কাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-এর ২৭তম আসরের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক৷ আলোচনার এজেন্ডায় প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে ক্ষতিপূরণ তহবিল৷
বিজ্ঞাপন
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণের জন্য একটি নতুন তহবিল গঠনের প্রচেষ্টা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে৷ ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' নামের এই তহবিল গঠনের বিষয়টি এতদিন সম্মেলনের মূল এজেন্ডাতেই রাখতে চায়নি উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশ৷ কিন্তু মিশরে বসা কপের ২৭তম আসরের আগে এই তহবিলের বিষয়টি নিয়ে এতটাই চাপ তৈরি হয়, যে রোববার এজেন্ডা ঠিক করার দিন তা সবার ভোটে পাশ হয়৷
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ' নামে একটি তহবিল গঠনের চেষ্টা করছে বহুদিন ধরে৷ গত বছর গ্লাসগো সম্মেলনেও এ নিয়ে জোর দাবি তোলা হয়৷ কিন্তু উন্নত দেশগুলো তহবিল নয়, বরং এ নিয়ে আগামী তিন বছর মূল এজেন্ডার বাইরে আলোচনা চালিয়ে যাবার কথা বলে৷ সম্প্রতি একের পর এক বড় বড় দুর্যোগের ফলে এ নিয়ে চাপ তৈরি হয়৷ এর আগে ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার গরিব দেশগুলোকে দেবে৷ সেই প্রতিশ্রুতিও রাখেনি তারা৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, তহবিলটি মূলত অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য৷ তাদের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে৷ এই পরিস্থিতিতে অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্যও মোটা অংকের অর্থনৈতিক সযোগিতা প্রয়োজন৷
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালীমুল হক জানান, মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে পাকিস্তানের বন্যা দ্বিগুণ ভয়াবহ হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘অভিযোজন এবং প্রশমন প্রকল্পগুলো ব্যর্থ হয়েছে৷ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ছে৷ তাদের সহযোগিতা দরকার৷ আর এ জন্য আমাদের তহবিল দরকার৷’’
কপ-২৭: মিশরের আলোচনায় প্রধান ভূমিকা রাখবে যারা
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী ১৯৭টি দেশের সবারই নিজস্ব উদ্বেগ ও লক্ষ্য রয়েছে৷ কিন্তু কিছু দেশ ও গ্রুপ এই আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে৷ তাদের নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: Fabian Bimmer/Reuters
চীন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন৷ এ বছরই দেশটিতে গ্রীষ্মে সবচেয়ে উষ্ণ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে৷ কিন্তু জ্বালানি নিরাপত্তার কথা বলে কয়লার ব্যবহার বাড়াচ্ছে দেশটি৷ তবে কয়লার ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে চীন৷ জ্বালানি নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতিও বড় ভূমিকা রাখছে৷ তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক জলবায়ু আলোচনা বাতিল করেছে চীন৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Wallace
যুক্তরাষ্ট্র
চীনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ সম্প্রতি দেশটি কিছু আইনী পরিবর্তন এনেছে৷ এর ফলে দেশটিতে সবুজ জ্বালানি এবং পরিবহণে কয়েক লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগ সম্ভব হবে৷ আগস্টে ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করার ফলে দেশটির ন্যাশনাল গ্রিডে সবুজ বিদ্যুৎ বাড়বে৷ এই দশকের শেষ থেকে বছরে ১০০ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: Erik McGregor/Pacific Press/picture alliance
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের আট শতাংশের জন্য দায়ী৷ তবে এর পরিমাণও অনেক বছর ধরেই কমছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় কার্বন নিঃসরণ ৫৫% কমানোর আইন পাস করেছে এই জোট৷ কিন্তু কীভাবে এই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, এ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে৷ জলবায়ু সম্মেলনে একক গ্রুপ হিসাবে আলোচনায় অংশ নেয় ইইউ৷
ছবি: Fabian Bimmer/Reuters
যুক্তরাজ্য
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিদ্যুৎসংকটের ফলে গতবারের জলবায়ু সম্মেলন আয়োজক দেশটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হুমকিতে পড়েছে৷ ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটি৷ নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে কীভাবে দেশটি জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে, তা স্পষ্ট নয়৷ যুবরাজ থাকা অবস্থায় জলবায়ু নিয়ে সোচ্চার থাকা বর্তমান রাজা চার্লস মিশরের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না বলে জানানো হয়েছে৷
ছবি: Justin Ng/Avalon/picture alliance
‘বেসিক’ রাষ্ট্র
এই ব্লকে রয়েছে ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা, ভারত এবং চীনের মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ৷ ২০২১ সালের সম্মেলনে চীনের মতো ভারতও কয়লার ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিতে অস্বীকৃতি জানায়৷ ব্রাজিল কার্বন ক্রেডিট মার্কেটের নিয়ম নির্ধারণে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়৷ সাউথ আফ্রিকা জীবাশ্ম থেকে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য সাড়ে আট হাজার কোটি ডলারের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে৷
ছবি: Anushree Fadnavis/REUTERS
জি-৭৭ + চীন
চীন এবং অন্য ৭৭টি দেশের এই জোট মনে করে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে৷ কপ-২৭ সম্মেলনে এই গ্রুপের নেতৃত্ব দেবে বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান৷ এই গ্রুপের অন্যতম দাবি, ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে একটি স্থায়ী তহবিল গঠন করা৷
ছবি: AFP/Getty Images/A. Ali
আমব্রেলা গ্রুপ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থাকা উন্নত দেশগুলোর জোট এটি৷ এতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Triballeau
আফ্রিকা গ্রুপ
জাতিসংঘের সদস্য আফ্রিকার দেশগুলোর দাবি, আরো বেশি জলবায়ু অর্থায়ন৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়াতে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রয়োজন বলেও মনে করে এই গ্রুপ৷ মিশরসহ বেশকিছু আফ্রিকান দেশ রূপান্তর জ্বালানি হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত গড়ে তুলতে চায়৷ রাশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাসের বিকল্প হিসাবে ইউরোপকে এই গ্যাস সরবরাহও করতে চায় দেশগুলো৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Manie
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৫৮টি দেশের এই গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশও৷ এই গ্রুপের প্রধান দাবি হচ্ছে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’-এর ভিত্তিতে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর জোট
এই জোট আওসিস নামেও পরিচিত৷ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উপকূল ক্ষয়ের কারণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে এই দেশগুলো৷
ছবি: 350 Pacific via Reuters
10 ছবি1 | 10
কপ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
রোববার একইসঙ্গে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কপ২৭-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে৷অ নির্বাচিত হবার পর সবার উদ্দেশ্যে শুকরি বলেন, ‘‘আজ এমন একটা সময় আমাদের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জের বইতে হচ্ছে পুরো বিশ্বকে৷ বিশ্ব জ্বালানি ও খাদ্য সংকট দেখছে৷ সে যাই হোক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা যেন প্রভাব না ফেলে৷’’
মিশরের শারম আল-শাইখে এবার কপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী এবার নিবন্ধন করেছেন৷ উপস্থিতির দিক থেকে এটি অন্যতম বড় সম্মেলন হতে যাচ্ছে৷ সোম ও মঙ্গলবার হবে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক৷ সেখানে বিশ্বনেতারা অংশ নেবেন৷ এরপর ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে আলোচনা ও বৈঠক৷ এবার যেসব বিষয় আলোচনার মূলে থাকবে, তার মধ্যে রয়েছে অভিযোজনে অর্থায়ন বাড়ানো, কার্বন নিঃসরণ কমানোর নতুন লক্ষ্যমাত্রা ও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থায়ন৷
জেনে রাখুন কিছু জলবায়ু পরিভাষা
রোববার শুরু জলবায়ু সম্মেলন৷ মিশরের শার্ম আল-শেইখে জলবায়ু নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জড়ো হবেন বিশ্বনেতারা৷ দশকের পর দশক ধরে চলা এই আলোচনায় চালু হয়েছে অনেক জটিল পরিভাষাও৷ ছবিঘরে থাকছে কিছু পরিভাষার ব্যাখ্যা৷
ছবি: Sayed Sheasha/REUTERS
গ্লাসগো প্যাক্ট
২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে এই চুক্তি হয়৷ প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের কোনো চুক্তিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়৷ এই চুক্তিতে রাষ্ট্রগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আরো উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়৷
ছবি: Jane Barlow/empics/picture alliance
প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট
কিয়োটো প্রোটোকলের উত্তরসূরি হিসাবে ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে হয় এই চুক্তি৷ এই চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করার ব্যাপারে একমত হয় স্বাক্ষরকারী দেশগুলো৷ দেশগুলো জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার ব্যাপারেও একমত হয়৷ ২০২০ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
১.৫ ডিগ্রি
প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চলতি শতাব্দীতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির অনেক নীচে ধরে রাখতে সম্মত হয়৷ চুক্তিতে এর আইনি বাধ্যবাধকতাও তৈরি হয়৷ পাশাপাশি উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করার কথাও বলা হয় এই চুক্তিতে৷
ছবি: Martin Meissner/AP/picture alliance
কপ ২৭
কনফারেন্স অব পার্টিজ- কপ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কনভেনশনের সর্বোচ্চ সংস্থা৷ প্যারিস চুক্তি সই করা দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতি বছর কপের সম্মেলন আয়োজিত হয়৷ কপের ২৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মিশরের শার্ম আল-শেইখের রেড রিসোর্ট টাউনে৷
ছবি: Sayed Sheasha/REUTERS
ন্যাশনালি ডিটারমাইনড কন্ট্রিবিউশনস, এনডিসি
এনডিসি হচ্ছে রাষ্ট্রগুলোর ঘোষণা করা কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা৷ ২০২০ সাল থেকে কোন দেশ কতটুকু নিঃসরণ কমাবে, সেটি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেই ঘোষণা করছে বিভিন্ন দেশ৷ প্রতি পাঁচ বছরে একবার বিভিন্ন দেশ এই লক্ষ্যমাত্রা নতুন করে নির্ধারণ করে৷
ছবি: Yves Herman/REUTERS
‘জাস্ট ট্রানজিশন’
নিম্ন কার্বন নিঃসরণের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে জাস্ট ট্রানজিশন বলা হয়৷ এই প্রক্রিয়ায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত না করে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার নীতি নির্ধারণ করা হয়৷ শ্রমিক, বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ভোক্তাদের সুযোগসুবিধা যাতে বৃদ্ধি পায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়৷
ছবি: Mousse/abaca/picture alliance
ক্লাইমেট ফিন্যান্স
২০০৯ সালে ধনী দেশগুলো অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়৷ ২০১৫ সালে দেশগুলো এই প্রতিশ্রুতি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়৷ কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করতে পারেনি ধনী দেশগুলো৷
ছবি: Getty Images/C. Court
লস অ্যান্ড ড্যামেজ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ধনী দেশগুলো সহায়তা দিতে রাজি হলেও দরিদ্র দেশগুলো প্রতিবছরই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কতটা ক্ষতি হচ্ছে তার পরিমাণ নির্ধারণে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিয়ে থাকে৷ এই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা গেলে সে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণও দাবি করা সম্ভব হবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে৷