1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনাভাইরাস: চীনে কেমন আছেন বাংলাদেশিরা?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৬ জানুয়ারি ২০২০

চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশিরা৷ এ মুহূর্তেই শহরটি ত্যাগ করতে পারছেন না তারা৷ তবে এখন পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থানরত কোন বাংলাদেশি এ ভাইরাসের আক্রান্ত হয়নি, জানিয়েছে দূতাবাস৷

China Peking Passanten Atemmasken
ছবি: picture-alliance/newscom/UPI PHoto/S. Shaver

সম্প্রতি চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়৷ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শহরটিকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এখন কর্তৃপক্ষ৷

জানা গেছে, সেখানকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনশোর মতো বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন৷ তাদেরই একজন হাবিবুর রাহমান হাবিব৷ উহান শহরের উবে ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি৷

ডয়চে ভেলেকে হাবিব জানান, ‘‘ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইশ' বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৮০ জনের মত শীতের ছুটিতে বাংলাদেশে গেছেন৷ বাকি ১২০ জন চরম আতঙ্কে আছেন৷''

এই শিক্ষার্থীদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন৷ হাবিব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷

‘‘আমরা সবাই যে যার রুমে অবস্থান করছি৷ রাস্তাঘাটতো দূরের কথা রুমের বাইরেও আমাদের বের হওয়া নিষেধ৷ এখানকার রাস্তাঘটে এখন আর লোকজন দেখা যায় না৷ দোকানপাট বন্ধ৷ আমার কাছে যে খাবার আছে তা প্রতিদিন একবেলা খেয়ে চালিয়ে যাচ্ছি৷ তবে তিন-চার দিনের বেশি এই খাবারে চলবে না৷ আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতাবাসের যোগাযোগ হয়েছে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে৷ তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে৷ এখন কতটুকু হয় জানি না৷’’

‘যে খাবার আছে তা প্রতিদিন একবেলা খেয়ে চালিয়ে যাচ্ছি’

This browser does not support the audio element.

হাবিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কার কী খাবার দরকার তা লিখিতভাবে জানাতে বলেছে৷ ওই তালিকা অনুযায়ী সোমবার থেকে তাদের খাবার সরবরাহের কথা জানানো হয়েছে৷

উহান শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি মিশন চিফ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘চীনা পরারাষ্ট্র দপ্তর এবং উবে প্রদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি৷ তাদের মাধ্যমে সেখানকার বাংলাদেশিদের সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করছি৷  সরাসরি আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই৷ সংক্রমণ ঠেকাতে উহান শহরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে৷’’

বর্তমানে উহানের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরের সব ধরনের যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কেউ চাইলেও সেখান থেকে বাইরে যেতে পারবে না৷ ফলে বাংলাদেশি যারা আছেন তাদের সবাইকে যার যার অবস্থানেই থাকতে হবে৷ তাদের আপাতত দেশে ফেরার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন মাসুদুর রহমান৷

তিনি আরো জানান, ‘‘উহান সিটির ডেজিগনেটেড শপিংমলগুলো খোলা আছে, ওয়ালমার্ট খোলা আছে৷ সেখানে থেকে উহানের সরকারি কর্তৃপক্ষ খাবারের ব্যবস্থা করছে৷ কিন্তু যোগাযোগ ও ভাষার সমস্যার কারণে হয়তো কিছু জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে৷’’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক বাংলাদেশিই ব্যবসা ও শিক্ষার জন্য চীনে যাতায়াত করছেন৷ দেশটিতে ঠিক কতো বাংলাদেশি আছে সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়৷

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও উহানের প্রাদেশিক সরকারের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি’

This browser does not support the audio element.

বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, চীনে অবস্থানরত মোট বাংলাদেশির সংখ্যা তিন হাজার৷ এরা প্রায় সবাই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন৷ আর বেসরকারি সূত্র বলছে, এ সংখ্যা দশ হাজার৷ 

তবে এখন পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থানরত কোন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া যায়নি৷

মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুধু বাংলাদেশি নয়, কোনো বিদেশি নাগরিকই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি৷’’

চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি হটলাইন চালু করেছে৷

মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের চলাচলও এখানে সীমিত৷ আমদের যা করার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও উহানের প্রাদেশিক সরকারের মাধ্যমে করতে হবে৷ আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি৷’’

এদিকে চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের স্বজনরা উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন৷

উহানে অবস্থানরত হাবিবের ভাই ইলিয়াস মন্ডল জানান, ‘‘আমরা অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি৷ প্রতিদিনই ভাই ফোন করে খারাপ পরিস্থিতির কথা জানাচ্ছে৷ কিন্তু আমরা কী করব বুঝতে পারছি না৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ