1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে ব্যাংক বাঁচানো

১২ মার্চ ২০১৪

২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের জের ধরে ব্যাংকিং জগতের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে৷ ভবিষ্যতেও জনসাধারণের অর্থ যাতে বেসরকারি ব্যাংকের ঝুলিতে না যায়, ইউরোপে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে জোরকদমে৷

ছবি: DW

ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা এক বৈঠকে ব্যাংকিং ইউনিয়ন কার্যকর করার পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ সংকটগ্রস্ত কোনো ব্যাংক-কে বাঁচাতে ভবিষ্যতে যাতে করদাতাদের অর্থ কাজে লাগানো না হয়, সেটাই হলো উদ্দেশ্য৷ আগামী মে মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই তাঁরা এই কাঠামোকে চূড়ান্ত রূপ দিতে চান৷ আগামী ১৪ থেকে ১৭ই এপ্রিল পার্লামেন্টের শেষ অধিবেশনে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা না হলে বিষয়টি ২০১৫ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে৷ তাই পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রফার চেষ্টা চলছে৷

এদিকে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ইউরোপীয় স্তরে কিছু অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে সুদের হার না কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অর্থনীতির উন্নতির সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ এই অবস্থায় ডলারের তুলনায় ইউরো-র বিনিময় মূল্য অনেকটা বেড়ে গেছে৷ তবে এই সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইসিবি ইউরোপের অর্থনীতির উপর নজর রাখছে৷ প্রয়োজনে তাঁরা হস্তক্ষেপ করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পরিচালকমণ্ডলীর এক সদস্য, তবে ভেবে-চিন্তে সে কাজ করা হবে৷

অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ইউরোপীয় স্তরে কিছু অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছেছবি: Fotolia/Aleksandar Todorovic

ইউরো এলাকার সংকটগ্রস্ত দেশগুলিরও সার্বিক অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাটেও রেনসি দায়িত্ব নেবার পরই ইটালি থেকে কিছু ভালো খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন অনেকটা বেড়ে গেছে৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে রেনসি বেতন বাবদ করের ক্ষেত্রে বিশাল ছাড় দিতে চলেছেন, যাতে মানুষ আরও ব্যয় করতে পারে এবং কর্মসংস্থানও বাড়তে পারে৷ পর্তুগাল আগামী মে মাসে আন্তর্জাতিক সহায়তা কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে৷ নতুন করে সহায়তা না নিয়েই সে দেশ যদি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে, তাহলে সংকট কেটে যাবে৷ তবে আয়ারল্যান্ডের মতো সে দেশের অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি৷ সাইপ্রাসের জন্য পরবর্তী কিস্তির আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করেছে ইউরো এলাকা৷ গ্রিসের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ চলতি সপ্তাহের শেষেই চূড়ান্ত বোঝাপড়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

ইউরোপের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়ে৷ চীন ও জাপানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপের পুঁজিবাজারেও দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে৷ চীনের রপ্তানি আচমকা প্রায় ১৮ শতাংশ কমে গেছে৷ অন্যদিকে জাপানে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতির ফলে প্রবৃদ্ধির হারও কিছুটা কমে গেছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ