কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
৬ আগস্ট ২০১২রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমুখী সৃজনশীলতা বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের প্রায় সবকটি শাখাকে স্পর্শ করেছে, সমৃদ্ধ করেছে৷ তাঁর লেখা গান বাঙালির হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হয়৷ আনন্দে, বেদনায় এমনকি দ্রোহে এখনও রবীন্দ্রনাথ বাঙালির প্রেরণার উত্স৷
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে রবীন্দ্রনাথ এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন৷ রবীন্দ্রনাথের লেখা বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে পৌঁছে দিয়েছে৷
রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক চেতনা ছিল, শুধু নিজের শান্তি বা নিজের আত্মার মুক্তির জন্য ধর্ম নয়৷ মানুষের কল্যাণের জন্য যে সাধনা তাই-ই ধর্ম৷ তাঁর দর্শন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শন৷ কবি বিশ্বাস করতেন বিশ্বমানবতায়৷ জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই দর্শনের অন্বেষণ করেছেন৷
রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল কলকাতার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫শে বৈশাখ৷ বাংলার দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ৷ মাত্র আট বছর বয়সে তিনি প্রথম কবিতা লেখেন৷ ১৮৮৭ সালে মাত্র ষোল বছর বয়সে ‘ভানুসিংহ' ছদ্মনামে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়৷
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি এবং এশীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন৷ তিনিই প্রথম সাহিত্যিক যিনি ইউরোপীয় না হয়েও নোবেল পুরস্কার জয় করেন৷ নোবেল ফাউন্ডেশন তাঁর এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিল একটি ‘গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল ও সুন্দর কাব্যগ্রন্থ' রূপে৷ তাঁর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত৷ ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে' ভারতের জাতীয় সংগীতটিও তাঁরই লেখা৷
কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে৷ বিভিন্ন রেডিও ও টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ