কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি প্রশ্নে উত্তেজনা
৯ আগস্ট ২০১১দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসকে ঘিরে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ক্রমশই ঘোরালো হচ্ছে৷ পাশাপাশি গেমসের আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান পদে সুরেশ কালমাডির নিয়োগ সম্পর্কে সংসদে ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেনের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধী দল৷
কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল সংক্ষেপে সিএজি রিপোর্টকে অস্ত্র করে বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ইস্তফা দাবি করে৷ টেনে আনেন সোনিয়া গান্ধীর নামও৷ সংসদে তখন শুরু হয় সরকার ও বিপক্ষ দলগুলির মধ্যে তুমুল হৈ হট্টগোল৷ বিজেপি'র বক্তব্য আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান পদে কালমাডিকে নিয়োগ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর৷ সিএজি রিপোর্টেও সেকথা বলা হয়৷
বিজেপি'র শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি বলেন, দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস এক বিরাট কেলেঙ্কারি৷ যেভাবে গেমসের কাঠামো তৈরি হয়েছিল, যেভাবে কার্য নির্বাহি এজেন্সিগুলি কাজ করে, যেভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে বেশি দামে কন্ট্রাক্ট দিয়ে করদাতাদের অর্থ নয়ছয় করা হয় - তা এক জাতীয় উদ্বেগের বিষয়৷ এটাও জানা গেছে এসবের জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের আড়াল করতে কালমাডিকে করা হয়েছে বলির পাঁঠা৷ বহু তথ্য সরকার লুকাতে চাইছে৷ গেমস সংশ্লিষ্ট সব ফাইলপত্র সংসদে পেশ করার দাবি জানান তিনি৷
বিজেপি নেতা তাঁর বক্তব্যে আরো অভিযোগ করেন যে, গেমস শুরু হবার সময় বহু কাজ শেষ হয়নি৷ এমন কী এক বছর পরেও স্টেডিয়ামের কাজ অসম্পূর্ণ৷ দিল্লির সৌন্দর্যায়নে বহু টাকা খরচ করে আবার ভাঙ্গা হয় আবার টাকা খরচ করা হয়৷
বিতর্ককালে চিৎকার চেঁচামেচিতে বারংবার অধিবেশন স্থগিত রাখতে হয়৷ সংসদের বাইরেও ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সমর্থকরা এই ইস্যুতে সংসদ ভবন ঘেরাও করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে হয় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ