কম ঘুমের কারণে ওজন বাড়তে পারে
১৬ মে ২০১১![Filmszene aus dem Film "Die Klasse". Das Bild darf nur in Verbindung mit einer Berichterstattung über den Film verwendet werden.](https://static.dw.com/image/3951242_800.webp)
অ্যামেরিকান জার্নাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন'এ প্রকাশিত ঐ সমীক্ষার ফলাফলে প্রমাণ উল্লেখ করে দেখানো হয়েছে, কম ঘুম ওজন বাড়াতে সাহায্য করে৷ কম ঘুম শুধু যে ক্ষুধা বাড়ায় তাই নয়, ক্যালোরি ধ্বংস করে খুবই কম৷ সমীক্ষাকাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস্টিয়ান বেনেডিক্ট৷ তিনি বললেন, যথেষ্ট ঘুম ওজন বাড়ানো প্রতিরোধ করে, সমীক্ষা থেকে তাই বের হয়ে এসেছে৷ তিনি লিখেছেন, সমীক্ষাতে আমরা দেখেছি, এক রাত যদি ভালোমত ঘুম না হয়, তাহলে সুস্থ মানুষের শরীরেও ক্লান্তি ভর করে, অবসাদ জেঁকে বসে৷''
এর আগেও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘুমের ব্যাঘাত ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত৷ শুধু তাই নয়, আরো দেখা গেছে, মানুষ যখন জেগে থাকে তখনও কম ঘুম কী ভাবে, চাপ এবং ক্ষুধার সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোনগুলোর স্বাভাবিক মাত্রাতে ব্যাঘাত ঘটায়৷
কম ঘুমের কারণে শরীরে আসলে কী ধরণের প্রভাব পড়ে তা শনাক্ত করতেই বেনেডিক্ট এবং তাঁর সহকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন ছাত্রের ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ স্বল্প ঘুম, একেবারে না ঘুমানো এবং স্বাভাবিক ঘুমের কারণে কয়েকদিন শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ, হরমোনের মাত্রা এবং তাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় কী ধরণের পরিবর্তন হয় সেটা তাঁরা লক্ষ্য করেছেন৷
সেখানে দেখা গেছে, মাত্র একদিন ঘুম না হলে, পরেরদিন সকালে বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়৷ রাতে যার খুব ভালো ঘুম হয়েছে তার সাথে তুলনা করে দেখা গেছে, যার ঘুম হয়নি তার শরীরে ক্লান্তি ভর করেছে, নিশ্বাস নেওয়া বা হজমের মত ব্যাপারগুলো শতকরা কুড়িভাগ থেকে নেমে এসেছে শতকরা পাঁচ ভাগে৷
দেখা গেছে, ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টির পরে সকালে একজন অল্প বয়সের পুরুষের রক্তে চিনির মাত্রা, ক্ষুধা বৃদ্ধির হরমোন ঘ্রেলিনের মাত্রা এবং চাপ বৃদ্ধির হরমোন কর্টিসলের মাত্রা অনেক বেশি৷ এর আগের কয়েকটি সমীক্ষাতে দেখা গেছে, যারা পাঁচ ঘন্টা বা তারও কম ঘুমান, খুব দ্রুত তাদের ওজন বাড়ে এবং ওজনের সঙ্গে সমর্কিত রোগ টাইপ-টু ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হন৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক