সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার চিত্রসত্ত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের এক প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে৷ সমস্যা আপাতত মিটলেও ভবিষ্যতের বিরোধের সম্ভাবনা থেকেই গেল৷
ছবি: DW/P. Samanta
বিজ্ঞাপন
সত্যজিৎ রায় মারা গেছেন ২৫ বছর হয়ে গেল৷ এই দীর্ঘ সময়ে সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট কোনো চরিত্র, বিশেষ করে ফেলুদাকে নিয়ে রায় পরিবারের বাইরে কেউ ছবি তৈরি করেননি৷ বস্তুত সত্যজিতের কোনো গল্পেরই ফিল্ম অথবা টিভির সত্ত্ব বাইরের কারও হাতে যায়নি৷ যে কারণে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেলুদার এক আধুনিক অবতারের ‘টিজার' দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই৷ আড্ডাটাইমস ডট কম নামে এক সাইটের থেকে পোস্ট করা ওই ভিডিও টিজারে জানানো হয়েছিল, ওয়েব সিরিজে ওই নতুন ফেলুদার আগমনবার্তা৷ বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের এই ফেলুদা দৃশ্যতই অনেক আধুনিক৷ নিয়মিত যোগাসন নয়, চলতি ধারা মেনে শরীরচর্চার জন্য এই ফেলুদা রোজ জিমে যায়৷ এই ফেলুদা কম্পিউটারে সিদ্ধহস্ত এবং প্রায় জেমস বন্ডের কায়দায় এই ফেলুদা চলন্ত ট্যাক্সির জানলা থেকে রিভলভার বের করে গুলি চালায়৷
‘মহারাজা, তোমারে সেলাম’
বিশ্বের দরবারে বাঙালি সংস্কৃতির উজ্জ্বল প্রতিনিধি সত্যজিৎ রায়৷ অস্কারবিজেতা চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ, চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক রূপেও সমাদৃত৷ ২ মে, জন্মবার্ষিকীতে তাঁর ঘর ঘুরে এসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন.....
ছবি: DW/P. Samanta
শততম জন্মদিন
বেঁচে থাকলে এই বৈশাখে শতবর্ষে পা রাখতেন সত্যজিৎ রায়৷ ১৯২১ সালের ২ মে তাঁর জন্ম৷ আমবাঙালির সঙ্গে শ্রদ্ধা পুত্র সন্দীপ রায়ের৷
ছবি: DW/P. Samanta
হলুদ বাড়ির তিনতলায়
শুধু বাড়ি বললে কম বলা হবে৷ বলা ভালো, সৃষ্টির সূতিকাগার৷ বিশপ লেফ্রয় রোডের দি প্রপার্টি ইন্ডিয়া কোম্পানির বাড়িতে সত্যজিৎ রায় ১৯৯২ সালের শেষ দিনটি পর্যন্ত কাটিয়েছেন৷ তাঁর লেখা-আঁকা আর চলচ্চিত্রের উদ্ভাবনী দক্ষতার সাক্ষী তিনতলার ঘরগুলি৷
ছবি: DW/P. Samanta
ভরা থাক স্মৃতিসুধায়
এই বাড়ির ইঁট-কাঠ-কড়ি-বরগায় এক দীর্ঘদেহী মানুষের স্মৃতি৷ তাঁকেই ছুঁয়ে দেখার চেষ্টাই যেন ভক্তদের৷ জন্মদিনে মানিকবাবুর বসার ঘর জমজমাট৷ অতিথি আপ্যায়নে তাঁর পুত্র সন্দীপ৷
ছবি: DW/P. Samanta
বারান্দার স্মৃতি
ছোটবেলা থেকেই তাঁর পছন্দ ছিল বারান্দা৷ ভবানীপুরে মামার বাড়ির বারা্ন্দা সম্পর্কে নিজেই বলেছেন, ‘‘শোবার ঘর থেকে বেরিয়েই বারান্দা, সকাল-দুপুর-বিকেলভরে দেখতাম রাস্তায় কতরকম লোকের চলাফেরা৷’’ বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়ির লম্বা লাল বারান্দা জুড়ে তাঁর কত স্মৃতি জড়িয়ে৷ পুত্রের জন্মদিনে বাবা সুকুমার রায়কেও স্মরণ৷
ছবি: DW/P. Samanta
তোমার সৃষ্টির পথ
বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার প্রথম কৃতিত্ব তাঁরই৷ কলকাতা পুরসভা বিশ্ববরেণ্য চিত্র পরিচালকের স্মৃতিধন্য বিশপ লেফ্রয় রোডকে শিল্পীর সৃষ্টিতে সাজিয়েছে৷ রাস্তার দুধারে ভিক্টোরিয়ান যুগের আদলে তৈরি আলোকস্তম্ভের সঙ্গে সত্যজিতের আঁকা পোস্টার যেন তাঁর নিবাসের দিকচিহ্ন৷
ছবি: DW/P. Samanta
দাদু-নাতি যুগলবন্দি
বুদ্ধদেব বসু বলেছেন, ‘‘...বাংলা শিশুসাহিত্য এই রায়চৌধুরীদের পারিবারিক এবং মৌরশি কারবার ভিন্ন কিছুই নয়৷’’ উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিতের তিন প্রজন্মকে কুর্নিশ জানায় বাঙালি৷ দাদু উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অসামান্য সৃষ্টি গুপী গাইন-বাঘা বাইনকে বইয়ের পাতা থেকে চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে এনেছিলেন সত্যজিৎ৷ কলকাতায় জহরলাল নেহরু রোড থেকে বিশপ লেফ্রয় রোডে ঢোকার মুখে ‘হীরক রাজার দেশে’র পোস্টার৷
ছবি: DW/P. Samanta
এ তোমার মাটি
দক্ষিণ কলকাতার লি রোডের খুব কাছেই ১/১, বিশপ লেফ্রয় রোড৷ এটাই রায় পরিবারের ঠিকানা৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নামকরণ করেছেন ‘সত্যজিৎ রায় ধরণী’৷ সরণী নয়, কারণ এটাই ছিল মানিকবাবুর সৃষ্টির আপন ভুবন৷
ছবি: DW/P. Samanta
বাঙালি গোয়েন্দার বিশ্বজয়
সত্যজিৎ সৃষ্ট তুখোড়, মেধাবী, অসামান্য পর্যবেক্ষণশক্তির অধিকারী ও অসীম সাহসী গোয়েন্দা প্রদোষচন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা সববয়সি পাঠকের একান্ত প্রিয়জন৷ রহস্যের জট ছাড়াতে তাঁকে দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হলেও তিনি আদ্যোপান্ত বাঙালি যুবক৷ ছাপার অক্ষরে ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বময়৷ সত্যজিতের ফেলুদার ফরাসি, ইতালীয়, জাপানি ও জার্মান অনুবাদের প্রচ্ছদ৷
ছবি: DW/P. Samanta
দেশেও ফেলুদার জয়জয়কার
সত্যজিতের চলচ্চিত্রের মতো সাহিত্যের চাহিদা বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায়৷ গোয়েন্দাকাহিনী থেকে আশ্চর্য সব ছোটগল্পের অনুবাদ হয়েছে৷ ওড়িয়া, গুজরাতি, মারাঠি, মালায়ালম ভাষায় অনূদিত বইয়ের প্রচ্ছদ৷
ছবি: DW/P. Samanta
চলচ্চিত্রের নেপথ্য ভাবনা
কোনও কাহিনী থেকে সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে অভিনেতার কস্টিউম থেকে কেশসজ্জা, সব কিছুতেই নিখুঁত ডিটেলিংয়ে বিশ্বাসী ছিলেন সত্যজিৎ৷ তা সে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা নরেন্দ্রনাথ মিত্রের কাহিনী হোক, কিংবা নিজের লেখা ফেলু মিত্তিরের উপন্যাস৷ সোনার কেল্লা’র জন্য ফেলুদা এবং ভিলেন মন্দার বোস ও ডাক্তার হাজরার মেক-আপ ভাবনার স্কেচ৷
ছবি: DW/P. Samanta
নিঁখুতেই নজর
খুঁতখুঁতে ছিলেন বলেই নিখুঁত না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়তেন না৷ ফেলুদার খাস কলকাতার রহস্য কাহিনী ‘বোসপুকুরে খুনখারাপি’র খসড়া দেখেই সেটা বোঝা যায়৷ তাঁর হাতে লেখা খসড়াটির সঙ্গে আঁকা প্রচ্ছদ৷
ছবি: DW/P. Samanta
নতুন যুগের কেতা
সিনেমা আর গল্পের বাইরে ফেলুদা অনেক আগেই টিভি সিরিয়াল ও কমিক্সে হাজির হয়েছেন৷ এখন ব্যাটম্যান, সুপারম্যানের মতো টি-শার্টেও হাজির তিনি৷ বিপণনের জগতে ছোটদের সঙ্গে মোলাকাতের জন্য নয়া রাস্তা এই ফেলুদা টি-শার্ট৷ ৩০০ টাকায় দেদার বিকোচ্ছে কলকাতার আইসিসিআর-এ৷
ছবি: DW/P. Samanta
তথ্যচিত্রে সত্যজিৎ
পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সত্যজিৎ তৈরি করেছেন তথ্যচিত্রও৷ ‘রবীন্দ্রনাথ’, ‘সিকিম’, ‘সুকুমার রায়’, ‘বালা’, ‘ইনার আই’ প্রভৃতি৷ তাঁর জীবন ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক তথ্যচিত্র৷ জন্মদিনে নতুন একটি তথ্যচিত্রের মুক্তি সন্দীপ রায় ও সব্যসাচী চক্রবর্তীর হাতে৷
ছবি: DW/P. Samanta
দেওয়াল জুড়ে সত্যজিৎ
ছোটদের জন্য লেখালেখি ও ছবি তৈরিতে খুব উৎসাহী ছিলেন সত্যজিৎ রায়৷ তাদের রং-তুলিতেই ফুটে উঠেছেন তিনি৷ একটি কর্মশালায় ছেলেমেয়েরা এঁকেছে সত্যজিতের পৃথিবীকে৷ নেহরু চিল্ড্রেন্স মিউজিয়ামের দেওয়ালে৷
ছবি: DW/P. Samanta
14 ছবি1 | 14
স্পষ্টতই দু'রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে এই টিজারের৷ যাঁরা পুরনো ফেলুদা-ভক্ত, তাঁরা আপশোস করেছেন যে হায়, এমন দিনও দেখতে হলো, যেখানে ফেলুদা জেমস বন্ডের বাঙালি অবতার হয়ে উঠছে! কিন্তু যারা আজকালকার ছেলে-মেয়ে, তারা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এই নতুন ফেলুদাকে দেখে৷ তাদের মনে হয়েছে, ফেলুদার এখন এরকমই আধুনিক, যুগোপযোগী হওয়া উচিত৷ এছাড়া এদের এক বড় অংশ এ-ও মনে করেছে যে, অবশেষে সত্যজিৎ রায়ের পরিবারের বাইরে বেরোতে পেরে ফেলুদাও সম্ভবত হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন৷ কারণ সত্যজিৎ নির্দেশিত ‘সোনার কেল্লা' বা ‘জয় বাবা ফেলুনাথ' ছবিতে পরিচালনার যে মুন্সিয়ানা, যে বুদ্ধি, বিচক্ষণতা এবং রসবোধের ঝলক থাকত গোটা ছবিজুড়ে, সন্দীপ রায় নির্দেশিত ফেলুদায় তা শোচনীয়ভাবে অনুপস্থিত৷
এছাড়া তৃতীয় একটি প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল খোদ সন্দীপ রায়ের থেকে, যিনি জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এই টিজার দেখে তিনি বিস্মিত৷ কারণ বাংলাদেশের ক্যান্ডি প্রোডাকশন্স লিমিটেডের কাছে ফেলুদার ৩০টি গল্পের টিভি সিরিজ এবং ওয়েব সিরিজের সত্ত্ব তিনি বিক্রি করেছেন এই শর্তেই যে ছবিগুলি ভারতে দেখানো যাবে না৷ অর্থাৎ ভারতীয় বাঙালি দর্শকদের কাছে ফেলুদার এক্সক্লুসিভিটি সন্দীপ রায়ই ধরে রাখতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনি সম্ভবত যেটা বোঝেননি, ওয়েব, অর্থাৎ ইন্টারনেটের কোনো ভৌগোলিক সীমানা হয় না৷ প্রযুক্তিগতভাবে যদিও এমন ব্যবস্থা করা যায় যে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক দেশে কোনো ওয়েব সিরিজ দেখা যাবে না৷ কিন্তু বাংলাদেশের ক্যান্ডি প্রোডাকসন্সের সঙ্গে চুক্তিতে সম্ভবত সেই ব্যবস্থার নির্দিষ্ট উল্লেখ ছিল না৷ ফলে ক্যান্ডির সঙ্গে ভারতের ওয়েবসাইট আড্ডাটাইমসেরও চুক্তি করার কোনো আইনি বাধা ছিল না৷
বিশ্বের আটটি রেকর্ড ভাঙা বই
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বইটি ঠিক কত ছোট? কোন উপন্যাস সবচেয়ে বেশিবার পড়া হয়েছে? ২৩শে এপ্রিল ছিল ইউনেস্কোর বিশ্ব পুস্তক দিবস৷ কাজেই দেরিতে হলেও, একবার বইয়ের জগতের দিকে নজর দেওয়া যাক...
ছবি: dpa
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বই
১৯৯৪ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘কোডেক্স লেস্টার’ নামের নোটবইটি নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টিজ নিলাম সংস্থায় নিলাম করা হয়৷ নোটবইটি শেষমেশ কেনেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনি মানুষ বিল গেট্স, তিন কোটি আট লাখ ডলার দিয়ে৷
ছবি: picture alliance/Prisma Archivo
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ছাপা বই
গুটেনব্যার্গ বাইবেল ছাপার ছয় শতাব্দী আগেই আরেকটি মুদ্রণ পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছিল, ৮৬৮ সালে৷ বৌদ্ধধর্মের মহাযান সূত্রের প্রখ্যাত ‘হীরক সূত্রের’ এই চীনা সংস্করণটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম মুদ্রিত বই বলে গণ্য করা হয়৷ এর বিষয় হলো বুদ্ধ ও তাঁর এক শিষ্যের মধ্যে কথোপকথন৷ বইটির হরফ আর ছবিগুলি কাঠের উপর খোদাই করে, তার উপর রং লাগিয়ে পরে কাগজে ছাপা হয়েছিল৷
ছবি: Wikipedia/Gemeinfrei
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বই
দেখতে পাচ্ছেন তো? এক মিলিমিটারের ১০০ ভাগের ৭৪ ভাগ বাই ৭৫ ভাগ৷ জাপানের এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বইয়ের রেকর্ডধারী৷ বইটির নাম ‘শিকি নো কুসাবানা’ (মৌসুমি ফুল), পাতার সংখ্যা ২২৷ বইটিতে বিভিন্ন ফুলের নামসহ ছোট ছোট ছবি আছে; হরফের মাপ হলো এক মিলিমিটারের ১০০ ভাগের এক ভাগ৷ প্রকাশক তোপ্পান প্রিন্টিং টাকশালে টাকা ছাপানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বইটি ছাপেন৷
ছবি: Colourbox
বিশ্বের সবচেয়ে বহুল প্রচারিত বই
বাইবেলের আরো অনেক রেকর্ড আছে, তবে খ্রিষ্টানদের এই আকর গ্রন্থের কত কপি যে সারা বিশ্বে ছাপানো হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই, যদিও গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আন্দাজ হলো আড়াইশ’ থেকে পাঁচশ’ কোটি৷ ওয়ার্ল্ড বাইবেল সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর সারা দুনিয়ায় দু’কোটি বাইবেল ছাপা হয়৷ বইটি নাকি আড়াই হাজারের বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে৷
ছবি: AP
যে উপন্যাস সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে
ডন কিখোতে, যাকে আমরা ডন কুইক্সোট বলে জানি, তাঁর কীর্তিকলাপ গত ৪০০ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ পাঠক এবং সেই সঙ্গে রিচার্ড স্ট্রাউসের মতো সংগীতস্রষ্টা ও পাবলো পিকাসোর মতো চিত্রকরদের প্রেরণা জুগিয়ে আসছে৷ মিগুয়েল দে সার্ভান্তেজের লেখা বইটি ছাপা হয়েছে ৫০ কোটি বার৷ অপরদিকে সব ক’টি হ্যারি পটার উপন্যাস মিলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ কোটি৷
ছবি: picture-alliance/Lou Avers
বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রয়যোগ্য বই
আগাথা ক্রিস্টির মিস মার্পল কাহিনী সমগ্র হলো ৩২ সেন্টিমিটার পুরু এবং ওজনে আট কিলোগ্রাম৷ ৪,০৩২ পাতার বইটিতে মিস মার্পলের সমাধান করা ৩২টি গোয়েন্দা কাহিনী একত্রিত করা হয়েছে৷ হার্পারকলিন্স বইটির ৫০০ কপিতে সীমিত একটি বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Curry
বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যজনক বই
ভয়নিচ পাণ্ডুলিপিটি লেখা এক অজ্ঞাত ভাষায় ও হরফে৷ অলঙ্করণের ছবিগুলিতে আছে নানা ধরনের নাম-না-জানা গাছপালা, এছাড়া অদ্ভুত সব দৃশ্য, যেমন চৌবাচ্চায় স্নানরতা সব নগ্ন সুন্দরী - আধারগুলি আবার নানা ধরনের পাইপ দিয়ে জোড়া৷ বইটি নাকি পঞ্চদশ শতাব্দীর এবং এককালে সম্রাট দ্বিতীয় রুডল্ফের সম্পত্তি ছিল৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
সবচেয়ে বেশি বই লিখেছেন যে লেখক
তিনি হলেন সায়েন্টোলজির প্রতিষ্ঠাতা এল. রন হাবার্ড৷ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, হাবার্ডের লেখা বইয়ের সংখ্যা হলো ১,০৮৪৷ অডিও বইয়ের ক্ষেত্রেও তিনি খেতাবধারী৷ আদতে সায়েন্স ফিকশন লেখক হাবার্ড পরে তাঁর বিতর্কিত সায়েন্টোলজি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন৷
ছবি: dpa
8 ছবি1 | 8
যদিও শেষ পর্যন্ত পারস্পরিক সমঝোতায় বিষয়টি মিটেছে৷ সন্দীপ রায় এবং ক্যান্ডি প্রোডাকশন্সের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়র শাকিলের সই করা এক যৌথ ঘোষণাপত্রে জানানো হয়েছে, সত্যজিৎ রায়ের যে ফেলুদার গল্প নিয়ে সন্দীপ রায় এর মধ্যেই ছবি বানিয়ে ফেলেছেন, সেগুলিরই আপাতত টিভি এবং ওয়েব সিরিজ বানাবে ক্যান্ডি৷ যদিও সেই তালিকায় ‘গ্যাংটকে গন্ডোগোল'-এর নামও ঢুকে গেছে, ফেলুদার যে গল্পটি নিয়ে সন্দীপ রায় ছবি তৈরির কথা ভেবেছেন মাত্র, এখনও শুটিংই শুরু হয়নি! আরও একটি সমস্যা হতে পারে ভবিষ্যতে৷ সন্দীপ রায় ফেলুদার গল্প নিয়ে ছবি বানান দু'বছরে একটি, বা বছরে একটি৷ সেখানে তিনি না বানানো পর্যন্ত বাংলাদেশে টিভি সিরিজ, বা ওয়েব সিরিজ বানানো যাবে না, চুক্তির বাইরের এই সমঝোতা টিকিয়ে রাখার ধৈর্য কতদিন থাকে, সংশয় আছে সে নিয়ে৷
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে বহুবার সন্দীপ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁর বাড়ির ল্যান্ডলাইন ফোনটি বেজেই গেছে, কেউ তোলেনি৷ সন্দীপ রায় এখনও, আজকের দিনেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না৷ হয়ত এই আধুনিক প্রযুক্তি তাঁকে যথেষ্ট স্বস্তি দেয় না৷