করোনা সংকট কাটিয়ে ধীরে ধীরে মসজিদ খুলছে ইরানে। ইটালিতে লকডাউন উঠবে ৪ মে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে স্পেন।
বিজ্ঞাপন
গোটা বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট আক্রান্ত প্রায় ৩০ লাখ। তবে আশার কথা, ইটালি, স্পেন সহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। ইটালি জানিয়েছে, আগামী ৪ মে থেকে লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে। অ্যামেরিকাও প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ নেই। যে কোনও সময় করোনার ভয়াবহতা ফিরে আসতে পারে। ইরানেও করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ করোনামুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলিতে আজ, সোমবার থেকে মসজিদ খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের রমজান আইন
পাকিস্তানের রমজান আইন অনুযায়ী রমজান চলাকালীন প্রকাশ্য স্থানে খাওয়াদাওয়া নিষিদ্ধ৷ এই আইন ভাঙার দণ্ড ২০১৭ সালে আরো বাড়ানো হয়েছে৷
ছবি: DW/I. Jabeen
কঠোর সাজা
পাকিস্তানে রমজানের সময় প্রকাশ্য স্থানে পানি পান করা, খাওয়াদাওয়া বা ধূমপান– সবই নিষিদ্ধ৷ এই আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড বা বিপুল জরিমানা, এমনকি গুণ্ডাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়াও অসম্ভব নয়৷
ছবি: Imago
‘এটা ইসলাম নয়’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কন্যা বখতাওয়ার জরদারি রমজান আইনের নতুন সংস্করণকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন৷ ‘পাকিস্তানের সবাই যে রোজা রাখবে, এমন তো নয় – স্কুলের ছেলেমেয়ে, প্রবীণেরা, যারা রুগ্ন – আমরা কি সকলকে পানি খাওয়ার কারণে গ্রেপ্তার করব?’’ টুইট করেছেন ভুট্টো৷ ‘‘এ আইনের কারণে লোকে সর্দিগর্মি হয়ে কিংবা জলশূন্যতা থেকে প্রাণ হারাবে৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Ul Haq
রোজা রাখতে বাধ্য
‘ইসলামের বিধান অনুযায়ী যারা রোজা রাখতে বাধ্য, তারা রমজান মাসে রোজা চলাকালীন কোনো প্রকাশ্য স্থানে খাদ্যগ্রহণ, জলপান বা ধূমপান করতে পারবেন না,’ বলছে এহতিরাম-ই-রমাদান বা রমজানের প্রতি শ্রদ্ধা আইন, সামরিক একনায়ক জিয়াউল হক যা ১৯৮১ সালে চালু করেছিলেন৷
ছবি: Imago
কৃচ্ছসাধন ও ধার্মিকতা
ইসলামের তত্ত্ব অনুযায়ী রমজান হলো কৃচ্ছসাধন৷ রমজান মুসলিমদের ধর্মপরায়ণ হতে, পাপ থেকে দূরে থাকতে, দিনের বেলায় রোজা রাখতে ও দরিদ্রদের দান করতে শেখায়৷ আরবি ‘জাকাত’ শব্দটির অর্থ ভিক্ষা প্রদান৷ এর অর্থ, মুসলিমরা তাদের আয়ের একটি অংশ দীনদরিদ্রদের জন্য ব্যয় করবেন, বিশেষ করে রমজানের মাসে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Qureshi
অসম্ভব গরম
অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে রমজামের মাসটি পড়ে চরম গরমে৷ ২০১৫ সালে পাকিস্তানে একটি ভীষণ তাপপ্রবাহে ১,২৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান – তাদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখতে গিয়ে জলশূন্যতায় মারা যান৷ তা সত্ত্বেও সরকার ৩৬ বছরের পুরনো আইনটি শিথিল করেনি৷ কিছু মৌলানা অবশ্য বলেছিলেন যে, স্বাস্থ্যের কারণে রোজা ভাঙা চলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Hassan
কড়াকড়ি
ফজর (উষা) থেকে মাগরেব (গোধূলি) অবধি প্রায় সমস্ত রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকে, দোকানিরা শুধু কিনে নিয়ে যাওয়ার মতো খাবারদাবার বিক্রি করেন৷ এই সময় খিদে বা তেষ্টা পেলে, স্বগৃহ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই৷ সরকারি বা বেসরকারি, কোনো অফিসেই রমজান মাসে খাওয়াদাওয়া করার অনুমতি নেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Naeem
ধর্মীয় উগ্রপন্থি বাড়ছে
আফগানিস্তানের যুদ্ধ আর তালেবানের মতো ইসলামপন্থি সংগঠনগুলির প্রসারের কারণে বিগত কয়েক বছরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷ পাকিস্তানে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের সংখ্যা বাড়ছে, কমছে সহনশীলতা৷ রমজানের সময় চরমপন্থি জঙ্গি সংগঠনগুলি প্রচুর অনুদান সংগ্রহ করে থাকে৷
ছবি: Reuters/F. Mahmood
গুণ্ডাবাহিনী
উন্মত্ত জনতা বল প্রয়োগ করে শরিয়া আইনের নিজস্ব সংস্করণ বলবৎ করার চেষ্টা করছে, এমন ঘটনা পাকিস্তানে বিগত কয়েক বছরে বেড়েই চলেছে৷ একাধিক মানুষকে ঈশ্বরনিন্দার অপ্রমাণিত অভিযোগে হত্যা করা হয়েছে৷ বিভিন্ন ধরনের ইসলামি বিধান থাকার কারণে উগ্রপন্থিরা ব্যাপারটাকে তাদের নিজের হাতে নিয়ে (তাদের মতে) ‘অ-ইসলামি’ সব কার্যকলাপের ‘সাজা’ দেওয়ার চেষ্টা করছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Khan
8 ছবি1 | 8
দীর্ঘ দিন ধরে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পরে অবশেষে রমজান মাসে সামান্য হলেও স্বস্তি পেল ইরান। এখনও পর্যন্ত সে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ জনের। আক্রান্ত প্রায় এক লাখ। গত দুই মাস ধরে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন দেশের প্রশাসনিক কর্তারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত মসজিদ। অবশেষে রমজান মাসে পৌঁছে মসজিদ খুলতে শুরু করলো ইরান। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। বেশ কিছু অঞ্চলকে সম্পূর্ণ করোনামুক্ত করা গিয়েছে। ওই সমস্ত অঞ্চলেই মসজিদ গুলি খোলা হয়েছে। তবে এখনই মসজিদে ভিড় করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে আগামী শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজ হবে। সাধারণ মানুষ তাতে অংশ নিতে পারবেন।
দুই দশকে নতুন যত ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
গোটা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস বিরুদ্ধে লড়ছে, যার শুরুটা হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে৷ গত প্রায় দুই দশকে ছড়িয়ে পড়া নতুন কয়েকটি ভাইরাস নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Center for Disease Control
বার্ড ফ্লু (এইচ৫এন১)
১৯৯৭ সালে হংকংয়ে এইচ৫এন১ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ তারপর ২০০৩, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়৷ ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬৩০ জন বার্ড ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৩৭৫ জন মারা গেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিপাহ ভাইরাস
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পাংকর দ্বীপের ছোট্ট শহর কামপুং তেলুক নিপাহতে নতুন একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়৷ পরের বছর ওই শহরের নামে ভাইরাসটির নামকরণ হয় নিপাহ৷ এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৫৪ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে ভারতের কেরালায় এই ভাইরাস সংক্রমণে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়৷ ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে অন্তত ১০ জন মারা যান৷
ছবি: Getty Images/AFP
সার্স
সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব হয় চীনে৷ ২০০২ ও ২০০৪ সালে এশিয়ার কয়েকটি দেশে সার্স ভাইরাস মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ে৷ আট হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন, মারা যান প্রায় ৭৭৪ জন৷ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট হয়৷ তবে ২০০৪ সালের পর এই ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের খবর আর পাওয়া যায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Reynolds
সোয়াইন ফ্লু
২০০৯ সালে প্রথম বিশ্বজুড়ে এইচ১এন১ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়৷ শূকরের ফ্লুর সঙ্গে লক্ষণ মিল থাকায় একে সোয়াইন ফ্লু নাম দেওয়া হয়৷ এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১ থেকে ২১ শতাংশ মানুষ এ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ দেড় লাখ থেকে প্রায় ছয়লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ঢাকায় নতুন বছরে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার খবর শোনা গেলেও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: AP
মার্স (মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম)
এটি সার্স ভাইরাস গোত্রেরই একটি ভাইরাস৷ ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়৷ দেশটিতে মার্সে আক্রান্ত প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ মারা যান৷ উট থেকে এই ভাইরাস মানবদেহে ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়৷ হাঁচি, কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
করোনা ভাইরাস
চীনের উহান প্রদেশে গত ডিসেম্বর থেকে করোনা ভাইরাস প্রকোপ শুরু হয়৷ পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বৈশ্বিক মহামারি
২০২০ সালের শুরু থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিভিন্ন দেশে৷ এক পর্যায়ে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ এশিয়া থেকে ইউরোপ হয়ে এখন অ্যামেরিকা রয়েছে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর শীর্ষে৷ সারা বিশ্বে এরিমধ্যে দুই লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে রহস্যময় ভাইরাসটি৷
ছবি: Getty Images/L. DeCicca
প্রতিষেধক নেই
এখনও করোনার কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি৷ তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ৷ কয়েকটি উদ্যোগ বেশ খানিকটা এগিয়েছে৷ মানব শরীরে কিছু সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা নিরীক্ষাও শুরু হয়েছে৷ তবে সেগুলো কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে আরো বছর খানেক সময় লাগতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Yonhap
8 ছবি1 | 8
সুখবর ইউরোপেও। সেখানে করোনায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইটালি এবং স্পেন। দু'টি দেশই জানিয়েছে, গত দুই দিনে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম। দু'টি দেশই জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। জীবনযাত্রাও ক্রমশ স্বাভাবিক করা হবে। যদিও করোনা যাতে ফের মহামারি হয়ে ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য সামাজিক দূরত্ব সহ বেশ কিছু নিয়ম জারি রাখা হবে। ইটালি জানিয়েছে, ৪ মে লকডাউন তুলে নিলে বার এবং রেস্তোরাঁও খোলা যাবে। তবে শুধুমাত্র ডেলিভারি দেওয়া যাবে। এখনই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা চালু করা যাবে না। সাধারণ লোক বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন, কাজেও যোগ দিতে পারবেন, কিন্তু নিজেদের এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। অর্থাৎ, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আপাতত যাতায়াত করা যাবে না। ১৮ মে-র পর থেকে খুলে দেওয়া হবে গ্যালারি এবং জাদুঘর।
অ্যামেরিকার পরিস্থিতিও সামান্য উন্নতি করেছে। প্রথম দুই সপ্তাহে যে ভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছিল, তা কিছুটা হলেও আটকানো গিয়েছে। সব চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউ ইয়র্কে। এখনও পর্যন্ত শুধু সেখানেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ লোক। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ২৭৫ জনের। তবে নিউ ইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্থিতিশীল। তবে এর মধ্যেও বিতর্ক জারি রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁকে নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই তাঁর নেই। যদিও কয়েকদিন আগে ট্রাম্পের পারিষদরাই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিবের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারও কথা ভাবছেন।
এ দিকে অস্ট্রেলিয়া দেশের নাগরিকদের হাতে তুলে দিয়েছে নতুন একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে প্রশাসন সহজেই করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে পারবে। সকলকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছিল, তা খানিকটা হলেও কমেছে। তবে চিন্তা পুরোপুরি দূর হয়ে যায়নি। বিশেষ করে এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলিতে এখনও সংক্রমণের হার বেশি।