেননা শরণার্থীরা গ্রিস থেকে ধীরে ধীরে ইউরোপের অপেক্ষাকৃত ধনী রাষ্ট্রগুলোর দিকে আগাতে থাকেন৷
ছবি: Getty Images/M. Cardy
সমুদ্র পাড়ির উন্মত্ত চেষ্টা
সেসময় হাজার হাজার শরণার্থী ‘ওভারক্রাউডেড’ নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে শুরু করেন৷ লিবিয়া থেকে ইটালি অভিমুখী বিপজ্জনক সেই যাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে সাগরে ডুবে যায় অন্তত আটশ’ মানুষ৷ আর বছর শেষে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার হাজার৷
ছবি: Reuters/D. Zammit Lupi
সীমান্তে চাপ
ইউরোপের বহির্সীমান্তে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কয়েকটি রাষ্ট্র চাপে পড়ে যায়৷ হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, ম্যাসিডোনিয়া এবং অস্ট্রিয়া এক পর্যায়ে সীমান্তে বেড়া দিয়ে দেয়৷ শুধু তাই নয়, সেসময় শরণার্থী আইন কঠোর করা হয় এবং শেঙেনভুক্ত কয়েকটি দেশ সাময়িকভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/epa/B. Mohai
বন্ধ দরজা খুলে দেয়া
জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সমালোচকরা মনে করেন, তাঁর ‘ওপেন-ডোর’ শরণার্থী নীতির কারণে বিপজ্জনক পথ পেরিয়ে অনেক শরণার্থীই ইউরোপে আসতে উৎসাহ পেয়েছেন৷ এক পর্যায়ে অবশ্য অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত পথ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে জার্মানিও৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি
২০১৬ সালের শুরুতে ইইউ এবং তুরস্কের মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ এই চুক্তির আওতায় গ্রিসে আসা শরণার্থীদের আবারো তুরস্কে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই চুক্তির বিরোধিতা করে৷ নভেম্বর মাসে অবশ্য তুরস্কের ইইউ-তে প্রবেশের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা স্থগিত ঘোষণার পর, সেই চুক্তি আবারো নড়বড়ে হয়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan
পরিস্থিতি বদলের কোনো লক্ষণ নেই
ইউরোপজুড়ে অভিবাসীবিরোধী মানসিকতা বাড়তে থাকলেও সরকারগুলো সম্মিলিতভাবে শরণার্থী সংকট মোকাবিলার কোনো সঠিক পন্থা এখনো খুঁজে পাননি৷ কোটা করে শরণার্থীদের ইইউ-ভুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে৷ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে চলমান সহিংসতার ইতি ঘটার কোনো লক্ষণও নেই৷ ওদিকে, সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে৷