কমিউনিটি রেডিও’র জন্য ফ্রিকোয়েন্সি উন্মুক্ত
১৩ এপ্রিল ২০১০কমিউনিটি রেডিও'র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷
তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চত করা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় নিয়ে আসতে কমিউনিটি রেডিও'র প্রসঙ্গ আলোচিত হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ছাড়াও ধর্মান্ধতা, কুচিকিৎসা, কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ দূর করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করবে কমিউনিটি রেডিও৷ আর সরকার এই কমিউনিটি রেডিও'র জন্য ফ্রিকোয়েন্সি উন্মুক্ত করে দিয়েছে৷ বিটিআরসির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জিয়া আহমেদ মঙ্গলবার এক সেমিনারে জানান সেকথা৷
বাংলাদেশ এনিজওস নেটওয়ার্ক ফর কমিউনিটি রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন এর প্রধান বজলুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক৷ তিনি মনে করেন, প্রাথমিকভাবে ২৭টি কমিউনিটি রেডিও যাত্রা শুরু করলে বাকিগুলোও ধীরে ধীরে সম্প্রচার শুরু হবে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা বলেন, কমিউনিটি রেডিও'র জন্য স্বল্প মূল্যের প্রযুক্তির ব্যবহার উন্মুক্ত করা উচিত৷
নানা বাধা বিপত্তির কারণে এতদিন কাজ করতে পারেনি কমিউনিটি রেডিও৷ এখন দেশের উপকূল ও দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে কমিউনিটি রেডিও কাজ করবে৷ ওইসব এলাকায় ৫শ' কমিউনিটি রেডিওর কাজ করার কথা সুযোগ রয়েছে৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক