1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমিক যখন উপন্যাস হয়ে ওঠে

১৬ মে ২০১৮

নন্টেফন্টে. চাচা চৌধুরী, টিনটিন – ছোটবেলায় অনেকেই এই সব কমিক্স পড়ে আমোদ পেয়েছেন৷ কিন্তু আরও বড় আকারের সচিত্র গ্রাফিক নভেলও রয়েছে৷ বার্লিনের এক শিল্পী এক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছেন৷

Ausstellung Comicleben Comiclife Museum Europäischer Kulturen Berlin Ulli Lust GEDEHNT
ছবি: Ulli Lust

কমিক বইয়ের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ উলি লুস্ট এই নতুন ধারার পথিকৃৎ৷ তাঁর সর্বশেষ সৃষ্টিকর্ম ‘ভালো মানুষ হবার প্রচেষ্টা' এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ‘গোল্ডেন ওয়াইল্ডক্যাট' পেতে পারে৷ উলি বলেন, ‘‘অঁগুলেম শহরের উৎসবে যোগ দেওয়াই দারুণ অভিজ্ঞতা, কারণ সেটাই ইউরোপের সবচেয়ে বড় কমিক উৎসব৷ ফরাসিরাই ইউরোপে সবচেয়ে বেশি কমিক পড়েন৷ সেখানে আমাদের তুলনায় কমিকের কদর অনেক বেশি৷ গোটা ফ্রান্স জুড়ে অঁগুলেম উৎসবের পোস্টার ছেয়ে যায়৷ আর আমি যেহেতু ১০ জন সম্ভাব্য জয়ীদের তালিকায় স্থান পেয়েছি, গোটা দেশে পোস্টারে আমার নামও শোভা পাচ্ছে৷''

২৮ বছর বয়স পর্যন্ত উলি লুস্ট কমিক নিয়ে তেমন ঘাঁটাঘাঁটি করেন নি৷ তারপর বার্লিনে এসে প্রেনৎলাউয়ার ব্যার্গ পাড়ার জীবনযাত্রা নিয়ে এক প্রতিবেদন সৃষ্টি করেন, যা ছিল তাঁর আঁকা স্কেচে ভরা৷ সেখানে তিনি পাংক হিসেবে নিজের অতীত জীবনের স্মৃতি এবং সৃজনশীলতার আদর্শ জায়গা খুঁজে পান৷ জার্মান ভাষাভাষী অঞ্চলে তিনি আজ সেরা কমিক লেখকদের অন্যতম৷ উলি লুস্ট বলেন, ‘‘আমার কাছে বার্লিনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে৷ এর মধ্যে আমি বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি৷ ১৯৯৫ সালে বার্লিনে পাকাপাকি আসার কথা কিছুদিন আগে মনে পড়লো৷ ভিয়েনা শহরে আমি বরাবর বহিরাগত ছিলাম৷ অথচ বার্লিনে যেন সবাই আমার মতো৷ ফলে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম৷ সে সময়ে মেয়েদের মধ্যে ছোট চুল, বুট, মিনিস্কার্টের খুব চল ছিল৷ বার্লিনের এমন আত্মসচেতন নারীদের দেখে দারুণ ভালো লেগেছিল৷ সঙ্গে সঙ্গে আমার শহরটিকে বড় আপন মনে হলো৷''

সাধারণ কমিক্স ও সুপারহিরোর মহিমা নিয়ে উলি লুস্ট-এর মনে মোটেই তেমন উৎসাহ নেই৷ তিনি বরং তথাকথিত ‘গ্রাফিক নভেলস' নিয়ে ব্যস্ত থাকেন৷ সেগুলি আসলে বইয়ের আকারে কমিক্স, যার মাধ্যমে জটিল গল্প বলা হয়৷ তাঁর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে নিজস্ব স্কেচ-সহ সচিত্র প্রতিবেদন থাকে৷ সাংবাদিক হিসেবে গবেষণা করে তিনি তার রসদ সংগ্রহ করেছেন৷ এভাবে তিনি সমাজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন৷ কখনো কখনো কয়েক'শো পাতার এমন একটি বই সৃষ্টি করতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়৷ কারণ চিত্রনাট্য থেকে রং করা – সব কাজ উলি লুস্ট নিজেই করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কমিক্স – বিশেষ করে গ্রাফিক নভেল অথবা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কমিক্স আমাকে মুগ্ধ করে, কারণ তাতে কোনো বিষয়বস্তু তুলে ধরার অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা রয়েছে৷ আমি বাস্তবসম্মতভাবে সে সবের ছবি আঁকতে পারি, অথবা আমি সেগুলি আরও সহজভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি৷ কোনো বিশেষ শৈলি প্রয়োগ করতে পারি, অতিরঞ্জিত করে তুলতে পারি৷ অথবা সাররিয়াল বা পরাবাস্তব, রূপকধর্মী ছবি সৃষ্টি করতে পারি৷ ফ্যানটাস্টিক রিয়ালিজমেরও আশ্রয় নিতে পারি৷ এমনকি বাস্তবের বর্ণনা দিতে গিয়েও নিজস্ব ধ্যানধারণা জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারি৷''

উলি লুস্ট তাঁর সৃষ্টিকর্মে নিজস্ব জীবনকেও স্থান দিয়েছেন৷ ‘আজ আমার জীবনের শেষ দিন' নামের আত্মজীবনিমূলক কমিক্স সৃষ্টি করে তিনি ২০০৯ সালে বিশাল সাফল্য পেয়েছিলেন৷ ১৭ বছর বয়সে তিনি এক বান্ধবীর সঙ্গে কোনো টাকাপয়সা বা পরিচয়পত্র ছাড়াই কীভাবে ভিয়েনা থেকে ইটালির পালের্মো ভ্রমণ করেছিলেন, সেই বইয়ে তার বর্ণনা রয়েছে৷

উলি লুস্ট এরই মধ্যে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন৷ যেমন বিখ্যাত ‘মাক্স ও মোরিৎস' পুরস্কার, পাঠকরাই যা স্থির করে থাকেন৷ অঁগুলেম থেকে ফেরার সময় ঝুলিতে ‘গোল্ডেন ওয়াইল্ডক্যাট' পুরস্কার থাকবে, এমনটাই তাঁর আশা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ