রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর জার্মানির পররাষ্ট্রনীতি কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ পুরো একটি প্রজন্মের রাজনীতিবিদরা সমালোচিত হচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
২০০৮ সালে ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন৷ এটাকে রাশিয়া উসকানি হিসেবে দেখতে পারে, বলে মনে করেছিলেন তারা৷
ম্যার্কেল ও সার্কোজির এই সিদ্ধান্তকে সম্প্রতি ‘ভুল হিসাব' বলে আখ্যায়িত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ তিনি বলেন, ঐ সিদ্ধান্তের কারণে ইউক্রেন ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জীবন বাঁচাতে লড়ছে'৷
কিয়েভের কাছে বুচা শহরে বেসামরিক নাগরিকদের মৃতদেহ আবিষ্কারের পর ম্যার্কেলকে সেটা নিজ চোখে দেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি৷
২০০৮ সালে ম্যার্কেল ও সার্কোজি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার বিরোধিতা করলেও ঐ সময় ভবিষ্যতে ইউক্রেন ও জর্জিয়াকে সদস্য করতে একমত হয়েছিলেন ন্যাটো নেতৃবৃন্দ৷ যদিও এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি৷
জার্মানিতে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনের শরণার্থীরা
02:30
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রাইমিয়াদখলের পর ম্যার্কেলের সরকার ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠায়নি৷ অথচ একই সময়ে ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া থেকে গ্যাস আনতে বাল্টিক সাগরের নীচ দিয়ে পাইপলাইন বসানোর প্রকল্প অনুমোদন করেছিল জার্মানি, যেটা ‘নর্ড স্ট্রিম ২' নামে পরিচিত৷ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি করতে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ব্যবহার হওয়ায় ইউক্রেন যে টাকা পেত, সেটা ভবিষ্যতে পেতো না৷
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাবেক চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের নীরবতার সমালোচনা করেছিলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটেউশ মোরাভিয়েৎস্কি৷ তিনি বলেন, ‘‘মিসেস ম্যার্কেল, যুদ্ধ শুরুর পর আপনি কিছু বলেননি৷'' গত ১০, ১৫ বছরে জার্মানির নীতি বর্তমানের রাশিয়াকে শক্তি জুগিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
ভূরাজনীতি কি আবার ঠান্ডাযুদ্ধের সময়ে পৌঁছে যাচ্ছে? বাড়ছে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা?
ছবি: KCNA via KNS/AP Photo/picture alliance
সময়ের চাকা
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। পরমাণু অস্ত্র প্রদর্শনের আস্ফালনও ছিল চরম। সোভিয়েতের পতনের পর তা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। বর্তমান সময়ে ফের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
ছবি: Pavel Golovkin/AP/picture alliance
রাশিয়ার অবস্থান
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন রাশিয়ার নিউক্লিয়ার ফোর্সের জন্য বিশেষ অ্যালার্ট জারি করেছেন। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ।
ছবি: Mark Schiefelbein/AP/picture alliance
রাশিয়ার নিউক্লিয়ার ক্ষমতা
রাশিয়ার হাতে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র আছে। সবমিলিয়ে তাদের পরমাণু ওয়ারহেড ছয় হাজার ৩০০।
ছবি: Oleg Kuleshov/TASS/dpa/picture alliance
অ্যামেরিকার পারমাণবিক শক্তি
ন্যাটোর সঙ্গে যৌথভাবে অ্যামেরিকার পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮০০। যদিও এই সংখ্যা আরো বেশ বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যামেরিকা সব অস্ত্রের খতিয়ান দেয়নি বলেই মনে করা হয়।
ছবি: picture-alliance/AP/US Navy/R. Rebarich
ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য
ফ্রান্সের হাতে আছে ৩০০ এবং যুক্তরাজ্যের হাতে ২১৫টি পরমাণু অস্ত্র আছে।
ছবি: Ludovic Marin/AFP/Getty Images
চীনের শক্তি
বেজিংয়ের কাছে ৩২০টি পরমাণু অস্ত্র আছে। তবে চীনও গোপনে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়িয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা।
ছবি: Stephen Shaver/UPI Photo/Newscom/picture alliance
পরমাণু শক্তি ব্যবহারের মানসিকতা
পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মানসিকতা আলাদা। ফ্রান্স এবং ব্রিটেন পরমাণু শক্তি ব্যবহারের পক্ষপাতী নয়। তাদের বক্তব্য, পরমাণু শক্তিকে সামনে রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা যাবে না।
ছবি: Takuya Yoshino/AP/picture alliance
মার্কিন অভিমত
অ্যামেরিকা মনে করে, প্রয়োজনে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তার মাত্রা হবে কম। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তা পৌঁছে যাবে। এ কারণে, কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে জোর দিয়েছে অ্যামেরিকা। মার্কিন প্রশাসন মনে করে, কোনো না কোনো সময়ে কম শক্তির পরমাণু যুদ্ধ হবে।
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জার্মানির কুচকাওয়াজ
জার্মানির টর্নেডো যুদ্ধবিমানের ফাইটার পাইলটদের পরমাণু বোমা ফেলার ট্রেনিং দেওয়া হয়। জার্মানিতে সঞ্চিত মার্কিন পরমাণু বোমা যে কোনো সময় টর্নেডো বিমানের সাহায্যে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় ফেলতে পারেন এই পাইলটরা। বছরে একবার নকল বোমা নিয়ে তারা কুচকাওয়াজ করে।
ছবি: Getty Images/AFP/S. Gallup
নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইটালি
এই তিন দেশও ন্যাটোর পরমাণু প্রকল্পের অংশ। এখানেও অ্যামেরিকার ১০০ থেকে ১৫০টি পরমাণু পরমাণু বোমা রাখা আছে। টর্নেডো বিমানে যা বহন করা যায়।
ছবি: Michael Varaklas/AP Photo/picture alliance
পরমাণু অস্ত্র এবং আন্তর্জাতিক আইন
কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক আইনে নিষেধ আছে। এর শাস্তি চরম হতে পারে। তবে কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র সমুদ্রে ব্যবহার করার সুযোগ এখনো আছে। এমনকী, যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতেও তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছবি: Zaporizhzhya NPP/REUTERS
11 ছবি1 | 11
ম্যার্কেলের পর চ্যান্সেলর হওয়া ওলাফ শলৎসও রাশিয়ার বিরুদ্ধে দিতে যাওয়া ইইউর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপে বাধা দিয়েছেন বলে জানান পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী৷
জার্মানির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারও সমলোচনার হাত থেকে রেহাই পাননি৷ ২০০৫ থেকে ২০০৯ এবং ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ এই সময় তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন বার্লিনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রি মেলনিক৷ তাই যুদ্ধ শুরুর পর স্টাইনমায়ারের উদ্যোগে আয়োজিত পিস কনসার্ট বর্জন করেছিলেন মেলনিক৷
এছাড়া জার্মানির দৈনিক টাগেসস্পিগেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘সম্পর্কটা (রাশিয়ার সঙ্গে স্টাইনমায়ারের) অপরিহার্য ছিল, এমনকি পবিত্র, যা কিছুই ঘটুক না কেন৷'' ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আরও লিখেছিলেন, ‘‘এমনকি উসকানি ছাড়া যু্দ্ধ শুরু করলেও এতে কোনো পার্থক্য হয়নি৷''
জার্মানির কোনো নেতা সম্পর্কে একজন রাষ্ট্রদূতের করা এটিই সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা৷ জার্মানির রেগেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্টেফান বিয়ারলিং ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পুটিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জার্মানির প্রতিটি সরকার এই সংকেত দিয়েছে যে ইউক্রেনের ভাগ্যের চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা ক্রেমলিনকে উৎসাহ জুগিয়েছে৷''
ভুলস্বীকার
স্টাইনমায়ার স্বীকার করেছেন যে, জার্মানির রাশিয়া নীতি ‘দুর্বল মূল্যায়ন' ছিল৷ এছাড়া ‘নর্ড স্ট্রিম ২' প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার কারণে জার্মানি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি৷ তবে পুটিন কী করবেন তা জানা অসম্ভব ছিল বলেও জানান জার্মান প্রেসিডেন্ট৷
এদিকে, ম্যার্কেল এক বিবৃতিতে ২০০৮ সালে ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পথ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলে জানান৷তবে জার্মানির সমালোচনা করলেও পুটিনের সঙ্গে আলোচনায়জার্মানির কূটনৈতিক ভূমিকা পালনের গুরুত্ব আছে বলে স্বীকার করেন জার্মানিতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত মেলনিক৷ তিনি বলেন, পুটিনের সঙ্গে আলোচনায় ‘‘আমাদের ওলাফ শলৎসের ব্যক্তিগত নেতৃত্ব প্রয়োজন৷'' জার্মানির নতুন পররাষ্ট্রনীতির জন্য এটি একটি লিটমাস টেস্ট হবে বলেও মন্তব্য করেন মেলনিক৷
ম্যার্কেলের সময় ফ্রান্স, জার্মানি, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শুরু হওয়া শান্তি উদ্যোগ ‘নরম্যাণ্ডি ফরম্যাট'-এর প্রতিও সমর্থন জানান ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত৷ তবে এই আলোচনায় ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করতে চাইলেও জার্মানি ও ফ্রান্স এখনও তাতে রাজি হয়নি৷
ক্রিস্টোফ হাসেলবাখ/জেডএইচ
বার্লিন এসে স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা
যুদ্ধের কারণে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনীয়রা৷ অনেকেই এসেছেন বার্লিনে৷ জার্মানির রাজধানীতে এসে আবার স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা৷ দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পুরোনো অভ্যাসে
আর্চে নামের একটি সংস্থা ‘ইউক্রেনের জন্য ক্লাসরুম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে৷ সেখানেই শরণার্থী হিসেবে বার্লিনে আসা খুদে পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলে ফেরার ব্যবস্থা হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে অঙ্ক
কামিলা নামের এই মেয়েটির পরিবারও বার্লিনে আশ্রয় নিয়েছে ৷ নতুন দেশে এসে স্কুলজীবনে ফিরতে পেরেছে সে৷ মন দিয়ে সে অঙ্ক কষছে ক্লাসে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন বন্ধু
নতুন বন্ধু সোফিয়াকে খুঁজে পেয়েছে কামিলা৷ সোফিয়াও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাড়ির সবার সঙ্গে বার্লিনে চলে এসেছে৷ সোফিয়া কী লিখছে খাতায়? কামিলা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনাই বেঁচে থাকার রসদ
শরণার্থী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অন্যতম হাতিয়ার পড়াশোনা৷ সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে এই প্রকল্পে৷ সোফিয়া কিন্তু বেশ মনোযোগী ছাত্রী, বোঝাই যাচ্ছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মাতৃভাষায় শিক্ষা
ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পাশে থাকতে জার্মানির অনেক স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে এসেছেন৷ বেসরকারি একাধিক সংস্থা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে৷ পড়াশোনা সহজ করে তুলতে ইউক্রেনীয় শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছে আর্চে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন ক্লাসরুমে
নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে খুদে পড়ুয়াদের৷ তবে স্কুল যখন শুরু হয়েছে, তখন নতুন বন্ধুও তো হবে৷ সবাই মিলে আবারও ক্লাসরুমে ফেরা৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পাশে শিক্ষকরা
শিক্ষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে ইউক্রেনীয় পড়ুয়ারা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে৷ তারা বেশ মন দিয়ে শিক্ষিকার কথা শুনছে৷ তবে পিছনের বেঞ্চে দুই খুদে হেসে গল্পও করে নিচ্ছে চুপিচুপি৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে নোট
শিক্ষিকা কী বলছেন, কেউ মন দিয়ে শুনছে৷ আবার কেউ খাতায় লিখে রাখছে৷ এই খুদে পড়ুয়াদের মুখেচোখে শান্তির হাসি৷ ছোটদের মুখে এমন হাসিই তো মানায়৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনার আনন্দ
রোজের রুটিনে শিশুগুলিকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর সংস্থা৷ পিঠে ব্যাগ নিয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা৷ ইউক্রেন থেকে জার্মানির বার্লিনে এসে নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করছে তারাও৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
রাঙা হাসি রাশি রাশি
এক বন্ধুর সঙ্গে খেলায় মেতেছে পাউলিনা৷ ওর মুখের হাসিটা দেখুন একবার৷ শহীদ কাদরির লেখা সেই গানটা কি মনে পড়ছে না? ‘বোমা নয়, গুলি নয়, চকোলেট টফি রাশি রাশি’ যেন ওর কাছে প্যারাট্রুপারের মতো হাজির হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
ছবি আঁকার জগতে
রং-তুলির টানে নিজের ফেলে আসা দেশকে মনে রেখেছে পড়ুয়ারা৷ ইউক্রেনের জাতীয় পতাকার রঙে রাঙিয়ে তুলেছে আঁকার খাতা৷ পাশাপাশি, জার্মানির প্রতিও ভালোবাসার প্রকাশ রয়েছে তাদের ছবিতে৷